পিরিয়ডের কতদিন পর রোজা নামাজ, সহবাস করবেন - হায়েজ অবস্থায় আমল

রোজার সময় পিরিয়ড হলে করনীয় সম্পর্কে প্রত্যেকটি নারীর জন্য জানা এবং এ বিষয়ে সঠিক  জ্ঞান অর্জন করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আরবিতে মাসিকে বলা হয় হায়েজ। আজকে আপনারা জানতে পারবেন রমজানের সময় মাসিক হলে মেয়েদের কি কি করণীয় এবং ইসলামের দৃষ্টিতে মাসিক অথবা হায়েজের আহকাম গুলো কি কি? 

রোজার সময় পিরিয়ড হলে করনীয় সম্পর্কে প্রত্যেকটি নারীর জন্য জানা এবং এ বিষয়ে সঠিক  জ্ঞান অর্জন করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়

সূচিপত্রঃ পিরিয়ডের কতদিন পর রোজা নামাজ, সহবাস করবেন - হায়েজ অবস্থায় আমল  

পিরিয়ড সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?।রোজার সময় মাসিক হলে করনীয় 

আসুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক হায়েজ অথবা পিরিয়ড সম্পর্কে ইসলামের ১০টি মাসআলা। ইসলামে প্রত্যেকটি বস্তু অথবা কাজের জন্য নির্দিষ্ট মাসআলা বা সমাধান রয়েছে। এই মাসআলা গুলো আমাদেরকে ইসলামের শরীয়ত অনুযায়ী জীবন যাপন করতে ও সঠিক পথে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।

আসলে এখনো অনেক বিষয় আছে যা আমরা এখনো সঠিকভাবে বুঝতে শিখিনি। বিশেষ করে ইসলামের ক্ষেত্রে, অনেক কাজ আছে যা আমাদের ইসলামের করণীয় অথবা বঞ্চনীয়। আমাদের অনেকেই এই সকল বিধি নিষেধ সম্পর্কে খুব একটা ভালো ধারণা নেই।

সেজন্যই আজ আমরা আপনাদের জন্য যাবতীয় প্রয়োজনীয় বিধি নিষেধ গুলোকে তুলে ধরছি। আসুন তবে জেনে নেয়া যাক হায়েজ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? 

হায়েজ সম্পর্কে ইসলামঃ-  হায়েজ অবস্থায় আমল  

১.ইসলামের দৃষ্টিতে নয় বছরের আগে কোন মেয়ের হায়েজ আসে না। এখানে হায়েজ বলতে ঋতুস্রাব/ ব্লিডিং/ মাসিকে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ যদি কোন ছোট মেয়ের ৯ বছরের কম বয়স এবং সেই সময় যদি তার মাসিক দেখা দেয় তবে তা হায়েজ হিসাবে গণ্য হবে না। সেক্ষেত্রে তার মাসিককে বলা হবে এস্তেহাজা।

ঠিক সেই ভাবেই যদি কোন ৫৫ বছরের উপরের নারীদের মাসিক দেখা দেয়,‌ যা স্বাভাবিক নিয়মে পরিচালিত হয় তবে তাকে মাসিক হিসেবে গণ্য করা হবে এবং যদি তা স্বাভাবিক নিয়মে পরিচলিত না হয় তাহলে তা হবে দেখা যায়। 

২.মাসিক অথবা হায়েজ যদি তিন দিন তিন রাত হতে সামান্য কম হয় তবে তা হায়েজ হিসেবে বা মাসিক হিসেবে গণ্য হবে না। যেমন মনে করেন শুক্রবার সূর্যের দয়ের সময় আপনার হয়ে শুরু হয়েছে এবং সোমবার সূর্য উদয়ের সামান্য পূর্বে আপনার হাই বা মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে তা হায়েজ বা মাসিক নয়‌, এস্তেহাযা বলা হবে। 

