সাইনোসাইটিস হবার কারণ

সাইনোসাইটিস হবার কারণ না জানার কারণে আমরা এই রোগ সম্পর্কে তেমন বিস্তারিত জানতে পারি না। বিভিন্ন কারণে আমাদের সাইনোসাইটিস হয়ে থাকে। তবে সাইনোসাইটিস হবার কারণ সম্পর্কে আমাদের জেনে নেওয়া উচিত। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে সাইনোসাইটিস হবার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

আপনি যদি সাইনোসাইটিস হবার কারণ সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে সাইনোসাইটিস হবার কারণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ সাইনোসাইটিস হবার কারণ

সাইনোসাইটিস হবার কারণ

আমাদের অনেকের কাছে পরিচিত একটি সমস্যা হল সাইনোসাইটিস। সাধারণত এই সমস্যা হলে আমাদের নাক এবং মাথা প্রচুর পরিমাণে ব্যথা করে। এছাড়া আমাদের শরীরে আরো বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা সাইনোসাইটিস হবার কারণ সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা রাখে না। যেহেতু এটি আমাদের শারীরিক বিষয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত তাই আমাদের সাইনোসাইটিস হবার কারণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।

আরো পড়ুনঃ হেপাটাইটিস বি নেগেটিভ করার প্রাকৃতিক উপায়

১। সাইনোসাইটিস এর মূল কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় ভাইরাসকে।

২। সাধারণত আমাদের শরীরে ভাইরাস এবং ছত্রাক এর সংক্রমণ হলে সাইনোসাইটিস হয়ে থাকে।

৩। সাধারণ সর্দি এবং জ্বর থেকে সাইনোসাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

৪। যদি নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয় তাহলে অনেক সময় এই সমস্যা হয়ে থাকে।

৫। বিশেষ করে কারো যদি নাকের অ্যালার্জি থাকে তাহলে সাইনোসাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৬। যাদের হাঁপানি রোগের সমস্যা রয়েছে এবং নাকের পলিপাস রয়েছে তাদের খেতে এই সমস্যা হয়ে থাকে।

৭। যারা নিয়মিত এবং অতিরিক্ত ধূমপান করে থাকে সাধারণত তাদের ক্ষেত্রে সাইনোসাইটিস সমস্যা দেখা দেয়।

৮। ক্যান্সারের কিছু ওষুধ সেবন করার কারণে এবং আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে সাইনোসাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

সাইনোসাইটিস হবার লক্ষণ

সাইনোসাইটিস নির্ণয় করতে হলে আপনাকে বেশ কিছু লক্ষণ দেখে তারপর নির্ণয় করতে হবে। কারণ প্রতিটি রোগের বেশ কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ রয়েছে। যদি আপনি এই লক্ষণগুলো আপনার শরীরে আপনাকে বুঝতে হবে সাইনোসাইটিস আক্রান্ত হয়েছে। সাইনোসাইটিস হবার কারণ সম্পর্কে জেনেছি এখন সাইনোসাইটিস হওয়ার লক্ষণগুলো জেনে নেওয়া যাক।

১। সাইনোসাইটিস ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে নাকের জ্বালাপোড়া তৈরি হয়।

২। নাক দিয়ে একাধারে পানি পড়তে থাকে।

৩। সাইনোসাইটিস সমস্যা হলে মনে হয় যেন গলায় কিছু আটকে রয়েছে।

৪। সাইনোসাইটিস হওয়ার অন্যতম একটি লক্ষণ শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া।

৫। নাক দিয়ে যেকোন জিনিসের গন্ধ নিতে না পারা।

৬। চোখ, গলা, না এবং কপালের আশেপাশে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা।

৭। সাইনোসাইটিস হলে নাকের পাশাপাশি আমাদের কানেও ব্যথা অনুভূত হওয়া।

৮। সাইনোসাইটিস হওয়ার অন্যতম একটি লক্ষণ হল প্রচুর পরিমাণে মাথা ব্যথা।

৯। গলা ব্যথা হওয়া এবং খাবার গিলতে অসুবিধা হওয়া।

১০। শরীর একটুতেই দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্ত মনে হওয়া।

