যাকাত কাদের দেয়া যাবে - যাকাতে কাদের হক রয়েছে জেনে নিন

যাকাত কাদের দেয়া যাবে এই বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে স্পষ্টভাবে বর্ণা করেছেন। যাকাত শুধু দিলেই আদায় হয় না, আপনি যাকাত কাকে অথবা কোথায় দান করছেন তার উপর নির্ভর করে আপনার যাকাত কবুল হওয়া।  

যাকাত কাদের দেয়া যাবে

আল্লাহ তায়ালা নিজেই  যাকাত কাদের দেয়া যাবে এবং কিভাবে যাকাত বন্টন করতে হবে নির্দিষ্ট করে দেয়েছেন। আপনি যদি না জেনে থাকেন কিভাবে যাকাত বন্টন করবেন তবে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পুর্ণ পড়ে নিন; আপনারা এখানে যাকাত কোন কোন কাজে ব্যয় করতে হয়, যাকাত আদায় করার নিয়ম এবং যাকাতের সামাজিক গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন। 

যাকাত কাদের দেয়া যাবে? জাকাত কাদের দেওয়া যাবে

যাকাত কাদের দেয়া যাবে এই প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেনঃ  "সদকাহ শুধুমাত্র নিঃস্ব, অভাবগ্রস্ত এবং সদকাহ আদায়ের কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের জন্য, যাদের মনকে ইসলামের প্রতি অনুরাগী করা আবশ্যক তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে সংগ্রামকারী ও বিপদগ্রস্ত মুসাফিরের জন্য। যাকাত হল আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত ফরয বিধান। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।" [সূরা তাওবাঃ৬০]

আল্লাহ তায়ালা এই আয়াতে সমালোচনার দরজা বন্ধ করার জন্য সদকাহ পাওয়ার হকদার লোকদের কথা উল্লেখ করেছেন। এখানে সদকাসমূহ থেকে উদ্দেশ্য যাকাত। যাকাত এই আট ধরনের লোকদের উপর সীমাবদ্ধ বা তাদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে, যাদের উল্লেখ আয়াতে এসেছে। 

এছাড়া অন্য কারো জন্য যাকাতের অর্থ ব্যয় করা শুদ্ধ নয়। অলামাদের মধ্যে এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে যে, এই আট প্রকার লোক সকলের মাঝেই যাকাত বণ্টন করা জরুরী। নাকি এদের মধ্য হতে যাদের মাঝে ইমাম অথবা যাকাত আদায়কারী প্রয়োজন মনে করবে প্রয়োজন মোতাবেক বণ্টন করতে পারেন? ইমাম শাফেয়ী (রঃ) প্রভৃতিগণ প্রথম রায়টিকে এবং ইমাম মালেক ও ইমাম আবু হানীফা (রঃ) প্রভৃতিগণ দ্বিতীয় রায়টিকে প্রাধান্য দিয়েছেন।


দ্বিতীয় রায়টিই হল অধিক সঠিকবলে মনে করা হয়। ইমাম শাফেয়ী (রঃ)এর রায় মোতাবেক যাকাতের অর্থ কুরআনে বর্ণিত আট ধরনের লোকদের মধ্যে সকলের উপর ব্যয় করা জরুরী। অর্থাৎ অধিকতর প্রয়োজন ও বৃহত্তর কল্যাণের খাত না দেখেই অর্থকে আট ভাগ করে আট জায়গাতেই কিছু কিছু করে খরচ করতে হবে। 

যাকাত কাদের দেয়া যাবে ; তারা হচ্ছে- জাকাত কাদের দেওয়া যাবে

১। ফকির

যাকাত বন্টনের উল্লেখিত ৮টি খাতের প্রথমেই রয়েছে ফকর ও দ্বিতীয়তে মিসকিন, যেহেতু উভয় শব্দ প্রায় সমতুল্য একটি অপরের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। অর্থাৎ, ফকীরকে মিসকীন ও মিসকীনকে ফকীর বলা হয়ে থাকে। সেহেতু এই দুয়ের সংজ্ঞাতে বেশ মতপার্থক্য রয়েছে। যদিও উভয় শব্দের অর্থে এ কথা সুনিশ্চিত যে অভাবী, যে নিজ প্রয়োজন ও দরকার পূর্ণ করার জন্য চাহিদা অনুযায়ী টাকা-পয়সা ও উপকরণ থেকে বঞ্চিত, তাকেই ফকীর-মিসকীন বলা হয়।