৩.হায়রে রক্তের রং লাল,হলদে ,সবুজ ,কালো বা মেটে,যে কোন রঙেরই হোক না কেন তা হায়েজ হিসেবে বা মাসিক হিসেবে গণ্য হবে। যখন সম্পূর্ণ সাদা রং দেখা দিবে তখন বুঝতে হবে যে আপনার হায়েজ বন্ধ হয়ে গেছে। 

৪.দুই হায়েজ বা দুই  পিরিয়ডের মাঝখানে পবিত্র থাকার শর্ত হচ্ছে, কমপক্ষে ১৫ দিন তার বেশি কোন সীমা নেই। এটি বলতে বোঝানো হয়েছে,যদি কোন নারীর কোন কারণ বসত কয়েক মাস যাবত মাসিক বন্ধ থাকে তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ঋতুস্রাব বা মাসিক না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে পবিত্র থাকবে।
 
৫.ইসলামের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল হচ্ছে গর্ভাবস্থায় যদি কোন কারণ ছাড়া কোনো নারীর মাসিক দেখা দেয় তবে তা হয় হিসেবে গণ্য হবে না। তা যে কয়দিনই থাকবো না কেন তাকে বলা হবে এস্তেহাযা।

পিরিয়ডের সময় কতদিন? 

প্রত্যেকটি প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে অথবা নারীদের মাসিক অর্থাৎ হায়েজ সম্পর্কে ভালোভাবে সঠিক জ্ঞান থাকা একান্তই দরকার। অনেক নারী রাই আছে লজ্জা করে কারো কাছে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে না। হয়তো আজকে আমাদের আর্টিকেলটি সেই সকল নারীদের জন্য যারা লজ্জার খাতিরে তাদের সমস্যার কথা অন্যজনের কাছে‌ তুলে ধরতে পারেন না।

নারীদের জন্য‌ কোন মাসে কত দিন মাসিক হয়েছে সেই তারিখ মনে রাখা খুবই দরকার। কারণ ইসলামের শরীয়ত অনুযায়ী পরবর্তী মাসের হুকুম অনেক সময় পূর্ববর্তী মাসের ঘটনার উপর নির্ভর করে। যেমন মনে করেন যদি কোন নারী কোন মাসে ১০ দিনের চেয়ে বেশি মাসিক দেখা দিল আর তার পূর্বের মাসের কথা তার মনে নেই এবং পূর্বের অভ্যাসও তার মনে নেই।

সে ক্ষেত্রে তার পবিত্র হওয়ার মাসায়েল টা অনেকটা কঠিন হয়ে যাবে যা কোনো আলেমের কাছে বিবরণ দেওয়া কষ্টসাধ্য। তাই নারীদের মাসিক হওয়ার তারিখটা মনে রাখা এবং মাসিক কতদিন ছিল তা চিহ্নিত করে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

সাত দিনের বেশি পিরিয়ড হলে করনীয় কি? 

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের প্রথম প্রথম মাসিক দেখা দিলে। যেহেতু তার পূর্বে কোন মাসিক হয়নি তাই,যদি দশ দিন বা তার চেয়ে কম মাসিক হয় তবে সে কয়দিনকেই মাসিক অথবা হায়েজ হিসেবে গণ্য করা হবে। 

সাত দিনের বেশি মাসিক থাকলে কি হয়? তা জানতে বিস্তারিত পড়ুন ড্রিম ইটিসি তে। হায়েজ কমপক্ষে তিন দিন তিন রাত এবং উর্ধ্ব সংখ্যায় দশ দিন দশরথ থাকে। অর্থাৎ যদি তিন দিন তিন রাত বা ৭২ ঘণ্টার চেয়ে কম সময় মাসের থাকে তবে তা মাসিক হিসেবে গণ্য হবে না সেটাকে বলা হবে এস্তহাজা। 

