বাগেরহাট জেলার পূর্ব নাম - বাগেরহাট জেলার থানার নাম

বাগেরহাট জেলার পূর্ব নাম এবং বাগেরহাট জেলার থানার নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আপনাকে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বাগেরহাট জেলার পূর্ব নাম - বাগেরহাট জেলার থানার নাম

• ভূমিকা
• বাগেরহাট জেলার পূর্ব নাম
• বাগেরহাট জেলার থানার নাম
• বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম
• শেষ কথা

ভূমিকা| বাগেরহাট জেলার পূর্ব নাম - বাগেরহাট জেলার থানার নাম

প্রিয় পাঠকগোঁ, আপনারা যদি বাগেরহাট জেলাটি সম্পূর্ণ ভ্রমণ করতে চান তাহলে আপনাদেরকে অবশ্যই বাগেরহাট জেলার পূর্ব নাম গুলো এবং বাগেরহাট জেলার সকল থানার নাম সম্পর্কে জানতে হবে। বাগেরহাট জেলার পূর্ব নাম এছাড়াও বাগেরহাট জেলার থানার নামগুলো জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সেজন্য আজকে আপনারা এই পর্যন্ত পৌঁছেছেন।

আপনারা যদি বাগেরহাট জেলার পূর্ব নাম এবং বাগেরহাট জেলার থানার নাম জানতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়তে হবে। কারণ আমাদের আর্টিকেলে আমরা বিভিন্ন জায়গায় এই সকল তথ্যগুলো উপস্থাপন করেছি এজন্য আপনাদেরকে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনারা বাগেরহাট জেলার পূর্ব নাম গুলো জানতে পারবেন।

আমাদের দেশে যে রকম রয়েছে অনেক কয়েকটি জেলা আবার সেই জেলায় রয়েছে কয়েকটি উপজেলা অর্থাৎ থানা। সেরকমই বাগেরহাট একটি জেলা এই জেলায় বেশ কয়েকটি থানা রয়েছে। সেই থানাগুলোর নাম জানার জন্য আপনাকে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক বাগেরহাট জেলার থানার নাম এছাড়াও বাগেরহাট জেলার পূর্ব নাম কি।

বাগেরহাট জেলার পূর্ব নাম

১৯৮৪ সালের পর থেকে এই বাঘেরহাট জেলা গঠিত হয়। এটি মধুমতি নদীর ধারে অবস্থিত। ১৯৮৪ সালের আগে খুলনা বিভাগের অবস্থিত এই বাগেরহাট জেলাকে খলিফাতাবাদ নামে সকলে চিনত এবং এর নাম খলিফাতাবাদ ছিল।

বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল ঘিরে বাগেরহাট জেলাটি অবস্থিত। এই জেলার আয়তন হচ্ছে ৩৯৫৯.১১ বর্গকিলোমিটার। বাগেরহাট জেলার পূর্ব দিকে পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জ এবং বরগুনা জেলা অবস্থিত উত্তরে গোপালগঞ্জ এবং নড়াইল অবস্থিত ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। এছাড়াও পশ্চিমে খুলনা জেলা অবস্থিত। বাগেরহাট জেলার জনসংখ্যা প্রায় ১৪৭৬০৯০ জন।

আরো পড়ুনঃ যশোর কিসের জন্য বিখ্যাত জেনে নিন

এদের ভেতরে বাগেরহাট অঞ্চলে মুসলমানদের সংখ্যা হচ্ছে ১১ লক্ষ ৯৮ হাজার ৫৯৩ জন ও হিন্দু লোকের সংখ্যা হচ্ছে ২ লক্ষ ৭০ হাজার ৮৮৪ জন। আরো রয়েছে খ্রিস্টান ৪৩ জন, বৌদ্ধ ৬১১৫ জন এবং অন্যান্য ধর্মাবলী রয়েছে ৪৬৫ জন। বাঘেরহাট জেলার বসবাসকারী ১৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯০ জনের ভেতরে পুরুষের সংখ্যা হচ্ছে ৭ লক্ষ ৪০ হাজার ১৩৮ জন এবং মহিলাদের সংখ্যা হচ্ছে সাত লক্ষ ৩৫ হাজার ৯৫২ জন।

বাগেরহাট জেলার থানার নাম

বাগেরহাট জেলাটি আয়তন বড় হওয়ার ফলেও এর থানা অর্থাৎ উপজেলা গুলো সংখ্যায় কম। কারণ এই বাগেরহাট জেলার একদিকে রয়েছে মধুমতি নদী এবং অন্য দিক ঘিরে রয়েছে বঙ্গোপসাগর এবং অন্যদিকে ঘিরে রয়েছে সুন্দরবনের বেশিরভাগ অঞ্চল এই জন্য বাগেরহাট আয়তনের দিক দিয়ে বড় হলেও এর থানা অর্থাৎ উপজেলার সংখ্যা খুবই কম।

বাগেরহাট জেলার মোট থানা হচ্ছে ৯টি। সেগুলো হচ্ছে,

• বাগেরহাট সদর থানা
• ফকিরহাট থানা
• শরণখোলা থানা
• চিতলমারী থানা
• মোংলা থানা
• কচুয়া থানা
• মোল্লাহাট থানা
• মোড়েলগঞ্জ থানা
• রামপাল থানা

বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম

এই আর্টিকেলের এই অংশে আপনার আজকে বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনাদের পত্রিকায় নিজ নিজ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের নাম জানা উচিত। কারণ বিভিন্ন চাকরি অর্থাৎ ভাইবা বোর্ডের সময় আপনাকে আপনার জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম জিজ্ঞেস করতে পারে এবং তাদের সম্পর্কে বলার জন্য আপনাকে প্রশ্ন করতে পারি।

