স্নায়ুর ক্ষতির কারণ কি?

আপনি কি জানতে চান স্নায়ুর ক্ষতির কারণ কি? সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। আজকের আর্টিকেলে আলোচনার বিষয় স্নায়ুর ক্ষতির কারণ কি? আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা জানতে পারবেন স্নায়ুর ক্ষতির কারণ কি? সে সম্পর্কে। চলুন তাহলে নিচে বিস্তারিতভাবে জেনে আসি স্নায়ুর ক্ষতির কারণ কি? এই বিষয়ে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ স্নায়ুর ক্ষতির কারণ কি?

ভূমিকা

দৈনন্দিন জীবনে সারাদিনে অতিরিক্ত মাত্রায় কাজ করতে হয়, কখনো কখনো এই মানসিক চাপ ক্রমশই বাড়তে থাকে। এমতঅবস্থায় খাওয়া-দাওয়ার প্রতি অনেকটা অনিহা দেখা দেয়। আসলে অতিরিক্ত কাজের চাপ হলে খাওয়া-দাওয়ার প্রতি মনোযোগ আসে না কিংবা সময় হয়ে উঠে না। এভাবেই তৈরি হয় শারীরিক সমস্যার, পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে শারীরিক ও মানসিক অশান্তি কাজ করে।

এ সমস্ত কারণে অনেক সময় স্নায়ু দুর্বল হয়ে পড়ে। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা শারীরিক অসুস্থতাকে বুঝতে পারেন না। আবার এমনও অনেক মানুষ আছেন যারা অসুস্থতা বুঝতে পারার পরেও এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এভাবেই শরীর অনেক বেশি অসুস্থতাই জড়িয়ে পড়ে। আজ আপনাদের মাঝে আলোচনা করতে যাচ্ছি, স্নায়ুর ক্ষতির কারণ কি? স্নায়ুর ক্ষতির উপসর্গ এবং স্নায়ুর ক্ষতি প্রতিরোধে করণীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।

স্নায়ুর ক্ষতির কারণ কি?

আমাদের শরীরের জন্য স্নায়ুতন্ত্র বা নার্ভ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের  সমন্বয় সাধন করে স্নায়ুতন্ত্র। কোন কারণে স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হয়ে গেলে বা ক্ষতি হলে এটি বড়ই বিপদজনক হতে পারে শরীরের জন্য। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা স্নায়ুর ক্ষতির কারণ কি? সে সম্পর্কে। আর তাই এখন আপনাদের মাঝে আলোচনা করব স্নায়ুর ক্ষতির কারণ কি? সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে।


বিশেষজ্ঞদের মতে, স্নায়ুর দুর্বল হয়ে যাওয়া কিংবা স্নায়ু ক্ষতির অনেকগুলো কারণ থাকে। তবে সবচেয়ে অন্যতম হলো, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, টিউমার, ক্যান্সার, ডিজেনারেটিভ জয়েন্স, এইচআইভি ও ডিস্ক রোগ। এ সমস্যা গুলো ছাড়াও নির্দিষ্ট কিছু সংক্রমণ ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে স্নায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। আমাদের শরীরে ক্ষতিকর টক্সিন জমার কারণেও স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে হরমোনের ইমব্যালেন্স ঘটে থাকে, সেই সাথে কিডনি ওর লিভারের সমস্যার কারণেও স্নায়ু ক্ষতি হয়ে থাকে। আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা ধূমপানে আসক্ত, এই সমস্ত ব্যক্তির স্নায়ুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এছাড়াও অনেকের পুষ্টির অভাবে স্নায়ুর ক্ষতি হয়ে থাকে। 

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা সঠিক সময়ে খাবার না খাওয়া বা পুষ্টির অভাবজনিত কারণেও স্নায়ুর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মানব দেহের জন্য স্নায়ু খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর তাই কোন কারণে স্নায়ু ক্ষতি হলে এটি আমাদের জন্য বড়ই বিপদজনক হয়ে উঠবে। এর ফলে অনেক সময় নার্ভ পেন হতে পারে এমনকি পুরোপুরিভাবে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়ে যেতে পারে। এতক্ষণ আপনারা জানলেন স্নায়ুর ক্ষতির কারণ কি? সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। এখন আপনাদের মাঝে আলোচনা করতে যাচ্ছি স্নায়ুর ক্ষতির উপসর্গ কি কি সে সম্পর্কে।

