আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ ও ঔষধগুলো কতটা কার্যকর

আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনে রাখা আপনাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ,কেননা আমাশয় রোগ সাবার মধ্যেই প্রায় দেখা যায়। যদিও এটি গুরুতর কোন রোগ না,তবে দ্রুত নিরামায় না করতে পারলে এটি ভয়ঙ্কর ব্যথাসহ ডায়রিয়ার রুপ নিয়ে ডিহাইড্রেশন ঘটাতে পারে। 

আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ

তাই আমাশয় রোগের লহ্মণ দেখা দিলে দ্রুত আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ যা পাওয়া যায় তা নিয়ম অনুযায়ী সেবন করুন। 

সূচিপত্রঃ আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ ও ঔষধগুলি কতটা কার্যকর

আমাশয় রোগ 

আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ এ কিভাবে খুজবেন তা জানার আগে আমাশয় রোগ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানুন। আমাশয় রোগ হলো অন্ত্রের প্রদাহ যা মলের মধ্যে রক্ত ​​এবং মিউকাস দেখা দেয়।  এটি ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট হয়। এই অবস্থায়, রোগী দিনে অনেকবার আধা-তরল মল ত্যাগ করে। এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ এবং এটি মল-মুখের মাধ্যমে ছড়ায়।  

আরো পড়ুনঃ সহজ ঘরোয়া উপায়ে দাউদ কিভাবে ভালো হয় এখুনি জানুন

এইভাবে, একত্রে বসবাসকারী পরিবার বা হোস্টেলে থাকা ছাত্রদের মতো একদল লোক সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। তাছারা এনাল সেক্সের পায়ুপথ সহবাসের মাধ্যমেও এই আমাশয় রোগ সংক্রমণ ছড়ায়।

আমাশয় রোগের আয়ুর্বেদিক ঔষধের নাম 

আয়ুর্বেদিক আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ এ প্রায় অনেকেই জানেন না কিন্তু তা অধিকাংশ মানুষ ব্যভার করে থাকেন। আয়ুর্বেদিক ঔষধকে অনেকে গাছামো ঔষধ নামেও অ্যাখায়িত করেন। আয়ুর্বেদিক আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ এ কোন গুলো জেনে নিন- 

তেঁতুলঃ

যদি দীর্ঘদিন যাবত আমাশয় রোগে ভুগতে থাকেন বা পুরাতন আমাশয় থাকলে ৪ থেকে ৫ গ্রাম তেঁতুল পাতা সিদ্ধ করে রস করে তা ছেঁকতে হবে। তারপর এই তেঁতুলের রসকে জিরার ফোড়নে সাঁতলে নিয়ে খেলে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে বহুদিনের পুরানো এবং পেটে সঞ্চিত আম (Mucus) দ্রুত বের করে দেয় এবং ভাল হয়ে যায়। যাদের নতুন আমাশয় রোগের ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদিক ঔষধের ব্যবহার হয়ে থাকে।

থানকুনিঃ 

আমাশয় হলে অনেকসময় আমাতিসার এবং জ্বর দুটাই দেখা দেয়। এই সমস্যাটা  সাধারণত বাচ্চাদেরই বেশী দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে এই থানকুনি পাতার রস গরম করে ছেঁকে খাওয়াতে পারেন। খুব উপকার হবে।

বেতো বা বতুয়া শাকঃ

রক্ত আমাশয়ের ক্ষেত্রে বেতো বা বতুয়া শাক খুবই উপকারি। বতুয়ার শাকের রস ৩ থেকে ৪ চা চামচ অল্প গরম করে দুধ মিশিয়ে খেলে অর্শের রক্তপড়া বন্ধ হয়। আর শুধু আমাশায় রোগের ক্ষেত্রে বেতোশাক শুকিয়ে গুড়ো করে অল্প দই মিশিয়ে খেতে পারেন আমাশয় দ্রুত সেরে যাবে।

হলুদঃ 

আমাশয় বা পেটের যে কোন সমস্যায় হলুদ খেতে পারেন। ৩০০-৪০০ গ্রাম হলুদ খেলে আমাশয় রোগ তাড়াতাড়ি ভাল হয়ে যাবে।

অর্জুনঃ

রক্ত আমাশয়ের সমস্যা থাকলে  ৪ থেকে ৫ গ্রাম অর্জুন ছালের ক্বাথ ছাগলের দুধের সাথে মিশিয়ে খেল রক্ত আমাশয় থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

