সরকারি ল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা ২০২৩ | খরচ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক এবং ক্ষমতাশালী শিক্ষাগত পেশা হচ্ছে আইন পেশা। আর এই আইন পেশার শিক্ষা পাঠ পাওয়া যায় ল কলেজ থেকে। সরকারি ল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা নিয়ে লিখা আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আইন পেশা অত্যন্ত ক্রিটিকাল এবং সময় সাপেক্ষ একটি সাবজেক্ট। কথায় বলে ডাক্তারি আর আইন পেশায় সারা জীবন পড়াশোনা করতে হয়।
আপনার আমার মত ছাত্র জীবনে অনেক শিক্ষার্থীদেরই স্বপ্ন থাকে যে সে আইন পেশা নিয়ে পড়াশোনা করবে। আমাদের দেশে সর্বপ্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই আইন বিষয়ে পড়াশোনা করানো হতো। কিন্তু সময়ের প্রেক্ষিতে এবং জনসংখ্যার দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশে এখন অনেক সরকারি বেসরকারি ল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব সরকারি ল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা, ল কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য আপনার কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে, ল কলেজে ভর্তি খরচ কত, ল কলেজে পড়াশোনা করতে আপনাকে সর্বমোট কত খরচ বহন করতে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত। তাহলে চলুন শুরু করা যাক ল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা ২০২৩ নিয়ে লিখা আজকের এই আর্টিকেলটি।
পেজ সূচিপত্রঃ সরকারি ল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা ২০২৩ | খরচ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- সরকারি ল কলেজে পড়ার খরচ
- সরকারি ল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা ২০২৩
- সরকারি ল কলেজে ভর্তির সময়
- সরকারি ল কলেজের তালিকা ২০২৩
- সরকারি ল কলেজে ভর্তির সময় যা যা দরকার
- অনার্স পাশের পর কি ল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন
- আবেদনকারীর ল কলেজে (LLB) প্রাথমিক আবেদন ফরম পূরণ করণীয়
- এলএলবি ভর্তি তথ্য, যোগ্যতা, খরচ ও পড়শুনার মেয়াদ নিয়ে ভিডিও দেখুন
সরকারি ল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা ২০২৩
বর্তমানে আমাদের দেশের অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিষয়ে পড়াশোনা করার ব্যবস্থা করেছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বলেন আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বলেন আপনি যেই বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন না কেন আপনাকে সেখানে প্রচুর পরিমাণ পড়াশোনা এবং পরিশ্রম করতে হবে। এবং তার সাথে আপনাকে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল পেয়ে যোগ্যতার সহিত পাশ করতে হবে তবেই আপনি সরকারি ল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন।
কেননা আমাদের দেশে সরকারি ল কলেজের সংখ্যা খুবই কম যেখানে বেসরকারি অনেক ল কলেজ রয়েছে কিন্তু অনেকেই চাই যে সরকারি ল কলেজ থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করতে। এজন্য সর্বপ্রথম আপনাকে সরকারি ল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা গুলো নিজের মধ্যে আয়ত্ত করতে হবে।
সাধারণত এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করার পরেও আপনি সরকারি ল কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারেন এছাড়া অনার্স বা মাস্টার্স ডিগ্রি পাস করার পরেও আপনি সরকারি ল কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য এপ্লিকেবল হতে পারেন।
ওপরে আমরা বলেছি যে সরকারি ল কলেজের সংখ্যা খুবই কম যার জন্য আপনাকে প্রাইভেট ল কলেজে ভর্তির চাইতে সরকারি ল কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য অধিক পরিমাণ পরিশ্রম এবং প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হবে। এছাড়াও সরকারের ল কলেজে যদি আপনি চান্স পেয়ে যান তাহলে অনেক সুযোগ সুবিধা আপনি সেখান থেকে পাবেন আর যেহেতু সরকারি ল কলেজ তাহলে সেখানে পড়াশোনার খরচও বেসরকারি ল কলেজগুলোর থেকে অনেক কম হবে।