২। মিসকিন - কয় শ্রেণীর লোককে যাকাত দেওয়া যায়

মিসকীনের ব্যাপারে এক হাদীস এসেছে যে, নবী (সাঃ) বলেছেন, 'মিসকীন' সে নয় যে দু-এক লোকমার জন্য বা দু-একটি খেজুরের জন্য লোকের দরজায় দরজায় ঘুরে ফিরে বেড়ায়। বরং 'মিসকীন' তো সেই যার কাছে এতটা পরিমাণ মাল থাকে না, যাতে তার প্রয়োজন মিটে যায়। যে না নিজের দরিদ্রতাকে প্রকাশ করে যে, লোকে তাকে গরীব ও হকদার বুঝে স্বাদক্বা-খায়রাত করবে। আর না সে নিজে থেকে কারো কাছে  চাইতে পারে। (বুখারী ও মুসলিম যাকাত অধ্যায়) 

হাদীসে আসল মিসকীন উক্ত ব্যক্তিকে নির্ধারণ করা হয়েছে। ইবনে আব্বাস প্রভৃতিগণের নিকট 'মিসকীন'-এর সংজ্ঞা হল, যে অভাবী এবং ঘুরে-ফিরে লোকের কাছে ভিক্ষা ও যাচ্ঞা করে বেড়ায়। আর 'ফকীর'-এর সংজ্ঞা হল, যে অভাবী হওয়া সত্ত্বেও চাওয়া ও যাচ্ঞা করা হতে বিরত থাকে। (ইবনে কাসীর)

৩। আলেমগন - যাকাতের টাকা মাদ্রাসায় দেয়া যাবে কি

যাকাত আদায়ের কাজে নিযুক্ত কর্মচারী যারা উদ্দেশ্য সরকারের সেইসব কর্মচারী যারা যাকাত ও সদকা আদায় ও বণ্টন এবং হিসাব-নিকাশ করার দায়িত্বে নিযুক্ত। পারিশ্রমিক ও বেতন স্বরূপ এদেরকে যাকাতের মাল দেওয়া চলবে। 

৪। যাদের মনকে ইসলামের প্রতি অনুরাগী করা আবশ্যক

প্রথমতঃ সেই কাফের যে কিছু কিছু ইসলামের প্রতি অনুরাগী হয়, এমন ব্যক্তিকে সাহায্য করলে আশা করা যায় যে, সে ইসলাম গ্রহণ করবে। দ্বিতীয়তঃ সেই অমুসলিম যাকে ইসলামে দৃঢ়স্থির থাকার জন্য সাহায্য করার দরকার হয়। 

তৃতীয়তঃ সেই লোকও এর শামিল যাকে সাহায্য করলে আশা করা যায় যে, সে নিজের এলাকার লোকদেরকে মুসলিমদের উপর হামলা করা থেকে বিরত রাখবে এবং অনুরূপভাবে সে নিজের নিকটতম মুসলিমদেরকে রক্ষা করবে। 

উক্ত সকল লোক এবং এই শ্রেণীর আরো অন্যান্য লোকের উপর যাকাতের মাল ব্যয় করা যেতে পারে;উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ যতোই ধনবান হোক না কেন। হানাফীদের নিকটে এই খাত বর্তমানে অবশিষ্ট নেই। কিন্তু এ কথা শুদ্ধ নয়। অবস্থা ও সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যেক যামানাতে এই খাতের উপর যাকাতের অর্থ খরচ করা বৈধ। 

৫। দাসমুক্তি - কয় শ্রেণীর লোককে যাকাত দেওয়া যায়

কিছু কিছু আলেমাগণ 'দাস' বলতে কেবল সেই দাস মনে করেছেন, যার মালিক তাকে তার ত্রুয়-মূল্য উপার্জন করে দেওয়ার শর্তে মুক্তির চুক্তি লিখে দিয়েছে। পক্ষান্তরে অন্যান্য আলেমাগণ সর্বপ্রকার যুদ্ধবন্দী ও ক্রীতদাসকে বুঝিয়েছেন। ইমাম শাওকানী (রঃ) শেষোক্ত রায়কে প্রাধান্য দিয়েছেন। 