ঠিক একইভাবে যদি ১০ দিন ১০ রাতের চেয়ে অর্থাৎ ২৪০ ঘণ্টার বেশি মাসিক হয়। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময় গুলো কি মাসিক হিসেবে গণ্য করা হবে না,সেটিকেও এস্তেহাজা হিসেবে গণ্য করতে হবে। 
তাই সাত দিনের বেশি যদি মাসিক হয়,তাহলে বাকি যে তিন দিন থাকছে তা  হায়েজ হিসেবেই গণ্য হবে এবং পরের দিনগুলো এস্তেহাজা।

রোজার সময় পিরিয়ড হলে করনীয় 

রোজার সময় পিরিয়ড হলে করনীয় সম্পর্কে ধারনা থাকা আপনাদের জন্য অপরিহার্য। কেননা নারীদের জন্য হায়েজ অবস্তায় নামাজ মাফ করে দেওয়া হয়, কিন্ত রোজার হ্মেত্রে মাসিক হলেও রোজা মাফ হয়না। কিন্ত রোজার সময় মাসিক হলে রোজা রাখা যায়েজ নয়,তাই রমজান মাস শেষে যে কয়দিন মাসিক ছিল সেই কয়দিনের কাজা রোজাগুলো পালন করতে হবে। 

যদি আপনার রোজার সময় দিনের বেলায় মাসিক অথবা হয়েজ বন্ধ হয়ে যায়,তবে তখনই ফরজ গোসল করে ফেলতে হবে এবং যদি নামাজের ওয়াক্ত হয়ে থাকে তাহলে নামাজ পড়তে হবে, সেক্ষেত্রে সেই দিনের রোজা আপনার হবে না।

যদিও আপনার সেদিনের রোজা হবে না তারপরও আপনার বাকি অবশিষ্ট সময় কোন কিছু খাওয়া অথবা খাদ্য গ্রহণ করা ঠিক হবে না,অন্যান্য রোজাদারদের মতো ইফতারের সময় পর্যন্ত আপনাকে না খেয়ে থাকতে হবে এবং এটি ওয়াজিব। এবং রোজার সময় পিরিয়ড হলে করনীয় মনে রাখতে হবে যে পরে কিন্তু এই কাজা রোজা রাখা আব্যশক। 

সাদা স্রাব হলে কি রোজা হবে? 

সাদা স্রাব হলে কি রোজা হবে? এই প্রশ্নটা প্রায় অনেকের মনে ঘুরপাক খাই, আসলে সাদা স্রাব হওয়া কোন অপবিত্র বিষয় নয়। তবে আমরা সকলেই জানি যে, অজু ভাঙ্গনের কারন হচ্ছে মলদ্বার দিয়ে কোন কিছু বের হলে পুনরান ওজু করতে হয়।

হায়েজ বা পিরিয়ডের মত শরীর অপবিত্র হয় না এবং নামাজ আদায় করা যায়। যেহেতু নামাজ আদায় করার শর্ত হচ্ছে ওজু করা কিন্তু রোজা ওজু ছারাও রাখা যায়,তাই  কোন নারীর সাদা স্রাব হলে তার রোজা হবে এবং এই অবস্থাকে বলা হয় এস্তেহাযা।

রোজা থাকা অবস্থায় পিরিয়ড হলে কি করনীয়? 

আপনার জন্য রোজা থাকা অবস্থায় মাসিক হলে কি করনীয় তা হচ্ছে,রোজা থাকা অবস্থায় যদি মাসিক অথবা হায়েজ দেখা দেয় তবে আপনার রোজা ভেঙে যাবে। কেননা অপবিত্র থাকা অবস্থায় কোন ফরজ ইবাদত করা জায়েজ নেই।

মধ্যরাতে বা সেহেরীর আগে যদি আপনার মাসিক দেখা দেয় তবে সে ক্ষেত্রে আপনি রোজা আদায় করতে পারবেন না। তবে যদি দিনের বেলা অর্থাৎ রোজা থাকা অবস্থায় আপনার মাসিক দেখা দেয় এবং এতে কোন শারীরিক অসুস্থতা না দেখা দেয়,যেমন; মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা,মাজা ব্যথা অথবা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা,তবে আপনি সেই দিন পানাহার না করে  রোজা রাখা উত্তম। যদিও সেই রোজা পরে কাজা তুলে নিতে হবে।