সাইনোসাইটিস হলে কি সমস্যা হয়

সাইনোসাইটিস হলে বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে এই রোগের মূল কারণ হলো ভাইরাসজনিত কারণ। সাধারণত বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরে ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে। আমরা অনেকেই জানিনা যে সাইনোসাইটিস হলে আমাদের শরীরে কোন ধরনের সমস্যা গুলো হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদেরকে এই বিষয়গুলো জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুনঃ  দাঁতে ব্যথা দূর করা সহজ ১০টি ঘরোয়া উপায়

১। সাইনোসাইটিস হলে আমাদের শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে যায়।

২। সাইনোসাইটিস আক্রান্ত হলে না জ্বালাপোড়া করে এবং নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকে।

৩। সাইনোসাইটিস রোগে আক্রান্ত হলে সর্দি কাশি লেগে থাকে।

৪। সাইনোসাইটিস রোগে আক্রান্ত হলে আমাদের নাক চোখ এবং কপালের চারপাশে ব্যথা হয়ে থাকে।

৫। এ রোগে আক্রান্ত হলে প্রচুর পরিমাণে গলা ব্যথা এবং খাবার খেতে অসুবিধা হয়।

৬। সাইনোসাইটিস রোগে আক্রান্ত হলে আমরা নাক দিয়ে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারি না।

৭। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর সময় আমাদের মুখ হাঁ করে ঘুমাতে হয় এবং শ্বাস প্রশ্বাস নিতে হয়।

৮। আরও একটি জটিল সমস্যা হলো আমরা কোন ধরনের গন্ধ সঠিকভাবে নিতে পারি না।

সাইনোসাইটিস থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

ইতিমধ্যেই সাইনোসাইটিস সম্পর্কে বেশ কিছু বিষয় জেনেছি। এখন আমাদেরকে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সাইনোসাইটিস থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। কারন আমরা যদি সাইনোসাইটিস মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে না জানি তাহলে এই রোগটি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের আক্রান্ত করে থাকে। তাই আমাদের সকলের ক্ষেত্রেই সাইনোসাইটিস সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।

১। সাইনোসাইটিস প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। শরীরে যেন পানি শূন্যতা না দেখা দেয় এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে।

২। বেশকিছু ড্রপ রয়েছে যেগুলো নাক পরিষ্কার করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ড্রপ নাকে ব্যবহার করতে হবে।

৩। আপনি যদি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে লবণাক্ত পানি দিয়ে না পরিষ্কার করুন। অথবা আপনি স্যালাইন বানিয়ে দিয়েও নাক পরিষ্কার করতে পারেন।

৪। যে সকল জিনিসের এলার্জি প্রতিরোধ করা যায় সাধারণত সেই বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে যেমন বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যেন ধুলোবালি আমাদের নাক দিয়ে প্রবেশ না করতে পারে।

৫। যাদের অতিরিক্ত ধূমপান করার অভ্যাস রয়েছে তাদেরকে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। ধূমপানসহ আরো যে সকল নেশা জাতীয় দ্রাব্য রয়েছে সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে।

৬। ভালোভাবে সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত পরিষ্কার করতে হবে। যেন হাতে কোন ধরনের ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়া না থাকে এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে।

৭। আমাদের বিভিন্ন ধরনের অভ্যাস রয়েছে যেমন নাকে আঙ্গুল দেওয়া। সাধারণত অপরিষ্কার হাত কখনোই নাকের ভেতরে ঢুকানো যাবে না।

সাইনোসাইটিস হবার কারণঃ শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলে সাইনোসাইটিস হবার কারণ, সাইনোসাইটিস হবার লক্ষণ, সাইনোসাইটিস হলে কি সমস্যা হয়, সাইনোসাইটিস থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু এটি আমাদের কমন একটি সমস্যা তাই আমাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।

আরো পড়ুনঃ দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url