প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত - কাঠবাদাম এর ক্ষতিকর দিক

প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত যা পুষ্টিগুণ উপাদানকে বাড়িয়ে দেয়। এই পোস্টের মাধ্যমে প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত তার বিস্তারিত আলোচনা হবে। প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত জেনে কাঠবাদাম খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান কাঠবাদাম ফ্যাট হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুস্থ থাকার জন্য আপনি ডায়েটের একমাত্র অংশ হিসেবেও পরিমিত পরিমাণে এই কাঠবাদাম খেতে পারেন। যা আপনার স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবেও একমাত্র উপাদান হতে পারে এবং রক্ত প্রবাহকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করতে পারে।

পেজ সূচিপত্র

কাঠবাদাম কীভাবে কতটুকু খাবেন

নিজের ডায়েটকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত জেনে পরিমিত পরিমাণে কাঠবাদাম খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত কাঠবাদাম খাওয়া যাবেনা, যা আপনার স্বাস্থ্যকে বিপদে ফেলতে পারে। এক মুঠো কাঠবাদামে যা থাকে তার মধ্যে ক্যালরি থাকে ১৬১ গ্রাম, ফাইবার ৩.৫ গ্রাম, প্রোটিন ৬ গ্রাম।

ফ্যাট ১৪ গ্রাম ও ভিটামিন ই শতকরা ৩৭ গ্রাম হতে পারে। কাঠবাদাম একটি পুষ্টিকর ফল যা অত্যন্ত সুস্বাদু খাবার হয়ে থাকে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই কাঠবাদাম আপনার শরীরে প্রচুর পুষ্টি জোগায়। আপনি আপনার সুবিধামতো এই কাঠবাদাম খেতে পারেন।


কারণ গবেষণা থেকে পাওয়া যায় যে, খুব বেশি কাঠবাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে যেতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি দিনে আট থেকে দশটি বা কমপক্ষে এক মুঠো পরিমান কাঠবাদাম খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর।

একসঙ্গে অনেকগুলো কাঠ বাদাম খেলে আপনার শরীরে কাঠবাদাম এর ক্ষতিকর দিক এর প্রভাব পড়তে পারে। তাই এই কাঠবাদাম শুধু আপনার শরীরে ফ্যাটি তৈরি করেনা। অত্যাধিক পরিমাণে যদি গ্রহণ করেন, তাহলে শ্বাসকষ্ট, বিষক্রিয়া এবং হজমেও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কাঠ বাদাম খাওয়ার কারণ গুলো কি

কাঠবাদাম খেতে সবারই বেশি আর কম ভালো লাগে। কিন্তু অনেকেরই এক ধরনের ধারণা করে থাকে যে, কাঠবাদাম খেলে হয়তো ওজন বেড়ে যেতে পারে। কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক যা পুষ্টিগুণ উপাদানে ভরপুর। কাঠবাদাম খাওয়ার কারণগুলো হলো -

১। কাঠবাদাম এর ক্ষতিকর দিক জানার ফলে কাঠবাদাম আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূর করে। কারণ প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত জেনে এই পুষ্টিগুণে ভরপুর উপাদান গুলো আপনার শরীরে থাকা অতিরিক্ত বর্জ্য খুব সহজেই দূর করে দিতে পারে।

২। এছাড়াও কাঠবাদাম আপনার মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে পারে। যদি কাঠবাদামে থাকা এই পুষ্টিগুণ উপাদান আপনি খেয়ে থাকেন, তাহলে আপনার মস্তিষ্কে ধীরে ধীরে কার্যক্ষমতা পূর্বের চেয়েও বেড়ে যাবে। কারণ কাঠবাদামে রয়েছে রিবোফ্লাভিন ও এল ক্যারনিটিন।

এই নামে দুটি উপাদান যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও স্মৃতিশক্তি ফিরিয়ে আনতে এটি রোগ প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে থাকে। প্রতিদিন আপনি যদি চার থেকে ছয়টি কাঠবাদাম ভিজিয়ে খেতে পারেন, তাহলে মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটায়। কাঠ বাদাম খাওয়ার কারণ গুলো কি

৩। ক্যান্সার প্রতিরোধে কাঠবাদাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনার কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও শিশুদের বুদ্ধি বিকাশের অন্যতম উপাদান হচ্ছে এই কাঠবাদাম।

৪। যদি আপনি নিয়মিত কাঠবাদাম ভিজিয়ে খেতে পারেন, তাহলে হার্টের জন্য খুব ভালো কাজ করে থাকে। কারণ কাঠবাদামে থাকা প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম আপনার হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

ভিটামিন ই আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং ম্যাগনেসিয়াম হার্ট এটাক প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। নিয়মিত এই কাঠবাদাম খেলে আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।

৫। কাঠবাদাম ইনসুলিন এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। খাবারের পর প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত জেনে আপনি যদি নিয়ম করে কাঠবাদাম খেতে পারেন, তাহলে আপনার ইনসুলিনের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে সাহায্য করে।