আসুন আমরা নিচে দেখে নেই যে সরকারি ল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা গুলো রয়েছে সেগুলো কি কিঃ
এসএসসি পরীক্ষায় আপনার যে সকল মার্ক প্রয়োজন পড়বেঃ
- আপনি যদি মানবিক বিভাগে হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে 3.50 পেয়ে পাস করতে হবে।
- আপনি যদি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র বা ছাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ৩.৫০ পেয়ে পাস করতে হবে।
- আপনি যদি ব্যবসায়ী শাখার শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলেও আপনাকে ৩.৫০ পেয়ে পাশ করতে হবে।
এইচএসসি পরীক্ষার নূন্যতম জিপিএ কত থাকতে হবে
- আপনি যদি মানবিক বিভাগে হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ৩.৫০ পেয়ে পাস করতে হবে।
- আপনি যদি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র বা ছাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ৩.৫০ পেয়ে পাস করতে হবে।
- আপনি যদি ব্যবসায়ী শাখার শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলেও আপনাকে ৩.৫০ পেয়ে পাশ করতে হবে।
অর্থাৎ ওপরের এই সেকশন দুটি থেকে আপনি এটা বুঝতে পেরেছেন যে আপনার এসএসসি এবং এইচএসসি এই দুইটা পরীক্ষাতে সর্বমোট ৭ নম্বর থাকতে হবে অর্থাৎ ৩.৫০ এসএসসিতে এবং এইচএসসিতে ৩.৫০ থাকতে হবে। তবেই কিনা আপনি সরকারি ল কলেজে পড়াশোনা করতে পারবেন। অপরপক্ষে আপনি যদি বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে বা বেসরকারি কোন কলেজ থেকে ল বা আইন পেশায় পড়াশোনা করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনার পয়েন্ট কম থাকলে কোন সমস্যা নেই।
অনার্স পাশের পর কি ল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন
জি আপনারা যারা সরকারি ল কলেজে আবেদন করতে চান তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যেকোনো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক পাস করার পর ল কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি কোন দেশের বাইরে থেকে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রী পাস করে আসেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইউনিভারসিটি গ্রেট কমিশন থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী হতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি পাস করার জন্য আপনাকে অনার্স চার বছর পাস হতে হবে অথবা ডিগ্রি তিন বছর পাস হতে হবে। এই দুইটা এক্সামের ক্ষেত্রে আপনার সর্বমোট ৪০% সিজিপিএ ২.০ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। কেবলমাত্র এর পরেই আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি পাস কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন।
সরকারি ল কলেজের তালিকা ২০২৩
ধরুন আপনার ভাগ্য অনেক ভালো এবং আপনার ভাগ্যক্রমে এবং আপনার সরকারি ল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অনুযায়ী আপনি বাংলাদেশের কোন একটি সরকারি ল কলেজে চান্স পেয়ে সেখান থেকে আইন পাস করলেন। ব্যাস আপনার পেশাগত জীবনে সকল চিন্তা এখানেই শেষ হয়ে গিয়েছে কারণ আপনি যখন সরকারি কোনো ল কলেজ থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে বের হবেন তখন আপনার আর কোন চিন্তা থাকবে না কারণ আইন পেশায় অনেক টাকা ইনকাম করা যায়।
আমাদের দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অধীনে ল বা আইন পেশায় পড়াশোনা করার সুযোগ করে দিয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মতে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মোট ল কলেজের সংখ্যা হচ্ছে ৭১ টি যার মধ্যে সবচেয়ে স্বনামধন্য এবং সবচেয়ে আগ্রহের তালিকায় যেই ল কলেজগুলো রয়েছে সেই সরকারি ল কলেজের তালিকা গুলো নিম্নরূপঃ
- বঙ্গবন্ধু ল কলেজ যেটি কুমিল্লায় অবস্থিত
- রাজধানী ঢাকায় সেন্ট্রাল ল কলেজ
- এবং নবাবগঞ্জ জেলায় নবাবগঞ্জ ল কলেজ।
