বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান - চলুন ভ্রমণে যাই এবং স্বাদের খাবার খাই

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান - চলুন ভ্রমণে যাই এবং স্বাদের খাবার খাই

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গানের একটি কলি দিয়ে শুরু করছি "এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি"। সুজলা সফলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ আমাদের এই ছোট বাংলাদেশ। এই দেশে রয়েছে প্রাকৃতিক সমারোহ, পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, খাল-বিল, হাওরসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক সম্পদ। যা ভ্রমণকারীদের মনোরঞ্জন ও বিভিন্ন দিক শিক্ষা দিয়ে থাকে। 

                                                        বাংলাদেশের ম্যাপ            

ভূমিকাঃ   

সবুজে পরিবেষ্টিত ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ, এশিয়া মহাদেশের ছোট এই দেশটিতে মনমুগ্ধকর সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করার মত স্থান রয়েছে। আরও রয়েছে প্রাচীন সাংস্কৃতিক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পরিদর্শনের সুযোগ। এতদপ্রেক্ষিতে, আমি আমার পছন্দের কয়েকটি যায়গা পরিদর্শন এবং ভ্রমণ করেছি। যদি প্রয়োজন হয় বা ভাল লাগে তাহলে আপনিও ভ্রমণ করতে পারেন। আশা করছি সকলের ভাল লাগবে ।

পেজ কনটেন্ট সূচিপত্রঃ







💥 পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার - "প্যারা সন্দেশ" খেতে মিস করবেন না।




 আরো পড়ুনঃ হজ্জ ফরজ হওয়ার শর্ত কয়টি - কত টাকা থাকলে হজ ফরজ হয় জানুন

কক্সবাজার - বিভিন্ন " সামুদ্রিক মাছের ভর্তার" ঘ্রাণ নেয়া

পৃথিবীর সবচেয়ে বড়, প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকতের জন্য পরিচিত এবং ভ্রমণ প্রেমীদের জন্য স্বর্গরাজ্য হচ্ছে কক্সবাজার। এখানে দেখতে পাওয়া যায় সমুদ্র সৈকতের বিশাল আকৃতির ঢেউয়ের প্রশান্তিদায়ক শব্দ, নানা প্রাকৃতিক সামুদ্রিক মাছ, বিভিন্ন দেশের পর্যটক, মনোরম পরিবেশে সামুদ্রিক খাবার উপভোগ করা ইত্যাদি। এছাড়াও, এখানে রয়েছে হিমছড়ির জাতীয় উদ্যান, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, ইনানী বিচ ও কোকা বিচ, মৎস বন্দর, বিমানবন্দর, পাশেই রয়েছে সুবিশাল বাংলাদেশ সুশৃংখল সেনাবাহিনীর সেনানিবাস ইত্যাদি। যা দর্শনার্থীদের পরিপূর্ণ তৃপ্তি দিবে। বিশ্বের ৭ম আশ্চার্যের পর ৮ম আশ্চার্যের প্রায় দায়প্রান্তে আমাদের এই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। এখানে কেউ গেলে সে যেন অবশ্যই বিভিন্ন "সামুদ্রিক মাছের ভর্তা" এর ঘ্রাণ নেয়া।

কক্সবাজারের সামুদ্রিক মাছের শুটকি 
                                                        

রাঙ্গামাটি - নদীর "ছোট মাছ এবং পাহাড়ী আনারস" নিজ হাতে কেটে ছোট ছোট পিচ করে খাওয়া:

প্রাকৃতিক সম্পদ, সবুজ পাহাড়-পর্বত, ছোট-ছোট নদী-নালা, পাহাড়ী জনগোষ্ঠী ইত্যাদি নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা রাঙ্গামাটি। এখানে রয়েছে কাপ্তাই হ্রদ (যেখানে নৌকা ভ্রমণ করা যায়), তবলছড়ি, শুভলং ঝর্ণা (এর দুই পাশ দিয়ে রয়েছে ছোট নদী) ও মুপ্পোছড়া ঝর্ণা, সাজেক ভ্যালি, ঝুলন্ত সেতু, রাঙ্গামাটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরী বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। যা যে কোন ভ্রমণকারীদের অবশ্যই ভাল লাগবে। রাঙ্গামাটি জেলায় পাংখোয়া, চখেয়াং, মুরং, বোম, খুমি, চাকমা, মারমা, তংচঙ্গা, ত্রিপুরা ইত্যাদি গোত্রীয় লোকজন বসবাস করে। উল্লেখ্য যে, এখানে কেউ যদি ভ্রমণে যায় সে যেন অবশ্যই নদীর "ছোট মাছ এবং পাহাড়ী আনারস" নিজ হাতে কেটে ছোট ছোট পিচ করে খাওয়া।

