ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল

ঋণ আধুনিক জীবনের একটি সাধারণ দিক হয়ে উঠেছে, যা প্রায়ই ব্যক্তি এবং পরিবারের জন্য চাপ এবং আর্থিক বোঝার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে, ঋণের ওজন কমাতে পারে এমন নির্দেশনা এবং সমাধান খোঁজা অপরিহার্য। ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরান, ঋণ ব্যবস্থাপনা ও নির্মূল করার জন্য মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি এবং নীতি প্রদান করে। এই ব্লগ পোস্টে, আমরা ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল এবং ঋণমুক্ত জীবনের জন্য এটি যে প্রজ্ঞা প্রদান করে তা অন্বেষণ করব।

ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল

পেজ সূচিপত্রঃ  ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল

ঋণ মুক্তির শ্রেষ্ঠ আমল পাহাড় পরিমাণ ঋণ হলেও ঋণ মুক্তি হবে

যারা ভালো নেই ঋণের বোঝায় জর্জরিত হয়ে আছেন যারা অনেক ঋণগ্রস্থ হয়ে গেছেন তাদের জন্যই আজকে আমি এখানে একটি কার্যকারী আমল উল্লেখ করবো যেটি আপনার ঋণ পরিশোধ হবে যদিও তা পাহাড় পরিমাণও হয়। 

আরো পড়ুনঃ আমার বিয়ে কবে হবে | যে দোয়ার বরকতে দ্রুত বিয়ে হয়

এই আমলটি অত্যন্ত কার্যকারী আমল কেননা মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগ থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত ওলামাসহ হাজার হাজার মানুষ এই দোয়াই দৈনিক উপকৃত হচ্ছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহিহ হাদিসে এই আমলটি পাওয়া যায়। 

আমার প্রিয় পাঠকগণ শুধু একবার এই আমলটি করেই দেখুন দেখবেন মহান আল্লাহ তায়ালা কোথায় থেকে আপনার সকল ঋণ গুলো দূর করে দিবেন এবং আপনাকে আর্থিকভাবে সচ্ছল বানিয়ে দেবেন ইনশাআল্লাহ। সেই হাদিস খানা বা আমলটি নিচে উল্লেখ করা হলোঃ 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন যারা ঋণের বোঝায় জর্জরিত যাদের ঋণ পাহাড় সম হয়ে গেছে তারা যদি এই দোয়াটি পড়ে ঋণ মুক্তির সমস্ত ব্যবস্থা আল্লাহ করে দেন (তিরমিজি ও মিশকাত) এই হাদিসটি রয়েছে বিশেষ করে মিশকাত শরীফে ২৪৪৯ নম্বর হাদিস এটি।

দোয়াটি হলোঃ 

اللهم اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عن حَرَامِكَ ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাকফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।

দোয়াটির অর্থ হচ্ছেঃ হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রিজিক আমার জন্য যথেষ্ট কর, তোমাকে ছাড়া আমাকে আর কারো মুখাপেক্ষী করোনা, স্বীয় অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে সচ্ছলতা দান করো।

আমলের নিয়মঃ  প্রতি ফরজ নামাজের পর ০৭বার পড়ুন, আর যখনই মনে হবে তখনই এই দোয়াটি পড়বেন যারা অধিক ঋণগ্রস্থ রয়েছেন।

ঋণ থেকে মুক্তি হওয়ার কোরআনী আমল

ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার জন্য হাদিস শরীফে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনীতে এবং মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর যুগের সাহাবীরাও অনেক ঋণ গ্রহণ করতেন এবং তারা ঋণ থেকে উদ্ধারের জন্য মহানবী সাঃ এর কাছ থেকে বিভিন্ন রকমের হাদিস শুনতেন সেই হাদিসগুলোরই গুরুত্বপূর্ণ কিছু হাদিস আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো

হাদিস ০১ঃ ঋণমুক্তির দু'আ

“একদা হযরত আলী রাঃ এর কাছে একটি গোলাম এসে বলে যে আমি অনেক ঋণ গ্রহণ করেছিলাম এবং আমি সেই ঋণ পরিশোধ করতে এখন অপারক আমি কি করব। তখন হযরত আলী রাঃ বলেন আমি কি তোমাকে এমন একটি হাদিস শিখিয়ে দেব না! যেটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছেন। যে হাদিসটি পড়ার মাধ্যমে তোমার যদি (সাবীর) অর্থাৎ পর্বত পরিমাণ ঋণ থাকে তাও মহান আল্লাহ তালা তোমাকে তার পরিশোধ করার ব্যবস্থা করে দিবেন।” (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৬৩)