বাংলাদেশের সরকারি ল কলেজের তুলনায় বেসরকারি বা প্রাইভেট ল কলেজই বেশি সংখ্যায় রয়েছে এবং আপনি চাইলে সরকারি সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ল বিষয়ে নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন নির্দ্বিধায়।
সরকারি ল কলেজে ভর্তির সময় | আইন কলেজে ভর্তি হওয়ার নোটিশ ২০২৩
প্রতিবছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসের দিকে সরকারি ল কলেজে ভর্তি ফরমটি ছাড়া হয়ে থাকে। সেখান থেকে আপনাকে প্রথমে প্রাথমিক আবেদন ফ্রি ৩০০ টাকা নির্দিষ্ট স্থানে জমা প্রদান করার পর পূরণ করে সাবমিট করতে হয়। এজন্য আপনি যেকোন ক্রোম ব্রাউজার বা ডেক্সটপ থেকে এই (https://sylhetlawcollege.com/admission/LLB-part-one/registration) এড্রেস টাইপ করে তাদের কাঙ্খিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেন অথবা এখানে চাপুন।
উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর সেখানে ভর্তি হওয়ার জন্য যেভাবে আপনাকে আবেদন করতে হবে তার সকল বিষয় আপনি জেনে যাবেন। তাছাড়া আমরা এইবার নিজের সেকশনে আপনাদেরকে জানাবো সরকারি ল কলেজে পড়ার খরচ কত, আবেদনকারী ল কলেজে প্রাথমিক আবেদন ফরম কিভাবে পূরণ করবেন এবং সরকারি ল কলেজে ভর্তির সময় যেসব কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় তা নিয়ে বিস্তারিত।
তাই আপনি যদি সরকারি ল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা এবং সরকারি ল কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
এলএলবি ভর্তি তথ্য, যোগ্যতা, খরচ ও পড়শুনার মেয়াদ- সকল বিশ্ববিদ্যালয় (LLB Admission)
সরকারি ল কলেজে ভর্তির সময় যা যা দরকার
- প্রথমত আপনার পাসপোর্ট সাইজের চার থেকে পাঁচ কপি ছবি থাকতে হবে।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি থাকতে হবে।
- এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার সত্যায়িত মার্কশিটের ফটোকপি থাকতে হবে।
- চার বছরের অনার্স এবং তিন বছরের ডিগ্রী পাসের মাসিক এর ফটোকপি থাকতে হবে।
- এছাড়াও আপনি যে সরকারি ল কলেজে ভর্তি হবার পর অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা রত অবস্থায় থাকবেন না তার একটা ব্ল্যাংক ডাটা এন্ট্রি ফার্ম এর ফটোকপি আপনাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
- এছাড়াও আপনি ফর্ম পূরণ করার পর সেই ফর্মে একটা হ্যান্ডকপি আপনার কাছে রেখে দিতে হবে যেটা পরবর্তীতে আপনার কাজে আসতে পারে।
আবেদনকারীর ল কলেজে (LLB) প্রাথমিক আবেদন ফরম পূরণ করণীয়
ওপরে সেকশনে আমরা যে কাঙ্খিত ওয়েবসাইট এর এড্রেসটি আপনাকে প্রোভাইড করেছি সেই কাঙ্খিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনি সেখানে সরকারী ল কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য যে ফর্মটি রয়েছে সেটা পেয়ে যাবেন। ফর্মটি যখন আপনি পাবেন সেই ফর্মটি সঠিক সকল তথ্য দিয়ে আপনাকে পূরণ করতে হবে।
প্রথমত অবস্থায় আপনাকে আপনার নাম, আপনার পিতামাতার নাম, আপনার বর্তমান ঠিকানা, আপনি কোথায় থেকে পড়াশোনা করেছেন, আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার, আপনার পড়াশোনা বিষয়ে যাবতীয় তথ্যগুলো আপনাকে এখানে এন্ট্রি করাতে হবে। এখানে একটা জিনিস সবসময় মাথায় রাখবেন এই জায়গায় কোন ভুল তথ্য দেওয়া যাবে না। কেননা পরবর্তীতে যদি আপনার কোন ভুল তথ্য এখানে পাওয়া যায় তাহলে আপনি আর ল কলেজে ভর্তি হবার জন্য যোগ্য প্রার্থী বলে বিবেচিত হবেন না সুতরাং আপনাকে এখানে একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এরপর আপনি যে অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনাররত অবস্থায় নাই সেটার জন্য আপনাকে একটি ব্ল্যাংক ডাটা এন্ট্রি ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং সেটা সেই ফর্ম এর সাথে এডজাস্টেবল করে দিতে হবে। আপনার ছবি আপনার সার্টিফিকেট এই সকল কিছুর সাইজ গুলো পারফেক্ট রেখে পিডিএফ করে তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করাতে হবে।
আপনার সমস্ত তথ্য এবং ছবিসহ যখন সবগুলো পূরণ করে সাবমিট অ্যাপ্লিকেশন ক্লিক করার পর আপনার রোল এবং পিন কোড সেখানে প্রদান করা হবে। আপনি যে ফর্মটি পূরণ করেছেন সেই ফর্মটি আপনাকে A4 সাইজের কাগজে প্রিন্ট করে বের করে নিতে হবে।