হায়েজ অবস্থায় কি কি করা যাবে না?। রোজার সময় পিরিয়ড হলে করনীয় 

যখন কোন নারীর মাসিক অথবা হায়েজ হয় অথবা কারো ওপর গোসল ফরজ হয়েছে তার জন্য যা যা করা যাবে না তা হচ্ছে। 
  • কোন পবিত্র স্থান যেমন মসজিদে প্রবেশ করা যাবে না। 
  • কাবা শরীফে তাওয়াফ করা যাবে না। 
  • কোরআন শরীফ পাঠ করা এবং স্পর্শ করার দুটোই জায়েজ নয়। শিখেছে কোরআন শরীফ যদি তার কবরের বা কোন কাপড় দ্বারা আবৃত অবস্থায় থাকে সে ক্ষেত্রে কোরআন শরীফ স্পর্শ করা যাবে। 
  • যদি কোন কাগজ অথবা টাকার ওপর কোরআনের আয়াত লেখা থাকে সে ক্ষেত্রেও বিনা অজুতে এবং অপবিত্র অবস্থায় সে আয়াত স্পর্শ করা নিষিদ্ধ।

হায়েজ অবস্থায় কি কি ইবাদত করা যাবে? 

হায়েজ অবস্থায় কি কি ইবাদত করা যাবে তা আজ ড্রিম আইটিসি এর মাধ্যমে জানতে পারবে। তবে আসুন জেনে নেয়া যাক অবস্থাকে কি ইবাদত করা হায়রে তোর মাসিক একজন নারীর জন্য একটি অপবিত্র অবস্থা,এই সময় নারীদের জন্য সকল প্রকার ফরজ ইবাদত গুলো এবং পবিত্র স্থানে যাওয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
  • তবে হায়েজ অবস্থায় আল্লাহর কাছে দোয়া করা জায়েজ আছে। অর্থাৎ কোরআনের যে আয়াতের মধ্যে দোয়া আছে সে আয়াত যদি কেউ তেলাওয়াত না করে দোয়া রূপে পাঠ করে সেক্ষেত্রে তা পাঠ করা যাবে। 
  • হায়েজ অবস্থায় দোয়ায়ে কুনুত পড়াও জায়েজ আছে।  অবস্থায় কালেমা শরীফ পড়া যাবে।
  • হায়েজ অবস্থায় দরুদ শরীফ পাঠ করা যাবে। 
  • হায়েজ অবস্থায় এস্তেগফার পাঠ করা যাবে ও বিভিন্ন তসবিহ পাঠ করা যাবে। যেমন; (সুবহানাল্লাহ,আলহামদুলিল্লাহ ইত্যাদি)। 
  • হায়েজ অবস্থায় অজু করে পবিত্র জায়গায় কেবলামুখী হয়ে বসে নামাজের সময়টুকু আল্লাহর যিকিরে মশগুল থাকা মুস্তাহাব। এর ফলে নামাজের অভ্যাস ছুটে যায় না।

হায়েজ অবস্থায় কুরআন পড়ার বিধান

হাদিসের আলোতে বলা হয়েছে যে, হজরত হাসান বসরি (রহ.) ও হজরত কাতাদা (রহ.) বলেন, হায়েজ অবস্তায় নারী ও এমন কোন ব্যাক্তি যার উপর গোসল ফরজ হয়ে তকালে সে যেন  কোরআনের কোনো অংশই না পড়ে। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাকঃ১৩০২)

তাই হায়েজ অথবা মাসিক নারীদের জন্য একটি নাপাক বা অপবিত্র অবস্থা। সেজন্য হাই বা মাসিক অবস্থায় কোরআনের আয়াত উচ্চারণ করা এবং কোরআন স্পর্শ করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।

হায়েজ অবস্থায় দরুদ পড়া যাবে কি?