আমড়াঃ

রক্ত আমাশয় রোগ দেখা দিলে বা মলের সঙ্গে রক্ত পড়লে এক্ষেত্রে আমড়ার আঠা ৩ থেকে ৪ গ্রাম আধা কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে তার সঙ্গে আমড়া গাছের ছালের রস এক চা চামচ মিশিয়ে সাথে একটু চিনি দিয়ে মিশিয়ে খেলে ২ দিনের মধ্যেই ঐ রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং রক্ত আমাশাও দ্রুত সেরে যাবে।

গোল মরিচঃ

আমাশয়ের সমস্যা থাকার পরে ও অনেক সময়  আম বা মল বেশি পড়ে না। কিন্তু পায়খানা করতে অনেক কষ্ট হয়। এক্ষেত্রে গোল মরিচ ভেঙে  এক বা দেড় গ্রাম মাত্রায় সকালে ও বিকালে দু’বার পানি দিয়ে খেতে হবে। এভাবে খেলে ২-৩ দিনের মধ্যে জমে থাকা আম বের হয়ে যাবে।

আমাশয় রোগের আয়ুর্বেদিক ঘরোয়া উপায় 

আমাশয় রোগের জন্য আপনি আমাশয় রোগের আয়ুর্বেদিক ঔষধ বেছে নিতে পারেন যা বাড়িতে তৈরি করা যেতে পারে।  আমাশয় রোগের আয়ুর্বেদিক ঘরোয়া উপায় হিসেবে যা অনুসরণ করতে পারেন তা নিম্নরূপ-
  • গুঁড়া শুকনো আদা মূল, আমলা গুঁড়া, লম্বা এবং কালো মরিচ সমান অনুপাতে মেশান। এই শুকনো মিশ্রণটি কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করেও আপনি রাখতে পারেন যা পরে আমাশয় রোগীকে দেওয়া যায়।  সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য, দিনে দুইবার হালকা গরম পানির সাথে এক চা চামচ এই মিশ্রণটি আমাশয় রোগীকে খেতে দিন ।
  • আমাশয় রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার আরেকটি দুর্দান্ত ঘরোয়া  উপায় হচ্ছে বাটারমিল্ক যাকে বাংলাদেশে ঘোল বলা হয় তা পান করা। শুধু সামান্য বিট লবণের পাশাপাশি গুঁড়া ভাজা জিরা যোগ করে নিন। এই মিশ্রণটি দিনে দুইবার নাস্তার সাথে এবং দুপুরের খাবারের সময় পান করুন।

আমাশয় রোগের হোমিও ঔষধের নাম 

আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ যা হোমিও ওষধও হতে পারে। আমাশয় রোগের হোমিও ওষুধ দারা চিকিত্সার মধ্যে একটি ব্যাপক চিকিত্সা পরিকল্পনা রয়েছে যা সংক্রমণের দীর্ঘস্থায়ী এবং তীব্র উভয় ক্ষেত্রেই আমাশয় রোগের চিকিত্সার জন্য কাজ করে।  আমাশয়ের জন্য এই ওষুধগুলো সংক্রমণের কারণে উদ্ভাসিত লক্ষণ অনুসারে কাজ করে।

টেনেসমাসের সাথে আমাশয় রোগের জন্য; মল (টেনেসমাস) মলত্যাগ করার অবিরাম অনুভূতি সহ আমাশয়ের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত ওষুধগুলো হল Mercurialis Corrosivus, Asclepias Tuberosa এবং Mercurius Solublis।

 1. Mercurialis Corrosivus - স্বল্প শ্লেষ্মা এবং রক্তের জন্য- Mercurialis Corrosivus হল একটি ওষুধ যা আমাশয় রোগের চিকিৎসায় সামান্য শ্লেষ্মা এবং রক্ত ​​দিয়ে, কিন্তু চরম টেনেসমাসের সাথে ব্যবহার করা হয় যা আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ এ।

 2. অ্যাসক্লেপিয়াস টিউবেরোসা - 'আগুনের স্রোত' সংবেদনের জন্য- অ্যাসক্লেপিয়াস টিউবেরোসা একটি ওষুধ যা আমাশয় রোগের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয় যেখানে মল নরম এবং ভ্রূণ হয় এবং টেনেসমাস স্থির থাকে। মল উপশম হলে পেটের ভেতর দিয়ে আগুনের স্রোত বয়ে যাওয়ার অনুভূতি হয়।

 3. মারকিউরিয়াস সলুব্লিস - মূত্রাশয়ের টেনেসমাসের জন্য- মারকিউরিয়াস সলুব্লিস একটি ওষুধ যা মূত্রাশয় এবং মলদ্বারে টেনেসমাস থাকে যেখানে আমাশয় রোগের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়।

