দান ও সদকা করার ফজীলত সম্পর্কে জানুন

 দান ও সদকা করার ফজীলত সম্পর্কে জানুন


দান এবং সদকা এমন একটা জিনিস যা মানুষের পাপকে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে ফেলে। এই ব্যাপারে সহীহ বুখারী শরীফ এবং সহীহ মুসলিম শরীফে বর্ণনা প্রদান করা হয়েছে “যারা গোপনে দান করবেন, তাদেরকে মহান আল্লাহ তা'আলা কেয়ামতের দিন তাদের আরশের নিচে ছায়া ও শান্তি দান করবেন"। দান করার ফলে বালা মুসিবত, এক্সিডেন্ট, যেকোনো ধরনের অসুস্থতা ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। 


আমাদের আজকের বিষয় হচ্ছে “দান ও সদকা করার ফজীলত সম্পর্কে জানুন” আমরা পর্যায়ক্রমে এই ব্যাপারে আলোচনা করছি। আশা করছি আপনার সকলে আমাদের সঙ্গে থাকবেন। 

  • সূচিপত্রঃ দান ও সদকা করার ফজীলত সম্পর্কে জানুন।
  • ভূমিকা।
  • দান করার ফজীলত সমূহ 
  • উপসংহারঃ দান করার ফজীলত সম্পর্কে জানুন।

দান করার ফজীলত সমূহ 

১। দানশীলতা আল্লাহর স্বভাব (অর্থাৎ, আল্লাহ অতি বড় দাতা ও দয়ালু)।

আরও পড়ুনঃ রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব - রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস


২। বান্দা একখানা রুটির টুকরা দান করলেও আল্লাহ তা সন্তুষ্ট হয়ে গ্রহন করেন এবং তাকে অনবরত বাড়াতে থাকেন। এমনকি, এক টুকরা রুটি ওহুদ পাহাড়ের সমান হয়ে যায়। অর্থাৎ ওহুদ পাহাড়ের সমান রুটি দান করলে যে ছাওয়াব হবে, খাছ নিয়াতে এক টুকরা রুটি দান করলেও আল্লাহ তা'আলা দয়া করে সে পরিমাণ ছাওয়াব দান করবেন। কাজেই কম বেশির প্রতি খেয়াল করবে না, যথাসম্ভব দান করবে।


৩। হুজুর (সাঃ) বলেছেন, তোমরা খুরমার এক টুকরা দিয়ে হলেও জাহান্নামের অগ্নি থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর। অর্থাৎ, অল্প জিনিষ বলে তুচ্ছ না ভেবে, যখন যা থাকে তখন তাই দান কর। নিয়াত ঠিক হলে অল্প জিনিসেও জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

আরও পড়ুনঃ মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম - ওমরা পালনের নিয়ম ও দোয়াসুম


৪।  তোমরা ছদকা, দান দিয়ে আল্লাহর নিকট রুজির বরকত খোঁজ কর।


৫। নিশ্চয়ই দান-খয়রাত কবরের আজাব থেকে বাঁচাবে। নিশ্চয়ই কিয়ামতের ময়দানে দানশীল মুসলমান দান- খয়রাতের ছায়ায় আশ্রয় গ্রহন করবেন। অর্থাৎ, ছদকার বরকতে কবরে শাস্তি দূর হয় এবং হাশরের দিন ছায়া পাওয়া যাবে। ৬। পরোপকারিতা মানুষকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচায় এবং গোপনে দান করা আল্লাহর গজব থেকে বাঁচায় এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে সদ্ব্যবহার লোকের আয়ু বৃদ্ধি করে দেয়। নেক কাজ করতে দেখলে যদি অন্যের উৎসাহ হয়, তবে এমন স্থলে ছাওয়াবের কাজ প্রকাশ্যে করা ভাল। যেখানে এ আশা না থাকে, সেখানে গোপনে করাই উত্তম। যদি প্রকাশ্যে না করার কোন কারণ না থাকে (তবরাণী)।


৬। আল্লাহ দানশীল। তিনি দানশীলতা পছন্দ করেন, উন্নত চরিত্রকে ভাল বাসেন। অর্থাৎ, সাহসিকতার ছাওয়াবের কাজগুলো, যেমন দান-খয়রাত করা, লজ্জাজনক কাজ হতে বেঁচে থাকা, অন্যের উপকারের জন্য নিজের কষ্ট সহ্য করা ইত্যাদি এবং নিচ স্বভাবকে অপছন্দ করেন, যেমন দ্বীনের কাজে দূর্বলতা (হাকেম)।


৭। ছাওয়াবের কাজের পথ দেখানোও ছাওয়াবের কাজ। অর্থাৎ, কেউ যদি নিজে কপর্দক হীন (অভাবী) হওয়ার কারণে সাহায্য করতে না পেরে ভগ্ন হৃদয়ে অন্য কারো কাছে সুপারিশ করে অভাবীর কোন অভাব দূর করে দেয়, তাহলে দাতা যে পরিমাণ নেকী পাবে সেও সেই পরিমাণ ছাওয়াব পাবে। অন্য হাদীসে বর্ণিত আছে, কেউ যদি একটি নেক কাজ করে এবং তার দেখা-দেখি অন্যেরাও সে নেক কাজটি করে, তাহলে অন্যন্য সকলে যে পরিমাণ ছাওয়াব পাবে প্রথম ব্যক্তি তাদের সকলের ছাওয়াবের সমষ্টির সমান ছাওয়াব পাবে (বাজার)।


উপসংহারঃ দান ও সদকা করার ফজীলত সম্পর্কে জানুন। 


আমাদের আজকের বিষয় ছিল “উপসংহার দান ও সদকা করার ফজীলত সম্পর্কে জানুন”। আমরা এই ব্যাপারে চেষ্টা করেছি পর্যাপ্ত আলোচনা করার জন্য। যদি আপনারা “ দান ও সদকা করার ফজীলত সম্পর্কে জানুন” এ থেকে সামান্য পরিমাণ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই  ফ্লখা সার্থক। এ বিশ্যস্তি আপনাদের প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি। 

আরও পড়ুনঃ কিয়ামতের আলামত এবং লক্ষণ – এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানুন


এরকম আরো আর্টিকেল পাওয়ার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। ধন্যবাদ এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url