রমজানের বরকত লাভ অব্যাহত রাখার সেরা চারটি উপায়

আজকের এই যুগে রমজান মাস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আবারও আমাদের সেই আগের জীবন ধারা তে ফিরে যায়। রমজানের বরকত লাভের উপায় খুজতে আমাদের এটা মনে রাখা উচিত আমাদের রমজান তখন ঐ লাভবান এবং উত্তম হবে, যদি রমজানের পরবর্তী মাসগুলোতে আমরা তার চেয়ে বেশি আমল এবং ইসলামের নিকটবর্তী থাকতে পারি।

রমজানের বরকত লাভ অব্যাহত রাখার সেরা চারটি উপায়

তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে এমন কিছু সহজ উপায় বা মাধ্যমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিব যেগুলো জানা থাকলে আপনার রমজানের তৈরি হওয়া উত্তম অভ্যাসগুলো পরবর্তীতে অব্যাহত রাখতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ রমজানের বরকত লাভ অব্যাহত রাখার সেরা চারটি উপায় 

রমজানের বরকত লাভের উপায়ঃ প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া

ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হল নামাজ। যারা প্রতিদিন বিনা ব্যর্থতায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় সঠিক নিয়মে  নামাজ পড়েন, তারা শুধু সফলভাবে আল্লাহর ফরজ পালনই করেননি, বরং তাঁর নিয়ামতও অর্জন করেছেন।

রমজান মাসে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সহ সমস্ত ইবাদত তাদের গুণাবলী দ্বারা গুণিত হবে। প্রতিটি বান্দা  অন্য মাসের তুলনায় বেশি বরকত পাবে। মসজিদে জামাতে সময়মতো আদায় করলে ফজিলত আরও বেড়ে যায়।

আপনি যদি এটি সুন্নাত রাওয়াতিব নামাজের মাধ্যমে শুরু করেন এবং শেষ করেন, তবে আপনি যে যোগ্যতা অর্জন করবেন তা আরও বেশি হবে। আপনার ইবাদত সর্বাধিক করার জন্য যিকির এবং কৃতজ্ঞতার সাথে আপনার মোনাজাত শেষ করুন। 

কোরআনের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন অব্যাহত রাখা

রমজান মাস শেষ হয়ে গেলেও আমাদের উচিত প্রতিনিয়ত কোরআন মাজিদ তেলাওয়াত করার অভ্যাস গড়ে তোলা। কারণ আল্লাহর সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে সর্বোত্তম পন্থা উপায় হচ্ছে তার পানির সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করা।

তাই আমরা প্রতিদিন নিয়ম করে কোরআন থেকে কয়েকটি আয়াত তেলাওয়াত করা এবং আয়াতসমূহের মর্ম অনুধাবন করার অভ্যাস গড়ে তুলবো। যাতে করে আমাদের মাঝে আল্লাহর প্রতি ভয় জাগ্রত হয়।
অনেকে অনেক প্রভাব দেখায় যে সে সঠিক ভাবে কোরআন মাজিদ তেলাওয়াত করতে পারে না। আর এই অজুহাতে বিনিময় এসে কোরআন তেলাওয়াত ছেড়ে দিয়ে গোমরাহীর মধ্যে থাকে। এটি কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। কেননা আল্লাহতালা সব সময় সৎকর্মে আমাদের চেষ্টার মূল্যায়ন করে থাকেন।

এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যারা সহিহ-শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করে, তারা নেককার সম্মানিত ফেরেশতাগণের সমতুল্য মর্যাদা পাবে এবং যারা কষ্ট সত্ত্বেও কোরআন সহিহ-শুদ্ধভাবে পড়ার চেষ্টা ও মেহনত চালিয়ে যায়; তাদের জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব। (সুনানে আবু দাঊদ, হাদিস: ১৪৫৪)

প্রতিদিন অন্তত দুইজনকে ভালো কাজ করতে উৎসাহিত করুন

ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। ইসলাম কখনোই বিশৃঙ্খলা বা অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয় না। ইসলামে অন্যের প্রতি সদয় হওয়া কে সর্বোত্তম সাদকা বলে অবহিত করা হয়েছে। রমজানের বরকত লাভের উপায় হতে পারে কারো সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলা এবং সুশীল ব্যবহার করাও সদয় আচরণ এর অন্তর্ভুক্ত।

নবীজি (সা.) বলেন- প্রতিটি ভালো কাজ সদকা। আর গুরুত্বপূর্ণ একটি ভালো কাজ হলো, অন্য ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা। (তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯৭০)