৬। ঋণগ্রস্ত - যাকাত কাদের দেয়া যাবে আয়াত

প্রথমতঃ সেই ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি উদ্দেশ্য যে নিজ পরিবারের খরচাদি এবং জীবনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করতে লোকদের কাছে ঋণ গ্রহণ করেছে। আর তার কাছে নগদ কোন টাকা পয়সা নেই এবং এমন কোন আসবাব-পত্রও বা জমি-জায়গাও নেই যা বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করতে পারে। 

দ্বিতীয়তঃ সেই যামিন ব্যক্তি যে কারো যামিন হয়েছে, অতঃপর যামানতের টাকা তার আসল যিম্মেদার আদায় করতে না পারলে তার ঘাড়ে এসে পড়েছে। তৃতীয়তঃ যার ফল-ফসলাদি দুর্যোগে ধ্বংস হয়ে গেছে বা বাণিজ্য ও শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তার ফলে সে ঋণগ্রস্ত হয়ে গেছে। এই সমস্ত লোকদেরকে যাকাতের খাত থেকে সাহায্য করা বৈধ। 

৭। আল্লাহর পথ

যার অর্থ হল জিহাদ। অর্থাৎ যুদ্ধের সাজ-সরঞ্জাম, অস্ত্রশস্ত্র ও প্রয়োজনীয় আসবাব-পত্র ক্রয় করতে এবং মুজাহিদের জন্য যাকাতের মাল ব্যয় করা জায়েয। আর হাদীসে এসেছে যে, হজ্জ এবং উমরাহও যাকাতের অন্তর্ভুক্ত। অনুরূপ কিছু আলেমাগণের নিকট ইসলামী দাওয়াত ও তাবলীগের কাজও যাকাতের অন্তর্ভুক্ত। কারণ এতেও জিহাদের মতই আল্লাহর কলেমাকে উচ্চ করা উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। 

৮। মুসাফির

মুসাফির অর্থাৎ যদি কোন মুসাফির বৈধ সফরে সাহায্যের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ে; সে যদিও তার দেশে বা ঘরে প্রাচুর্যের অধিকারী হয়ে থাকে, তবুও যাকাতের খাত থেকে তার সাহাজ্য করা বৈধ।

যাকাত আদায় করার নিয়ম - যাকাত কাদের উপর ফরজ

যে ব্যক্তি মালদার বা সম্পদশালী হয়েও যাকাত আদায় করবে না সে আল্লাহর নিকট ভীষন গোনাহগার হবে এবং কিয়ামতের দিন তার জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি ও আযাব। যাকাত নিয়ম মেনে আদায় করলে এর অধিক সোওয়াব রয়েছে, আসুন জেনে নীন যাকাত আদায় করার নিয়ম গুলো-

১। আল্লাহ পাক যে দিন আপনাকে নীসাব পরিমান সম্পদের মালিক করলেন, সেই দিন আল্লাহ পাকের শোকর করবেন এবং সেই তারিখটি (চাদের হিসাবে) লিখে রাখবেন। তারপর যখন বছর শেষ হইয়ে যাবে, তখন কিছুমাত্র বিলম্ব না করে হিসাব করে যাকাত বের করে দিতে হবে। নেক কাজে দেরী করা উচিত নয়। 

২। মালের চল্লিশ ভাগের একভাগ যাকাত দিতে হবে। একশত টাকায় ২০০ টাকা, ৪০ টাকায় ১ টাকা দিতে হইবে।



৩। যে সময় যাকাতের মাল কোন গরীব মিস্কীনের হাতে দিবেন, তখন মনে মনে এই খেয়াল (নিয়াত) করবেন যে, এই মাল আমি যাকাত বাবৎ দিছি। যদি দিবার সময় এইরূপ নিয়ত মনে উপস্থিত না থাকে তবে যাকাত আদায় হবে না, যাকাত পুনরায় দিতে হবে। নিয়ত ছাড়া যাই দিয়াছেন তা নফল সদকা হইয়ে যাবে এবং তার সওয়াব পৃথকভাবে পাবেন।

৪। কেউ যাকাতের মাল যখন গরীবের হাতে দেয়, তখন যাকাতের কথা মনে করে না, এইরূপ অবস্থায় ঐ মাল গরীবের হাতে থাকতে থাকতে যদি যাকাতের নিয়ত করে, তবুও যাকাত আদায় হইয়ে যাবে, কিন্তু খরচ করে ফেলার পর যদি নিয়ত করে, তবে যাকাত আদায় হবে না; পুনরায় যাকাত দিতে হবে।