দোয়াটি হলোঃ 

اللهم اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عن حَرَامِكَ ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাকফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।

দোয়াটির অর্থ হচ্ছেঃ হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রিজিক আমার জন্য যথেষ্ট কর, তোমাকে ছাড়া আমাকে আর কারো মুখাপেক্ষী করোনা, স্বীয় অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে সচ্ছলতা দান করো।

হাদিস ০২ঃ ঋণ থেকে আশ্রয় চাওয়া

‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে এই বলে দু‘আ করতেন, হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে গুনাহ এবং ঋণ হতে পানাহ চাচ্ছি। একজন প্রশ্নকারী বলল, (হে আল্লাহর রাসূল)! আপনি ঋণ হতে এত বেশী বেশী পানাহ্ চান কেন? তিনি জওয়াব দিলেন, মানুষ ঋণগ্রস্ত হলে যখন কথা বলে মিথ্যা বলে এবং ওয়াদা করলে তা খেলাফ করে।” (সোর্স)

اللهم إني أعوذ بك من الكسل والهرم والمأثم والمغرم 

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা! ইন্নি আউযুবিকা মিনাল কাসালি, ওয়াল হারামি, ওয়াল মা’ছামি, ওয়াল মাগরামি।

অর্থ:  হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে অলসতা, অধিক বার্ধক্য, গুনাহ এবং ঋণ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

হাদিস ০৩ঃ ঋণমুক্ত থাকতে রাসুল (সা.) যে দোয়া পরতেন

হিলাল ইব্‌ন ’আলা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলতেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক নামাযের পর এ সকল দু’আ দ্বারা আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। 

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الهَمِّ وَالحَزَنِ، وَالعَجزِ وَالكَسَلِ، وَالبُخلِ وَالجُبنِ، وَضَلَعِ الدَّينِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

তিনি বলতেনঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি কৃপণতা, কাপুরুষতা, চরম বার্ধক্যে উপনীত হওয়া, দুনিয়ার ফিতনা এবং কবরের আযাব থেকে।

হাদিস ০৪ঃ ঋণ থেকে মুক্তি জন্য রাসুল (সা.) এর হাদিস

একদা জনৈক সাহাবী মসজিদের দিকে এগিয়ে আসছিলেন এবং তার মুখ খান অনেক গাম্ভীর্য এবং ভারী হয়ে থাকায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই সাহাবীকে জিজ্ঞাসা করলেন যে তোমার কি হয়েছে। তখন সেই সাহাবীটি মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে বলে যে আমি অনেক ঋণ নিয়েছিলাম এবং সেই ঋণ আমি কিভাবে শোধ করবো তার কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছি না। 

এজন্য মসজিদের দিকে যাচ্ছি আল্লাহর দয়া পাওয়ার আশায়। তখন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই সাহাবী কে বললেন আমি তোমাকে একটি দোয়া শিখিয়ে দেব যেটি তুমি প্রতিনিয়ত আমল করবে ইনশাআল্লাহ! আল্লাহ তোমার সকল ঋণ দূর করে দেবেন এবং তোমাকে ধন-সম্পদে ভরিয়ে দিবেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিসটি শোনার পর সেই সাহাবী যখন প্রতিনিয়ত সেটি আমল করল। 

হঠাৎ একদিন সেই সাহাবী আবার একইভাবে মসজিদের দিকে আসছিলেন কিন্তু এইবার হাসিমুখে মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে আসছিলেন। তখন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসেই সাহাবী কে জিজ্ঞাসা করলেন যে তুমি আজকে হাসছো কেন। উত্তরের সেই সাহাবী বললেন আপনার শেখানো হাদিসটি আমল করার পর আমার ঋণ দূর হয়ে গেছে এবং আল্লাহ আমাকে এত ধন-সম্পদ দিয়েছে যে আমাকে যাকাত বের করার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেছে "সুবহানাল্লাহ"।

আশা করি উপরের কয়েকটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন কিভাবে আপনি ঋণ থেকে মুক্তি পাবেন।