 4. অ্যালোস - জেলির মতো মল সহ আমাশয়ের জন্য- অ্যালোস একটি ওষুধ যা অতিরিক্ত শ্লেষ্মা সহ জেলির মতো মল দিয়ে আমাশয় রোগের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়। মলত্যাগের পর মলদ্বার ব্যথা অনুভব করে।  মলের গঠন ছোট, বাদামী, অর্ধ-তরল, এবং তারা সহজেই নড়াচড়া করে।

 5. ক্যাপসিকাম - রক্তাক্ত মল সহ আমাশয়ের জন্য- ক্যাপসিকাম হল এমন একটি ওষুধ যা আমাশয় রোগের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত রক্তাক্ত মল যাতে প্রচুর শ্লেষ্মা থাকে।  এছাড়াও অতিরিক্ত জ্বলন এবং টেনেসমাস আছে জন্য এই আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ এ পরামর্শ দেওয়া হয়।

6.ক্যান্থারিস রক্তাক্ত মল সহ জন্য এবং সেনেসিও অরিয়াস রক্তাক্ত মলের সাথে আমাশয় রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ।

আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ

আমাশয় এর সাথে রক্ত যাওয়া খুব খারাপ লক্ষণ এই জন্য আপনাকে pivmecillinam গ্রুপ এর ঔষুধ খেতে হবে। এবং যা রক্ত আমাশয় রোগ ভালো করে সাথে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে; ওরস্যালাইন, ডাবের পানি, ভাতের মাঠ, চিড়ার পানি, এবং সাথে যথেষ্ট পানি পান করতে হবে।

আমাশয় রোগের থেকে মুক্তি পেতে এবং রক্ত যাওয়া রোধ করতে Alexid200 mg ট্যাবলেট সেবন করতে হবে ৩ বেলা করে মোট ৩দিন। প্রতি ট্যাবলেট এর মুল্য ১৫ টাকা করে,এটি দ্রুত কার্যকরী ঔষুধ Aristopharma company Ltd এর রক্ত আমাশয় এর জন্য। তাছারা আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ এ খোজ করলে যেসকল নাম পাওয়া যায় তা নিম্নে কোম্পানির নাম অনুয়ায়ী দেওয়া হলো-

আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ

  • Alexid যা  Aristopharma কোম্পানির  ঔষুধ - ১টি ট্যাবলেট ১৫ টাকা
  • Bacilex এটি Pharmadesh কোম্পানির  ঔষুধ - ১টি ট্যাবলেট ১৮ টাকা
  • Emcil এটি Square কোম্পানির  ঔষুধ - ১টি ট্যাবলেট ১৫ টাকা
  • Lexipen 200 যা Techno Drug কোম্পানির  ঔষুধ - ১টি ট্যাবলেট  ১২ টাকা
  • Pinam এটি Kemiko  কোম্পানির  ঔষুধ - ১টি ট্যাবলেট ১২ টাকা
  • Pivcilin এটি  Rangs Pharma কোম্পানির  ঔষুধ - ১টি ট্যাবলেট ১২ টাকা 
  • Pivicil এটি General কোম্পানির  ঔষুধ - ১টি ট্যাবলেট ১২ টাকা 
  • Relexid এটি Renata কোম্পানির  ঔষুধ - ১টি ট্যাবলেট ১২ টাকা
আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ এ শীর্ষে রয়েছে Alexid200 mg ট্যাবলেট ও Pharmadesh কোম্পানির  ঔষুধ Bacilex। তারপরও আপনি এই ঔষধগুলো খাওয়ার আগে অবশ্যয় ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। 

শেষকথাঃ আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ ও ঔষধগুলো কতটা কার্যকর

আমাশয় রোগের হ্মেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ওষুধ না খাওয়াই উত্তম,কেননা আমাশয় রোগ একটি সংক্রামন রোগ তাই ঔষধগুলো কতটা কার্যকর হবে তা নির্ভর করে আপনার আমাশয় কতোটা গুরুত্ব তার উপর।  

আমাদের সাইটে অন্তর্ভুক্ত তথ্য শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে এবং একটি স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার দ্বারা চিকিত্সার জন্য একটি বিকল্পের উদ্দেশ্য নয়। অনন্য স্বতন্ত্র চাহিদার কারণে,আপনাদের পরিস্থিতির জন্য তথ্যের উপযুক্ততা নির্ধারণ করতে আপনাদের উচিত সেই বিষয়ে চিকিত্সকের সাথে পরামর্শ করা।🥰 

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url