এরপর আবেদনসমের প্রিন্ট কপি সহ আপনার সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত ফটোকপি, আপনার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি এবং প্রাথমিক আবেদন ফ্রি যেটা বলেছিলাম ৩০০ টাকা সহ আপনার পছন্দনীয় ল প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সেটা জমা প্রদান করতে হবে।
আশা করি প্রাথমিকভাবে কিভাবে ল কলেজের আবেদন ফরম পূরণ করতে হয় সেটা বুঝতে পেরেছেন। যদি বুঝতে না পারেন তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব আরো ভালোভাবে।
সরকারি ল কলেজে পড়ার খরচ ২০২৩
যেহেতু আপনি সরকারি ল কলেজে পড়াশোনা করবেন বলে আপনার মনস্থির করেছেন সেক্ষেত্রে আপনাকে বেশি টাকা খরচ করার প্রয়োজন হবে। কেননা সব ক্ষেত্রে সরকারি কোন জায়গায় তুলনামূলক অন্যান্য সকল অংশ থেকে খরচ কমই হয় তাই না। এক্ষেত্রে আপনাকে সব মিলিয়ে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা খরচ করলেই মূলত আপনি সরকারি ল কলেজ থেকে আইন পাস করতে পারবেন।
কিন্তু আপনি যদি তার বিপরীত হন অর্থাৎ আপনি যদি বেসরকারি কোন কলেজ থেকে ল বিষয়ে বা আইন বিষয়ে পড়াশোনা করতে চান তাহলে আপনাকে একটু বেশি খরচ করতে হবে এক্ষেত্রে আপনার সর্বোচ্চ তিন থেকে চার লক্ষ টাকার প্রয়োজন হতে পারে। প্রথমত অবস্থায় যখন প্রথম বাংলাদেশে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করানো হয় তখন দুই বছরের জন্য এলএলবি পড়ানো হতো। কিন্তু বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আন্ডারে চার বছর মেয়াদী এলএলবি কোর্স চালু করেছে সরকার।
যার প্রতি করছে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন যাই বলে না কেন মোটমাট আপনাকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মত খরচ করতে হতে পারে। যদিও আমি যে আপনার সঙ্গে কত টাকা খরচ হবে এই তথ্যগুলো শেয়ার করছি এগুলো একদম একুরেট তথ্য না কেননা কলেজের ওপর এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপর এটা নির্ধারিত যে তারা কখন কোন সময় কোন কোর্সের কি পরিমান টাকা চার্জ করবে।
তাই আপনি যখন সরকারি ল কলেজে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করবেন ওই সময়টাই আপনি জানতে পারবেন যে আসলেই কত টাকা খরচ হচ্ছে আপনার। আমরা যেই ধারণাটুকু আপনাকে দিলাম এটা জাস্ট সচরাচর যারা ল কলেজে পড়াশোনা করছে তাদের থেকে পাওয়া একটি তথ্য এবং এস্টিমেট মাত্র। আশা করি বুঝাইতে পেরেছি।
লেখকের মন্তব্যঃ সরকারি ল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা ২০২৩ | খরচ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আজকে আমরা এই পুরো পোস্ট জুড়ে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম সরকারি ল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা সরকারি ল কলেজে পড়াশোনার জন্য আপনার কত টাকা খরচ লাগবে সরকারি ল কলেজে আবেদন ফ্রম কোথায় পাবেন সরকারি ল কলেজের আবেদন ফরম প্রাথমিক অবস্থায় কিভাবে পূরণ করতে হয় এবং সরকারি লক কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় কোন কোন কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন হবে। আশা করি আজকের পর আপনার এই বিষয়গুলো নিয়ে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না।
যদি আপনার এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে আপনার আশেপাশে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে অবশ্যই শেয়ার করবেন যাতে তারাও এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হতে পারে এবং সরকারি ল কলেজে ভর্তির বিষয় এবং সরকারি ল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা নিয়ে বিস্তারিত ধারণা রাখতে পারে। সবাইকে এতক্ষণ ধরে মনোযোগ সহকারে সরকারি ল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা নিয়ে লেখা আজকের এই পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।🥰
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url