অধিক ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ার ৫টি কার্যকারী উপায়

অধিক ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এখানে কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব যেই পদ্ধতি গুলো আপনি যদি অবলম্বন করেন তাহলে ঋণগ্রহণ থেকে আপনি মুক্ত থাকতে পারবেন এবং অধিক ঋণ গ্রহণ করা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন যাতে করে আপনাকে আর  বেহালদশাই কখনো পরতে না হয়।

প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ করবেন না 

কোরান অতিরিক্ত ঘৃণা এড়ানোর গুরুত্বের উপর জোর দেয় এবং বিশ্বাসীদেরকে তাদের সাধ্যের মধ্যে বসবাস করতে উৎসাহিত করে। ইসলাম অর্থসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে মধ্যপন্থাকে উৎসাহিত করে। মুসলমানদের তাদের আর্থিক পরিস্থিতি সততার সাথে মূল্যায়ন করার এবং অপ্রয়োজনীয় ঋণ এড়িয়ে দায়িত্বশীলভাবে ঋণ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় যা আর্থিক অস্থিতিশীলতা এবং কষ্টের কারণ হতে পারে। সংযম অনুশীলন এবং আবেগপ্রবণ ব্যয় থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে, ব্যক্তিরা অপ্রতিরোধ্য ঋণ জমা হওয়া রোধ করতে পারে।

সুদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখুন

ঋণ সংক্রান্ত কুরআনের শিক্ষার একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হল সুদের নিষেধাজ্ঞা, যা সুদ বা রিবা নামেও পরিচিত। ইসলাম ব্যক্তি ও সমাজের জন্য শোষণমূলক এবং ক্ষতিকর বিবেচনা করে যে কোনো ধরনের সুদভিত্তিক লেনদেনকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। কোরান আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ন্যায্যতা এবং ন্যায়পরায়ণতা প্রচার করে এবং লাভ-বন্টন বা অংশীদারিত্বের মতো বিকল্প ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করে। এই নীতি মেনে চলার মাধ্যমে, মুসলমানদের ঋণমুক্ত বিকল্প খুঁজতে এবং নৈতিক আর্থিক অনুশীলনে জড়িত হতে উৎসাহিত করা হয়।

ঋণ না নিয়ে সাহায্য নেওয়ার চেষ্টা করুন

কোরান বিশ্বাসীদেরকে ঋণের বোঝায় সাহায্য ও সমর্থন চাইতে উৎসাহিত করে। আর্থিক সংকটের সময় মুসলমানদের সাহায্য, নির্দেশনা এবং ধৈর্যের জন্য আল্লাহর দিকে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়। উপরন্তু, জ্ঞানী ব্যক্তি এবং আর্থিক বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ চাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সহায়তার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে এবং উপযুক্ত নির্দেশনা চাওয়ার মাধ্যমে, ব্যক্তিরা ঋণ কাটিয়ে উঠতে এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যবহারিক সমাধান খুঁজে পেতে পারেন।

আপনার সম্পদের যাকাত বের করুন

জাকাত, ইসলামে প্রদানের বাধ্যতামূলক কাজ, ঋণের সমস্যা সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কুরআন মুসলমানদের তাদের জাকাতের বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে উত্সাহিত করে, যার মধ্যে তাদের সম্পদের একটি অংশ অভাবগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য দেওয়া অন্তর্ভুক্ত। যাকাত অনুশীলনের মাধ্যমে ব্যক্তি সমাজের কল্যাণে অবদান রাখে এবং অন্যের ঋণের বোঝা লাঘব করে। উপরন্তু, দাতব্য স্বেচ্ছাসেবী কাজগুলিতে জড়িত হওয়া উদারতা এবং সহানুভূতির গুরুত্বকে আরও শক্তিশালী করে, পাশাপাশি আধ্যাত্মিক এবং আর্থিক সুবিধা প্রদান করে।