ঝুলন্ত সেতু, রাঙ্গামাটি

সুন্দরবন - "খুলনার নারিকেল" সংগ্রহ করতে ভুলবেন না

সুন্দরবন এটি বাংলাদেশের পশ্চিমবঙ্গে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার অংশ নিয়েই অবস্থিত। ভ্রমণকারীগণ পরির্দশনে আসলেই তাদেরকে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও পশু-পাখি স্বাগত জানায়। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার, বন্য হাতি, কুমির, হরিণ, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, মাছ, সাপসহ বেশ কিছু বিশাক্ত প্রাণী। পাশেই রয়েছে খান জাহান আলী সেতু, খান জাহান আলী মাজার, ষাট গম্বুজ মসজিদ, মোংলা বন্দর ইত্যাদি। উল্লেখ্য যে, ২০০৭ সালে প্রাকৃতিকভাবে বহমান "ঘূর্ণিঝড় সিডর" র আঘাতে সুন্দরবনের বেশ কিছু গাছ-পালা এবং পশু-পাখি মারা যায়। এতে করে সুন্দরবন তার সৌন্দর্য অনেকটি হারিয়ে ফেলে। ভ্রমণে আসলে অবশ্যই খুলনার "খুলনার নারিকেল" সংগ্রহ করতে ভুলবেন না।
                                            
বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার

 আরো পড়ুনঃ আমি এখন কোথায় আছি - সেকেন্ডের মধ্যে আপনার লোকেশন দেখুন
 

খাগড়াছড়ি - কলাপাতা মোড়ানো নদীর "ছোট মাছ এবং পাহাড়ী হাঁসের মাংসের কালা ভুনা" খেয়ে আসতে বাধ্য হবেন: 


প্রাকৃতিক সম্পদ, সবুজ পাহাড়-পর্বত, ছোট-ছোট নদী-নালা, পাহাড়ী জনগোষ্ঠী ইত্যাদি নিয়ে গঠিত খাগড়াছড়ি জেলা। এখানে রয়েছে আলু টিলা, মানিকছড়ি মং রাজবাড়ি, নিউজিল্যান্ড পাড়া, দেবতার পুকুর, রিছাং ঝর্ণা, বিডিআর স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি। এই স্থানগুলি যে কোন ভ্রমণকারীদের অবশ্যই ভাল লাগবে। খাগড়াছড়ি জেলায় চাকমা, মারমা, তংচঙ্গা, ত্রিপুরা, মুরং, বোম, খুমি ইত্যাদি গোত্রীয় লোকের বসবাস রয়েছে। উল্লেখ্য যে, এখানে কেউ যদি ভ্রমণে যায় সে যেন অবশ্যই কলাপাতা মোড়ানো নদীর "ছোট মাছ এবং পাহাড়ী হাঁসের মাংসের কালা ভনা" খেয়ে আসতে বাধ্য হবেন

খাগড়াছড়ির পাহাড়ী রাস্তা

সিলেট - এক কাপ "সাত রঙ্গের চা" পান না করে আসতেই পারবেন না:  


বাংলাদেশের পূর্ব-উত্তারাঞ্চলে অবস্থিত প্রাকৃতিক সমারোহ সিলেট জেলা। এই জেলার চার পার্শ্বে রয়েছে বিপুল পরিমানের চা বাগান, প্রাকৃতিক সম্পদ ও চোখ ধাঁধানো দৃশ্য, পাহার-পর্বত, গ্যাস ফিন্ড, জাফলং (এখানে ছোট একটি নদী রয়েছে, সেখান হতে নিজ হাত দিয়ে পাথর উত্তোলন করতে পারবেন এবং পাশেই রয়েছে ভারতের সীমানা), শাহজালাল ও শাহপরান (রঃ) এর মাজার শরীফ ইত্যাদি। এছাড়াও, এখানের রয়েছে সেনানিবাস (দুইটি), বিমানবন্দর, ঝর্ণাসহ নানাবিধ দর্শনীয় এবং প্রসিদ্ধ স্থানসমূহ। যদি কেউ সিলেট ভ্রমণে যান তবে অবশ্যই এক কাপ "সাত রঙ্গের চা" পান না করে আসতেই পারবেন না।