৬। কাঠবাদামে যেই ফসফরাস রয়েছে তা আপনার উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। এর মধ্যে থাকা সোডিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত জেনে এই কাঠ বাদাম খাওয়ার পর দেখবেন আপনার খিদে অনেক কমে যায়। যার ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। 

যাদের ওজন অনেক বাড়তি রয়েছে, তারা কাঠবাদাম এর ক্ষতিকর দিক জেনে এই কাঠ বাদাম খেতে পারেন। যার ফলে আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ক্যালরি জমার কোন আশঙ্কা থাকে না। বিপাকের হার বাড়িয়ে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে আপনাকে সাহায্য করে থাকে।

৭। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাঠবাদাম খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। কারণ কাঠবাদামে যেই কার্যকরী উপাদান গুলো উপস্থিত রয়েছে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

ফলে স্বাভাবিকভাবে আপনার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায় এবং বাদামে থাকা পর্যাপ্ত মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা সিক্স ফ্যাটি এসিড আপনার কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

৮। বাদামে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে শরীরে কোন ধরনের ক্ষত সৃষ্টি হয় না। আপনার বয়স বাড়লেও অনেক সময় আপনার শরীরের উপর কোন ধরনের প্রভাব পড়তে দেখা যায় না।

৯। প্রতিদিন এক মুঠো কাঠবাদাম খাওয়া আপনার শরীরের জন্য খুবই ভালো। কারণ এটি আপনার শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এর মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, কপার শরীরের শক্তি জোগায়। এর পাশাপাশি আপনার বিপাকক্রিয়াও খুব ভালোভাবে কাজ করে।

১০। কাঠবাদামে যেই পরিমাণে ফসফরাস, মিনারেল ও ভিটামিন রয়েছে তা আপনার হার ও দাঁতকে সুরক্ষা দিতে পারে। কারণ এই কাঠবাদাম শুধু আপনার হাড় ও দাঁতকেই মজবুত করে না, অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় থেকেও আপনাকে বাঁচাতে পারে।

প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত 

কাঠবাদাম একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার যা আপনার স্বাস্থ্যকে ধীরে ধীরে উন্নত করে তোলে। বাদামে যেই পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার বিদ্যমান থাকে, তা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিন আপনি নিয়মিত কাঠবাদাম প্রায় ত্রিশ গ্রামের মতো খেতে পারবেন।


যা প্রায় বিশ থেকে পঁচিশটি বাদামের সমতুল্য হতে পারে। এই পরিমাণের চেয়েও বেশি খাওয়ার ফলে আপনার ক্যালোরি এবং চর্বি অনেক বেশি বেড়ে যেতে পারে। যার ফলে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে। এর ওজন অনেক কম রয়েছে তারা এই কাঠবাদাম বেশি করে খেতে পারেন।

আপনি যদি প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে বাদাম খেতে পারেন, তাহলে আপনার স্বাস্থ্য ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে পারে। বেশিরভাগ সময়ই বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন কাঠবাদাম খাওয়ার পূর্বে ভালোভাবে ভিজিয়ে রাখার জন্য যাতে, এর পুষ্টিগুণ উপাদান খুব সহজেই আপনি খাওয়ার ফলে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

কাঠবাদাম এর ক্ষতিকর দিক

কাঠবাদাম অনেকেরই পছন্দের খাবার হতে পারে। কিন্তু এই কাঠবাদাম অনেক বেশি পরিমাণে খেলে কাঠবাদাম এর ক্ষতিকর দিক এর প্রভাবও পড়তে পারে।

কারণ প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত জেনে আপনি যখন অতিরিক্ত কাঠবাদাম খেয়ে ফেলবেন, তখন আপনার নিজের অজান্তেই আপনার শরীরে ক্ষতি হবে। তাই কাঠবাদাম এর ক্ষতিকর দিকগুলো হলো -
  • কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বিদ্যমান রয়েছে।
  • অত্যাধিক পরিমাণে কাঠবাদাম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়ে যেতে পারে।
  • সেইক্ষেত্রে আপনাকে অনেক বেশি পরিমাণে পানি খেতে হবে।
  • একশ গ্ৰাম কাঠবাদামে পঁচিশ মিলিগ্রামের মত ভিটামিন ই রয়েছে।
  • ভিটামিনের উৎস হিসেবে এই কাঠবাদাম আপনি প্রয়োজনের চেয়ে তিনগুণ খেতে পারেন।
  • কিন্তু প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত জেনে এই কাঠবাদাম খাওয়ার পাশাপাশি আপনি যখন ডিম, পালংশাক এইগুলো খাবেন, তখন আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
  • কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট এবং ক্যালোরি রয়েছে।
  • একশ গ্রাম কাঠবাদামে পঞ্চাশ গ্রাম ফ্যাট রয়েছে, যা আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • খুব বেশি কাঠবাদাম খেলে দেহে টক্সিন জমে যেতে পারে।
  • এই কাঠবাদামে যেই হাইড্রোকার্বন অ্যাসিড রয়েছে, তা জমলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
  • এছাড়াও নার্ভের সমস্যাসহ মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।
  • তাই কখনোই নিয়মিত চল্লিশ গ্রামের বেশি কাঠবাদাম খাওয়া উচিত নয়।

গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম কেন খাবেন

গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য কাঠবাদাম খুবই উপকারী। গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খেলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও গর্ভধারণের পর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় অনেকে দুধ খেতে পারে না। শরীরে পুষ্টির ঘাটতি থেকে যায়। সেইক্ষেত্রে দুধের বিকল্প হিসেবে কাঠবাদাম খেতে পারেন।

যা গর্ভবতী মা ও শিশুর সুস্থতায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাংসপেশি গঠনে কাঠবাদাম খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। এই বাদাম শিশুর ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে থাকে। এতে যেই পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, তা স্নায়ুতন্ত্রের কাজ সচল করতে খুবই সাহায্য করে থাকে।

এছাড়াও বাদামে যেই পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে তা মস্তিষ্ক গঠনেও খুব কাজে লাগে। মায়ের ডিম্বাশয়ের নানা ধরনের জটিলতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে। পাশাপাশি গর্ভে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ গঠনে কোন রকমের বাধাগ্রস্ত হয় না। অনেক নারী দেখা যায় গর্ভধারণের পর রক্তচাপের মত সমস্যায় ভুগে থাকেন।

কাঠবাদাম এর ক্ষতিকর দিক না জানলে মা ও সন্তানের জন্য এটি খুবই বিপদজনক হতে পারে। তাই কাঠবাদাম খেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। যদি কোনো কারণে গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে কাঠবাদাম খেতে হবে।


এছাড়াও গর্ভাবস্থায় নারীদের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হল কোষ্ঠকাঠিন্য। যদি আপনি নিয়মিত প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত জেনে কাঠবাদাম খেতে পারেন, তাহলে ফাইবার যুক্ত এই বাদাম আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে। 

বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যুক্ত থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হয়। যার কারণে কাঠ বাদামে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এই সমস্যাকে দূরীভূত করতে পারে।

ত্বকের যত্নে কাঠবাদাম কি কাজে লাগে

কাঠবাদাম হচ্ছে এক ধরনের বীজ যা উত্তর আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়াতে পাওয়া যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে যা ত্বকের যত্নে খুবই কাজে লাগে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখে। ত্বকের যত্নে কাঠবাদাম এর প্রয়োজনীয়তা হলো -

১। কাঠবাদামে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি। ছোট শিশুদের এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে হাড় খুব ভালো মজবুত ও শক্তিশালী হয়।

২। কাঠবাদামে ভারী ময়েশ্চারাইজার থাকার কারণে এটি মুখের ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে থাকে। বিশেষ করে আপনার তৈলাক্ত ত্বকে এটি ব্যবহার করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়।

৩। ভিটামিন ই ত্বকের জন্য খুবই ভালো কার্যকারী একটি উপাদান যা কাঠ বাদামে রয়েছে। এই ভিটামিন ই আপনার ত্বককে সূর্যের হাত থেকে বাঁচায়। আপনার ত্বককে ড্যামেজের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। যাদের ত্বকে অনেক বেশি সান বার্ন এর সমস্যা রয়েছে, তারা কাঠবাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন।

৪। কাঠবাদাম তেল চোখের নিচে কালো দাগ দূর করে। ঘুমানোর সময় যদি আপনি কাঠবাদাম তেল চোখে দিয়ে ঘুমাতে যান, তাহলে চোখের নিচের কালো দাগ ধীরে ধীরে দূর হয়ে যায়। চোখের বলিরেখা দূর হয়ে যায় এবং চোখের নিচে কালো দাগও দূর হতে থাকে।

৫। কাঠবাদাম এর ক্ষতিকর দিক জেনে প্রতিদিন কাঠবাদাম তেল দিয়ে আপনি যদি আপনার ত্বক ম্যাসাজ করেন, তাহলে ত্বকে যত ধরনের বলিরেখা রয়েছে সব ধীরে ধীরে কমে যাবে।

এছাড়াও এর পাশাপাশি আপনি প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত জেনে যদি মধু, লেবু, কাঠবাদাম একসাথে মিক্স করে ব্যবহার করেন, তাহলে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল এবং ধীরে ধীরে মুখে বয়সের ছাপও কমে যেতে পারে।

৬। ভারি মেকআপ তুলতে আপনি এই কাঠবাদামকে ব্যবহার করতে পারেন, যা আপনাকে লাবণ্য ফিরিয়ে দিতে পারে। কাঠবাদাম তেল সামান্য একটু নিয়ে পুরা মেকআপকে আপনি পরিষ্কার করে ফেলতে পারেন।

শেষকথা

আশা করছি এই পোস্টের মাধ্যমে তথ্য জেনে আপনার প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত সেই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। যদি বিস্তারিত জেনে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আশেপাশের সকলকে সচেতন করুন এবং পোস্টের নিচের অংশে মন্তব্য করে আমাদের পাশেই থাকুন। ২৫২৭৫

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url