একটি পরিকল্পিত জীবন ব্যবস্থা সাজান

কোরান ঋণ দূরীকরণের কার্যকরী হাতিয়ার হিসেবে আর্থিক শৃঙ্খলা ও পরিকল্পনাকে প্রচার করে। মুসলমানদের তাদের অর্থের জন্য একটি কাঠামোগত পদ্ধতি অবলম্বন করতে উত্সাহিত করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে বাজেট, ট্র্যাকিং ব্যয় এবং আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ। তাদের আয় এবং ব্যয় পরিকল্পনা এবং সংগঠিত করে, ব্যক্তিরা ঋণ পরিশোধের জন্য তহবিল বরাদ্দ করতে পারে এবং ধীরে ধীরে তাদের আর্থিক বাধ্যবাধকতাগুলি দূর করতে পারে। কোরান জ্ঞানী আর্থিক সিদ্ধান্ত এবং দায়িত্বশীল অর্থ ব্যবস্থাপনার মূল্যের উপর জোর দেয়।

ঋণ একটি অতি কঠিন বিষয়

এতকিছু আমরা জানার পরে এখন আমি আপনাদের সঙ্গে একটি ঘটনা শেয়ার করব যেটি নবীর যুগে ঘটেছিল একদিন ব্যক্তির জানাযায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম জান। সেখানে যাওয়ার পর মহানবী সাঃ প্রথমেই সাহাবীগণ কে জিজ্ঞাসা করেন যে, এই ব্যক্তির কোন ঋণ আছে কিনা। তখন তাদের মধ্য থেকে একজন বলে ওঠে জি হুজুর! এর ঋণ আছে যে ঋণ এখনো শোধ করা হয়নি। রাসূল সাঃ  তখন তাদেরকে বলেন যে এই ব্যক্তির জানাজা তোমরাই পড়ে দাও আমি এ ব্যক্তি জানাজা পড়বো না।

আপনারা কি ধারণা করেছেন এই ঘটনা থেকে কী প্রতীয়মান হয় ঋণ পরিশোধ করার আগে মৃত্যুবরণ করলে তার রুহু আসমানে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। এর জন্য ঋণ যখন গ্রহণ করবেন তখন খুব সাবধান থাকবেন এতোটুকু ঋণ গ্রহণ করবেন যতটুকুন আপনি শোধ করতে পারবেন। কেননা আপনার ঋণ আপনি ছাড়া অন্য কেউ শোধ করে দেবে না।

কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল

কোটিপতি কেই বা না হতে চাই কিন্তু কোটিপতি হওয়ার কি কোরআনী আমলও আছে? জি হ্যাঁ কোরআন হচ্ছে সেই গ্রন্থ যেই গ্রন্থে দুনিয়ার এমন কোন জিনিস নাই যার সমাধান পাবেন না। মহান আল্লাহতালা মানব জাতির কল্যাণের জন্য সকল কিছুই এই কোরআন মজিদের মধ্যে লিপিবদ্ধ করেছেন। 

আমরা মুসলমান হিসেবে যদিও আমাদের কোটিপতি হওয়ার চেয়ে ঈমানদার হয়ে দুনিয়া ছেড়ে যাওয়ার লোভটাই সবচেয়ে বেশি। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা অনেক গরীব এবং আর্থিকভাবে খুবই অসচ্ছল তারাও চাইলে এই দোয়াগুলো পরতে পারেন এবং আপনার অসচ্ছলতা কাটিয়ে উঠতে পারেন। 

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন আল্লাহর কাছে বেশি বেশি চান। এবং যতটা সম্ভব দান খয়রাত করার চেষ্টা করুন। দান খয়রাতের চেয়ে বড় আমল নেই দান-খয়রাত এমন একটি আমল যে আমলে সকল পাপের মোচন সম্ভব। আল্লাহর দিকে ফিরে আসেন এক আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস গ্রহণ করুন এবং প্রতি ফরজ নামাজের পর উপরে বর্ণিত দোয়া গুলি পাঠ করুন ইনশাল্লাহ আপনিও কোটিপতি হতে পারবেন।

শেষ কথাঃ  ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল

আশা করি আজকের এই পুরো আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন কিভাবে ঋণ থেকে মুক্তি পেতে হয় তার কোরআনী আমল কি কি? কি কি হাদিস রয়েছে যে হাদিস গুলো জানার মাধ্যমে আপনারা ঋণ থেকে মুক্তি পাবেন এবং কোটিপতি হতে পারবেন। এমনই নিত্য নতুন সব খবরা-খবর পাওয়ার জন্য পাশে থাকা বেল বাটনটি প্রেস করে ড্রিম আইটিসিকে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। ধন্যবাদ🥰


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url