বাচ্চাদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ

বাচ্চাদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ

বাচ্চাদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না সাধারণত যার ফলে বাচ্চারা অনেক বিপদের মধ্যে পড়ে। যদি আপনার বাচ্চার কাপুনি দিয়ে জ্বর আসে তাহলে বাচ্চাদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া উচিত। আপনাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলে বাচ্চাদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ সম্পর্কে আলোচনা করব।

তাহলে চলুন দেরি না করে বাচ্চাদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ বাচ্চাদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ

বাচ্চাদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ

বিভিন্ন রকম ভাবে বাচ্চাদের জ্বর আসে সাধারণত কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা অন্যতম। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর বিভিন্ন কারণ রয়েছে সাধারণত এমনি এমনি কাঁপুনি দিয়ে কখনো জ্বর আসে না। বাচ্চাদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে এতে করে আমরা আমাদের বাচ্চাদের খুব সহজেই উন্নত চিকিৎসা প্রদান করতে পারব। তাহলে চলুন বাচ্চাদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

 

আরো পড়ুনঃ আবির নামের অর্থ কি - আবির নামের ছেলেরা কেমন হয়

বাচ্চাদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার অন্যতম প্রধান কারণ হলো মূত্রনালীতে সংক্রমণ। সাধারণত অনেক বাচ্চাদের ক্ষেত্রেই জন্মগতভাবে এই সমস্যাটি দেখা দেয়। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে কিডনি জনিত সমস্যা এছাড়া আরো বেশ কিছু সমস্যার কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। যদি বাচ্চাদের মূত্রনালীতে সংক্রমণ হয় তাহলে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে।

সাধারণত যখন বাচ্চাদের তাপমাত্রা হুট করে বেড়ে যায় তখন তাদের কাঁপুনি চলে আসে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কাপড় দিয়ে জ্বর আসে এটিকে অনেকেই খিঁচুনি বলে থাকে। সাধারণত কারো ক্ষেত্রে যদি খিচুনির সমস্যা থাকে তাহলে তার ক্ষেত্রে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। ছয় মাসের শিশু থেকে ৬ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো দেখা যায়।

এছাড়া বাচ্চারা যদি ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে তাদের খেতে অনেক সময় কাপুনি দিয়ে জ্বর আসে। আপনাদের সুবিধার্থে ম্যালেরিয়া রোগ হল মশাবাহিত একটি রোগ। সাধারণত মশার কামড়ে এই রোগ হয়ে থাকে। সাধারণত যদি কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে তাহলে এর অন্যতম কারণ হতে পারে ম্যালেরিয়া রোগ। এ বিষয়টি আপনাকে সবসময় মাথায় রাখতে হবে।

বাচ্চাদের ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ

সাধারণত শিশুরা যদি ভাইরাস এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হয় তাহলে তাদের জ্বর হয়ে থাকে। আপনাদের জানা সুবিধার্থে বলে রাখি যে জ্বর হলো দেহের একটি প্রতিরোধমূলক প্রক্রিয়া। জীবাণু অনুপ্রবেশের পর শরীর তার বিরুদ্ধে লড়াই গড়ে তুলে যার ফলে জ্বর হয়ে থাকে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন জ্বর হওয়া কখনোই ভালো নয়। এজন্য আমাদেরকে বাচ্চাদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা রাখতে হবে।

১। যে সকল শিশুদের অতিরিক্ত পরিমাণে ঠান্ডা লাগার জন্যই তো সমস্যা দেখা দেয় অথবা সর্দি কাশি হয়ে থাকে অথবা ঘন ঘন জ্বর হয় সাধারণত তাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

The causes of fever in a child

২। কিছু রোগ আছে যেগুলো আক্রমণ করলে ঘন ঘন জ্বর হয়ে থাকে। সাধারণত এই রোগ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যক্ষা ম্যালেরিয়া এবং টাইফয়েড জ্বর। সাধারণত শিশুদের ঘন ঘন জ্বর হওয়ার অন্যতম কারণ হলো এগুলো।

৩। যদি কোন শিশুর জন্মগতভাবে মূত্র তন্ত্রের ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে বারবার জ্বর আসতে পারে। তাই আমরা বলতে পারি যে প্রসাবের সংক্রমণ হলে ঘন ঘন জ্বর হয়ে থাকে।