৫। কেউ যদি দুই টাকা পৃথক যাকাতের নিয়তে এক জায়গায় রেখে দেয় যে, যখন কোন উপযুক্ত পাত্র পাওয়া যাবে, তখন তাকে দেওয়া হবে, তারপর যখন উপযুক্ত পাত্র পায়ে তাকে দেবেন, তখন যাকাতের নিয়তের কথা তার মনে আসে নাই। এইরূপ অবস্থা হইলে যাকাত আদায় হইয়ে যাবে। যদি পৃথক করে না রাখতো তবে যাকাত আদায় হতো না।

৬। কেউ হিসাব করে যাকাতের টাকা বের করল। এখন তার ইচ্ছা, একজনকেই দিইয়ে দেক বা অল্প করে কয়েক জনকে দেক। যদি অল্প অল্প করে কয়েক দিন পর্যন্ত দেয়, তবে তাও জায়েয আছে। আর যদি তখন দিইয়ে ফেলে সেটাও ঠিক আছে।

৭। যাকাত যাকে দিবে অন্ততঃ এত পরিমাণ দিবেন যেন ঐ দিনের খরচের জন্য সে আর অন্যের মুখাপেক্ষী না হয়। (কম পক্ষে এত পরিমাণ দেওয়া মুস্তাহাব। এটি অপেক্ষা কম দিলেও যাকাত আদায় হইয়ে যাবে।)

৮। যত মাল থাকলে যাকাত ওয়াজিব হয় তত থাকার এক জনকে দেওয়া মকরূহ। তা সত্ত্বেও দিলে যাকাত আদায় হইয়ে যাবে। তদপেক্ষা কম দেওয়া জায়েয আছে; মকরূহও নহে।

৯। কোন একজন গরীব লোক আমীনের নিকট টাকা ধার চাইলো; আমীন জানে সে এমন অভাবগ্রস্ত যে, টাকা দিলে আর দিতে পারবে না বা দিবেও না, এই কারণে আমীন হাওলাত বলে তাকে যাকাতের টাকা দিল, কিন্তু আমীনের মনে নিয়ত রইল যে, সে যাকাত দিচ্ছে এমতাবস্থায় যদিও সে হাওলাত মনে করে, তবুও আমীনের যাকাত আদায় হয়ে যাবে। (কিন্তু সে যদি কোনদিন হাওলাত শোধ করিতে আসে, তবে আমীন নিবে না, তাকেই আবার দিয়ে দিবেন।)

১০। যদি কোন গরীবকে পুরস্কার বা বখশিশ বলে যাকাতের মাল দেওয়া হয়, কিন্তু মনে যাকাতের নিয়্ত থাকে, তবে তাতেও যাকাত আদায় হয়ে যাইবে। (সম্মানী অভাবগ্রস্ত লোককে যাকাতের কথা বলে দিলে হয়ত তারা মনে কষ্ট পেতে পারে, এই জন্য তাদেরকে এই ভাবেই দেওয়া সঙ্গত।)

লেখকের মন্তব্যঃ যাকাত কাদের দেয়া যাবে- যাকাতে কাদের হক রয়েছে জেনে নিন

ইসলামে যাকাত কাদের দেয়া যাবে তা বলে দেওয়া হয়েছে। আপনার যাকাত সঠিক মানুষদের মাঝে ভাগ করা একান্ত জরুরী, কোন ভাবেই হক দাতাদের বাদ দেওয়া যাবেনা। আশা করি আপনি আজকের এই আর্টিকেল পড়ে স্পষ্ট হতে পেরেছেন যে যাকাতে কাদের হক রয়েছে । 

আমারা আগামীতে আপনাদের জন্য যাকাত সম্পর্কিত আরো তথ্য নিয়ে আসতে চলেছি। আমাদের আর্টিকেল আপনাদের কার্যকরো মনে হলে সবার সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।  

কিভাবে যাকাত দিতে হয় তা নিয়ে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর । FAQs

বর্তমানে কত টাকা থাকলে যাকাত ফরজ হয় ?

বর্তমানে ৯৪৫০০ টাকা থাকলে যাকাত ফরজ হবে।

যাকাতের টাকা মাদ্রাসায় দেয়া যাবে কি ?

জি হ্যা! যাকাতের টাকা মাদ্রাসায় দেয়া যাবে।

কত ভরি স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয় ?

৭.৫ তোলা স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url