স্নায়ুর ক্ষতির উপসর্গ 

স্নায়ুর রোগ সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। তবে শরীর সুস্থ রাখতে হলে অতিরিক্ত বিপদজনক অবস্থায় পড়তে না চাইলে স্নায়ুর ক্ষতির উপসর্গ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হবে। স্নায়ুর ক্ষতির উপসর্গ গুলো নিচে আলোচনা করা হল।

মাথাব্যথাঃ এখনকার সময়ে এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যাদের মাথা ব্যাথা সমস্যা হয় না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হলে সে বিষয়ে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে, মাথা ব্যথার সাথে যদি জ্বর,  ব্ল্যাক আউট ও বমি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে সমস্যাটি স্নায়ুজনিত সমস্যা।

কোমরের নিচে ব্যথা হওয়াঃ এ সময় কোমরের নিচে তীব্র ব্যথা অনুভব হতে পারে, এ ব্যথা যদি প্রতিদিনের হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।

হাত কাঁপা সমস্যাঃ স্নায়ুর ক্ষতির উপসর্গের মধ্যে এটি একটি বহুল প্রচলিত উপসর্গ হাত কাঁপা সমস্যা।

ঝিনঝিনে অনুভূতিঃ এ সময় শরীরের যে কোন অংশে ঝিনঝিন অনুভূতি হতে পারে। তবে সবথেকে বেশি হাতে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে, এমতঅবস্থায় হাত থেকে যে কোন জিনিস হঠাৎ করেই পড়ে যেতে পারে।


এই সময় শরীরের যে কোন অংশে ব্যথা অনুভব হতে পারে, শরীর অবশ হয়ে আসতে পারে এবং সেই সাথে হাতে-পায়ে যন্ত্রণাও অনুভব হতে পারে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে মাথা ঘোরানো, অতিরিক্ত পরিমাণে গরম অনুভুতি ইত্যাদিও স্নায়ু ক্ষতির উপসর্গ।

 স্নায়ুর ক্ষতি প্রতিরোধে করণীয় 

স্নায়ুর ক্ষতি প্রতিরোধে বিভিন্ন রকম পদ্ধতি অবলম্বন করা সম্ভব। এই সমস্ত সতর্কতা গুলো অবলম্বন করার ফলে স্নায়ুর ক্ষতির সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়। স্নায়ু রোগের উপসর্গ গুলো দেখা দিলে নিজের মধ্যে চেপে না রেখে নিউরোলজিস্টের সাথে আলোচনা করতে হবে। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী উপায়ে চলাফেরা করতে হবে। 

ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ব্যাথাজনিত স্থানে বরফের সেঁক দেওয়া যায় এক্ষেত্রে রোগীরা অনেকটাই স্বস্তি পান। আর অবশ্যই এই সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণের বিশ্রাম প্রয়োজন। বিশ্রামের পাশাপাশি ব্যায়ামের ব্যবস্থা থাকতে হবে। স্নায়ু রোগের উপসর্গগুলো দেখা মাত্রই যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। এর ফলে সমস্যাটি অল্প সময়ের মধ্যেই সমাধান করা সম্ভব।

স্নায়ুর ক্ষতির কারণ কি?- শেষ কথা

মানব দেহের জন্য স্নায়ুতন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর তাই স্নায়ুর ক্ষতির কারণ কি? এই সমস্ত বিষয়ে যথাযথ ধারণা রাখা উচিত। আমাদের নিজেদেরকে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই সর্ব বিষয়েই লক্ষ্য রাখতে হবে।


আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জেনেছেন, স্নায়ুর ক্ষতির কারণ কি? স্নায়ুর ক্ষতির উপসর্গ ও স্নায়ুর ক্ষতি প্রতিরোধে করণীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ২৫২৪২

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url