৪। অনেক সময় কিছুই জটিল কারণেও শিশুদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন জ্বর হয়ে থাকে সাধারণত এগুলোর মধ্যে সমস্যা অথবা মারাত্মক রোগ ক্যান্সার হতে পারে।

৫। অনেক সময় ঘন ঘন জ্বর আসার কারণ আমরা খুঁজে পাই না সাধারণত এটি ভাইরাস জনিত কারণে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনি যদি প্যারাসিটামল নিজের সন্তানকে খাওয়াতে পারেন তাহলে খুব সহজেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

শিশুর জ্বর হলে করণীয়

অনেক পিতা-মাতা রয়েছে যারা শিশুদের জ্বর হলে কি করতে হবে এই করণীয়গুলো সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা রাখেনা। যেহেতু শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাই অবশ্যই পিতা-মাতার জেনে রাখতে হবে যে শিশুর জ্বর হলে কি করতে হবে অর্থাৎ করণীয়গুলো। আমরা ইতিমধ্যেই বাচ্চাদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ সম্পর্কে আলোচনা করছি এখন ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয় জেনে নিন।

আরো পড়ুনঃ শসা গাছের পাতা কোকড়ানো রোগ

১। যদি শিশুদের অতিরিক্ত পরিমাণে জ্বর থাকে তাহলে এই পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখতে হবে কখনোই অতিরিক্ত তাড়াহুড়া করা যাবে না এবং আপনার শিশুকে শান্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।

২। বাচ্চাকে অবশ্যই এটি নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন সে পড়ে না যাই অথবা শরীরের কোন স্থানে আঘাত না পাই।



৩। শিশুদের জ্বর হলে তাদেরকে নরম কিছুর উপরে এক পাশে কাত করে শুয়ে রাখতে হবে। এতে করে মুখ থেকে নিঃসৃত লালা শাকনালীতে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।

৪। যদি শিশুদের জ্বর অতিরিক্ত হয়ে থাকে তাহলে মলদ্বার দিয়ে প্যারাসিটামল সাপোজিটার দেওয়ার মাধ্যমে জ্বর কমানোর চেষ্টা করতে হবে।

৫। যদি জ্বরের সময় বাচ্চাদের খিচুনি আসে তাহলে এই সময় যদি বাচ্চার শরীরে জ্বর থাকে তাহলে তার কাপড়-চোপড় গুলো খুলে ফেলতে হবে এবং তাকে ঠান্ডা রাখতে হবে।

বাচ্চাদের খিচুড়ি লক্ষণ

কোন বাচ্চার যদি খিচুনি রোগ থাকে তাহলে আপনি কিভাবে বুঝবেন যে সেই বাচ্চার খিচুনি রোগ আছে। অবশ্যই আপনাকে সেই রোগের লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আমরা সকলেই জেনেছি যে প্রতিটি রোগের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। ঠিক তেমন বাচ্চাদের খিচুনি লক্ষণ রয়েছে অবশ্যই আমাদেরকে এগুলো জেনে রাখতে হবে তাহলে খিচুনির হলে আমরা খুব সহজে তা নির্ণয় করতে পারব।

  • খিঁচুনি রোগ বাচ্চাদের হলে সাধারণত চেতনা অনেকটাই কমে যায়।
  • এ সময় বাচ্চাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের পরিবর্তন আসে।
  • চোখের মধ্যে অস্বাভাবিক নড়ন দেখা দেয়।
  • এ সময় বাচ্চাদের বাহু বা এবং পুরো শরীর শক্ত হয়ে যায়।
  • বাচ্চাদের কোন ধরনের জ্ঞান থাকে না।

আমাদের শেষ কথাঃ বাচ্চাদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে বাচ্চাদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ, বাচ্চাদের ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ, শিশুর জ্বর হলে করণীয়, বাচ্চাদের খিচুড়ি লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু আমাদের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় সমস্যাগুলো দেখা দেয় তাই অবশ্যই আমাদেরকে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে।

আরো পড়ুনঃ কেন মিষ্টি কুমড়া খাবেন

এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। অবশ্যই এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো জানতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url