সিলেটের চা বাগান 

বান্দরবান - মারমারদের ঐতিহ্যবাহী খাবার "মুন্ডি এবং পাহাড়ী ছোট কলা" খেয়ে আসবেন:


প্রাকৃতিক সম্পদ, সবুজ পাহাড়-পর্বত, ছোট-ছোট নদী-নালা, পাহাড়ী জনগোষ্ঠী ইত্যাদি নিয়ে গঠিত বান্দরবান জেলা। এখানে রয়েছে মাতামুহুরী নদী, আলীর সুরং, লামা পাহাড়, পাহাড়ী ঝর্ণা, বেশ বড় বড় পাহাড়, আর্মিদের ক্যাম্প, বান্দরবান শহর, ইত্যাদি। এখানে যে কোন ভ্রমণকারীদের অবশ্যই ভাল লাগবে। বান্দরবান জেলায় মুরং, গোসাই, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, বোম, বুমি ইত্যাদি গোত্রীয় লোকের বসবাস রয়েছে। উল্লেখ্য যে, এখানে কেউ যদি ভ্রমণে যায় সে যেন অবশ্যই মারমারদের ঐতিহ্যবাহী খাবার "মুন্ডি এবং পাহাড়ী ছোট কলা" খেয়ে আসবেন।

বান্দারবানের পাহাড়-পর্বত

আরো পড়ুনঃ ফ্রি লটারী খেলে দৈনিক আয় ১০০০ টাকা ইনকামের ৪ উপায়

চট্টগ্রাম - "মেজবানির গরুর মাংসের কালা ভুনা ও শুটকি" এর স্বাধ নিতে ভুলবেন না: 


চিটাগং বা চট্টগ্রাম হচ্ছে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত দ্বিতীয় বৃহত্তম একটি শহর। এখানে ভ্রমণের জন্য অন্যতম স্থান হচ্ছে হযরত বায়েজীদ বোস্তামি (রঃ) এর মাজার শরীফ, ফয়েজ লেক, জাদুঘর ও শিশু পার্ক, সাফারী পার্ক, স্টেডিয়াম, কাপ্তাই লেক, পতেঙ্গা ইত্যাদি। এছাড়াও এখানে রয়েছে বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর। চট্টগ্রামে ভ্রমণের জন্য আসলে অবশ্যই "মেজবানির গরুর মাংসের কালা ভুনা ও শুটকি" এর স্বাধ নিতে ভুলবেন না।

চট্টগ্রামের ফয়েজ লেক

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার - "প্যারা সন্দেশ" খেতে মিস করবেন না: 


পাহাড়পুর হচ্চে বাংলাদেশের ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য অন্যতম একটি স্থান। বাংলাদেশের কৃষি প্রধান সমৃদ্ধ নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত। প্রাচীনকালে বৌদ্ধ বিহারগণ পাহাড়পুরে বাস করতেন। এখানে বেড়াতে গেলে আপনি বেশ পুরাতন কিছু স্মৃতি দেখতে পারবেন এবং যা অবশ্যই ভাল লাগবে। এখানের ভ্রমণে জন্য গেলে অবশ্যই "প্যারা সন্দেশ" খেতে মিস করবেন না।

পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহার

কুমিল্লা - "কুমিল্লা খাদি কাপড় নিতে এবং রশ মালাই খেতে" ভুলবেন না:


ব্যস্ততম রাজধানী ঢাকা থেকে আনুমানিক প্রায় ১০৫-১১০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত অদ্বিতীয় ঐতিহ্যবাহী শহর হচ্ছে কুমিল্লা। কুমিল্লা শহরে বেড়াতে গেলে দেখতে পারবেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম মিউজিয়াম, কুমিল্লার জাদুঘর, শালবন বিহার, টমচম ব্রিজ, উটখাড়া মাজার, ধর্ম সাগর, ময়নামতি ওয়ার সেন্টার ও মিউজিয়াম, ফান টাউন পার্ক, বীরচন্দ্র গণ-পাঠাগার ও নগর, রূপ সাগর ও ধর্ম সাগর, কুমিল্লা সিটি পার্ক ইত্যাদি। এছাড়াও এ শহরে রয়েছে অনেক পুরাতন একটি সেনানিবাস। ভ্রমণে আসলেই "কুমিল্লার খাদি কাপড় নিতে এবং রশ মালাই খেতে" ভুলবেন না।