আরো পড়ুনঃ সিলেট কিসের জন্য বিখ্যাত

তখন আপনি যদি এগুলো বলতে না পারেন তাহলে তাদের মধ্যে আপনার জন্য একটি নেগেটিভ ধারণা পোষণ চলে আসবে। তখন সেই ক্ষেত্রে আপনার অনেক ক্ষতি হতে পারে এ জন্য আপনারা আপনাকে দিয়ে চেনার বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম সম্পর্কে জেনে রাখবেন। তাহলে চলুন আজকের মন তো অপেক্ষায় চলে আসবে বাঘেরহাট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম গুলো জেনে নেই।

কাজী আজাহার আলী

কাজী আজাহার আলী ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সি এস, পি স্বরাষ্ট্র সচিব এবং শিক্ষা সচিব ছিলেন।

মোহাম্মদ রুহুল আমিন

মোহাম্মদ রুহুল আমিন বাগেরহাট সদরে দাড়িতালুক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পররাষ্ট্রসচিব।

আবু বকর সিদ্দিক

আবু বকর সিদ্দিক বাগেরহাট সদরে গোটা পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ছিলেন এবং তার ১০-১২ থানা কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে।

ডঃ অধ্যাপক গাউস মিয়া

তিনি ও বাগেরহাট সদরে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনিও পেশায় অধ্যাপক ছিলেন।

বিধু ভূষণ বসু

তিনি বাগেরহাটের চিরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মুখপাত্র ছিলেন।

সৈয়দ মোস্তাক গাউসুল হক

তিনি বাগেরহাট জেলার কান্দাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় ছিলেন একজন আইনজীবী এবং পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন, তিনি মন্ত্রিসভায় প্রাদেশিক পরিষদের রাজস্ব মন্ত্রী ছিলেন।

শেখ আব্দুল আজিজ

তিনি বাগেরহাট জেলায় মোড়েলগঞ্জ থানার  তেলিগাতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় একজন প্রান্তর মন্ত্রী ছিলেন। ইনি বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের নামের ভেতরে ইনি হচ্ছেন অন্যতম।

মহেন্দ্র নাথ ঘোষ

তিনি ছিলেন খুলনা বিভাগের প্রান্তণ চেয়ারম্যান, জেলা ভোট।

ড. নীলিমা ইব্রাহিম

তিনি পেশায় ছিলেন একজন লেখক এবং তিনি ফকিরহাট উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

মহিমা চন্দ্র রায় চৌধুরী

তিনি বাগেরহাট জেলার বাগেরহাট সদরে জন্মগ্রহণ করেন।

আব্দুলস্নাহ আবু সায়ীদ অধ্যাপক

তিনি বাগেরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি পেশায় ছিলেন সাহিত্যিক ও গবেষক।

অধ্যাপক রফিক

তিনি বাগেরহাট জেলার বাগেরহাট সদরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় ছিলেন একজন কবি।

শহীদ অধ্যাপক মোঃ মোয়াজেম হোসেন

তিনি বাগেরহাট জেলার বাত খালি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন গবেষক ছিলেন।

ডঃ হালিমা খাতুন

তিনি বাগেরহাট জেলার কাড়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় ছিলেন একজন অধ্যাপক।

এই সকল ব্যক্তিবর্গের নাম হচ্ছে বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম। এরা সকলেই পেশায় ছিলেন গবেষক, সাহিত্যিক, লেখক, কবি, অধ্যাপক ইত্যাদি।

শেষ কথা| বাগেরহাট জেলার পূর্ব নাম - বাগেরহাট জেলার থানার নাম

প্রিয় বন্ধুরা, আশা করা যায় যে আপনারা সকলে এতক্ষণে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বাগেরহাট জেলার পূর্ব নাম ও বাগেরহাট জেলার থানার নাম গুলো বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। এছাড়া আপনারা বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম সম্পর্কে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। বাগেরহাট জেলাতে রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক স্থান এবং ঐতিহ্য সম্পন্ন বাহিনী খাবার। বাংলাদেশের ভেতরে বাগেরহাট জেলা একটি প্রাচীন বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান।

আরো পড়ুনঃ ঢাকা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি - ঢাকা জেলা বিখ্যাত কেন

যা দেশের কোন জায়গায় লক্ষ্য করা যায় না। এই জায়গাতে রয়েছে অনেক বেশি মসজিদ, দেশের বৃহত্তম মসজিদ ষাট গম্বুজ মসজিদ, খান জাহান আলি (রাঃ) আর মাজার শরীফ এই বাগেরহাট জেলাতে অবস্থিত। এছাড়াও সুন্দরবনের অধিকাংশ অঞ্চল বাগেরহাট জেলার ভেতরে অন্তর্ভুক্ত। এজন্য বাগেরহাট জেলার আয়তন বড় হওয়া সত্ত্বেও বাগেরহাট জেলার থানার সংখ্যাগুলো অনেক কম। বাগেরহাট জেলার পূর্ব নাম ১৯৮৪ সালের পর থেকে মিশে যায় এবং বাগেরহাট হিসেবে খ্যাত লাভ করে। তবে ১৯৮৪ সালের আগে থেকে এ জেলার নাম ছিল খলিফাতাবাদ।

ষাট গম্বুজ মসজিদ, বাগেরহাট জেলা