হায়েজ অবস্থায় দরুদ পড়া যাবে কি? এই প্রশ্নের জবাবা হচ্ছে, হ্যা হায়েজ অবস্থায় দরুদ পড়া যাবে। 

হায়েজ অবস্থায় আজানের উত্তর দিয়া যাবে কি?

মাসিক বা হায়েজ অবস্থায় কুরআনের সম্পূর্ণ আয়াত পড়া যাবে না কিন্তু বাক্যগুলো উচ্চারণ করা জায়েয আছে তাই কোরআনের এমন কোন আয়াত দোয়া আকারে পড়াও জায়েজ আছে। তাই হায়েজ বা পিরিয়ডের অবস্থায় আজানের উত্তর দিতে ইসলামী শরীয়তে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।

মাসিক অবস্থায় সহবাস করা যাবে কিনা? 

ইসলামের শরীয়ত অনুযায়ী হায়েজ অবস্থায় নামাজ একবারে মাপ কিন্তু‌ রোজা কাজা আদায় করতে হয়। আপনাদের জেনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে হায়েজ অবস্থায় নামাজ,রোজা এবং স্বামী স্ত্রী মিলন অর্থাৎ সহবাস করা সম্পূর্ণ হারাম। ইসলামে পিরিয়ডের অবস্থায় সহবাস করাকে হারাম বলা হয়েছে,কারণ একজন নারীর জন্য হয়েজ অবস্থায় সহবাস তার স্বাস্থের অবনতি ঘটাতে পারে।

হায়েজ অবস্থায় আয়াতুল কুরসি পড়া যাবে?

যেহেতু আয়তুল কুরসি কোরআনের আয়াত সেজন্য অনেকে আয়তাল কুরসি পাঠ করতে সংকোচ বোধ করেন। কিন্তু আয়াতুল কুরসি কোরআনের আয়াতের মতো তেলাওয়াত না করে দোয়া করে যদি পড়া যায় তাহলে হায়েজ অবস্থায় আয়াতুল কুরসি পড়া জায়েজ আছে।

পিরিয়ডের কতদিন পর কুরআন পড়া যায়? 

হায়েজ অথবা মাসিক শেষ হওয়ার পর ফরজ গোসল করে‌ যদি নামাজের ওয়াক্ত হয়ে থাকে তাহলে নামাজ পড়া ফরজ হয়ে যায়। ঠিক সেভাবেই হায়েস থেকে পবিত্রতা হওয়ার পর ওযু করে যে কোন সময় কোরআন পাঠ করা যায়।

রোজা অবস্থায় পিরিয়ড হয়ে গেলে করণীয় কি ! শায়খ আহমাদুল্লাহ

শেষকথাঃ পিরিয়ডের কতদিন পর রোজা নামাজ, সহবাস করবেন - হায়েজ অবস্থায় আমল  

ইসলামের চারটি স্তম্ভের মধ্যে রমজান মাসে রোজা রাখা সকল নারী এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ফরজ ইবাদত। যেহেতু নারীদের শারীরিক গঠন পুরুষের থেকে ভিন্ন সেক্ষেত্রে নারীদের ইবাদতের জন্য কিছু বিধি নিষেধ রক্ষা করতে হয়। হায়েজ অবস্থায় একজন নারী অপবিত্র বা নাপাক থাকেন।

ইসলামে নাপাক অবস্থায় কোন এবাদতই গ্রহণযোগ্য নয়। আশা করি আমাদের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি রোজার সময় মাসিক হলে কি কি করতে হবে? এবং হায়েজ অবস্থায় কি কি করা যাবে না? সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছেন।

আমরা আপনাদের সাথে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি শেয়ার করে অনেক আনন্দিত। হায়েজ অবস্থায় কি কি করা যাবে না এই সম্পর্কে আপনার আপনজনদেরকে জানাতে আমাদের আর্টিকেলটি তাদের সাথে শেয়ার করুন।😊 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url