 কুমিল্লা সিটি পার্ক

ঢাকা - পুরাতন ঢাকার প্রসিদ্ধ খাবার "বিরিয়ানী, হালিম, কাবাব, জিলাপী ইত্যাদি" এর স্বাদ নিতে ভুলবেন:


বিশ্বের ব্যস্ততম শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাজধানী ঢাকা। রাত-দিন ২৪ ঘন্টাই প্রায়ই ব্যস্ততার মধ্যে অতিবাহিত করে শহরের লোকজন এবং প্রত্যেকটি স্থান। বিশেষ করে অধিকাংশ রাস্তায় সারাক্ষণ যানজট লেগেই থাকে। ঢাকা মধ্যে ভ্রমণের জন্য রয়েছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় জাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, জাতীয় চিড়িয়াখানা, জাতীয় উদ্যান, শিশু পার্ক, তারা মসজিদ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (টিএসসি) সহ অন্যান্য প্রসিদ্ধ স্থান। এছাড়াও ঢাকার পার্শ্বেই রয়েছে জাতীয় স্মৃতিসোধ, ফ্যান্টাসী কিংডম, নন্দন পার্ক (সাভার) ইত্যাদি। গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ সালে বাংলাদেশের এই প্রথম মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত বিস্তৃত অংশটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। এর পরের দিন জনসাধারণের জন্য প্রথম পর্যায়ের প্রথম ও শেষ স্টেশনের মধ্যে বিরতিহীনভাবে মেট্রো সেবা চালু হয়। যদি কেউ ইচ্ছা করেন তাহলে পুরাতন ঢাকার প্রসিদ্ধ খাবার "বিরিয়ানী, হালিম, কাবাব, জিলাপী ইত্যাদি" এর স্বাদ নিতে ভুলবেন না।

বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল


কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) - "আমড়া" না খেলে পস্তাবেন:


কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রসিদ্ধ স্থান। এটিকে কোন কোন ক্ষেত্রে বা কোন কোন ভাষায় "সাগর কন্যা" নামেও পরিচিতি লাভ করেছে। যা বাংলাদেশের বৃহত্তম বরিশালের পটুয়ালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় অবস্থিত। যে কোন সময়ে এখানে পরিদর্শনের জন্য যেতে পারেন। এখানে রয়েছে বৌদ্ধ বিহার, ম্যানগ্রোভ বন, বিভিন্ন হোটেল, রিসর্ট ইত্যাদি। সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো এখান থেকে সমুদ্রের মাঝে সূর্যাস্ত দেখা যায়। সূর্যাস্ত দেখলে মনে হয় পুরো সূর্যটা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এর মাঝে। হারিয়ে গেল। এ এলাকায় ভ্রমণে গেলে অবশ্যই "আমড়া" না খেলে পস্তাবেন।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

মহাস্থানগড় - অবশ্যই "বগুড়ার দই" খেতে মিস করবেন না:


মহাস্থানগড় হচ্ছে বাংলাদেশের ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য অন্যতম একটি স্থান। মহাস্থানগড় প্রাচীন শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং এটি কোন এক সময় বাংলার রাজধানী ছিল। মহাস্থানগড় ঢাকা-বগুড়া হাইওয়ে রোডের সাথে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে বগুড়া জেলায় অবস্থিত। এখানে বেড়াতে গেলে আপনি বেশ পুরাতন কিছু স্মৃতি দেখতে পারবেন এবং যা অবশ্যই ভাল লাগবে। এখানের ভ্রমণে জন্য গেলে অবশ্যই "বগুড়ার দই" খেতে মিস করবেন না।

বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী দই

শেষ কথা: 


বাংলাদেশ একটি মুসলিম সমৃদ্ধ দেশ। এদেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠীই হচ্ছে মুসলিম। ভ্রমণের ব্যাপারে ইসলাম বলেছে "যদি কেউ সওয়াবের নিয়তে ভ্রমণ করে, তাহলে পুরো ভ্রমণটাই তার জন্য সওয়ার হিসেবে গণনা করা হবে"। কাজেই আমাদের সকলেই উচিত সাধ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ যায়গার ভ্রমণ করা। ভ্রমণ করলে অবশ্যই কিছু শিখতে এবং মহান আল্লাহ পাক তাঁর সৃষ্টিকে কত সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন তার সম্পর্কে জানতে পারবেন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url