অন্যের সঙ্গে উত্তম আচরণ করা ও ইসলামে একটি ভালো এবাদত এর মত গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই আমাদের সবসময় এটা মাথায় রাখতে হবে। ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। আমরা মুসলিমরা একে অপরের ভাই বোন। আর তাই অপর ভাইয়ের সাথে উত্তম আচরণ করার ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। মুসলমান হিসেবে আমরা আমাদের ভালো ব্যবহার এবং উত্তম আচরণের মাধ্যমে সহজেই অন্যকে ইসলামের প্রতি অনুপ্রাণিত করতে পারি।

মাঝে মাঝে কথা বলার সময় আমাদের মুখে মুচকি হাসি রেখে কথা বলা উচিত। কারণ আমাদের একটি মুচকি হাসি ও তাকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। আন্তরিকতার সাথে করা কোনো ভালো কাজ ইসলাম ছোট করে দেখে না বরং বলা হয়েছে, পরিচ্ছন্ন মানসিকতায় করা অল্প আমলই জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য যথেষ্ট।

সুতরাং অন্যকে ভাল কাজে উৎসাহিত করার মত ছোট একটি কাজও কিন্তু আমাদের জন্য অনেক বড় কিছু হতে পারে। আর একজন মুসলিম হিসেবে সবসময় এটা আমাদের মাথায় রাখা উচিত।

নিয়মিত অল্প হলেও কিছু দান-সদকা করা

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তুমি তোমার সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো কাজ করো। আল্লাহর কাছে পরিমাণে অল্প হলেও নিয়মিত করা ভালো কাজই সর্বাধিক প্রিয়। (ইবনে মাজাহ)


প্রতিদিন এক টাকা দুই টাকা দান করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব কোন বিষয় নয়। কিন্তু উপরোক্ত হাদীস অনুযায়ী নিয়মিত করা এই অল্প সাতকা বাজান আমাদের জীবনে অনেক আমূল পরিবর্তন ঘটাতে পারে। এমনকি এটাই আমাদেরকে আখেরাতে মুক্তিলাভের একটি বড় মাধ্যম হিসেবে গণ্য হবে।

একটু খেয়াল করলে আমরা দেখতে পাই আমাদের আশেপাশে অনেক এমন এতিমখানা রয়েছে যেগুলোতে অনেক ছোট ছোট শিশুরা না খেয়ে অনাহারে দিন যাপন করে। কিন্তু আমরা একটু চেষ্টা করলেই দান সদকার মাধ্যমে তাদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারি। তাই আমাদের উচিত নিয়মিত অল্প হলেও কিছু দান সদকা করা। 

আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দোয়া সমূহ

আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান

এই দুআটি লায়লাতুল কদরে পাঠ করা উচিত, তাই এটি রমজানের জন্য সর্বোত্তম দুয়া। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার রহমত লাভের জন্য রমজানের শেষ ১০ দিনে প্রতি রাতে এই দুআ পাঠ করুন।

الْلَّهُمَّ اِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي

আল্লাহুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউউউন, তুহিব্ব আল ‘আফওয়া, ফা’ফু ‘আন্নি

"হে আল্লাহ, আপনি সবচেয়ে ক্ষমাশীল এবং আপনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন, তাই আমাকে ক্ষমা করুন।"

সুরক্ষার জন্য দুআ

রমজান মাসে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে নিরাপত্তা চাওয়া গুরুত্বপূর্ণ এবং তা করার মাধ্যমে আমরা জাহান্নামের আগুন থেকে সুরক্ষা পেতে পারি।

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ رِضَاكَ وَالجَنَّةَ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ سَخَطِكَ وَالنَّارِ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আস-আলুকা রিদাকা ওয়াল জান্নাহ ওয়া আউদুবিকা মিন সাখাতিকা ওয়ান-নার

হে আল্লাহ, আমি তোমার সন্তুষ্টি ও জান্নাত চাই এবং তোমার অসন্তুষ্টি ও জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় চাই।

আপনার রোজার পরের জন্য দুআ

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার শুকরিয়া আদায় করতে এবং তাঁর আশীর্বাদ পেতে সন্ধ্যায় রোজা ভাঙার পর আপনি রমজানে জুড়ে এই দুআটি পড়তে পারেন।

‏‏ ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা আল-হুদা ওয়াত-তুকা ওয়াল-আফাফা ওয়াল-গিনা

হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে হেদায়েত ও তাকওয়া, (হারাম থেকে) বিরত থাকা এবং বিনয় এবং সন্তুষ্টি ও পর্যাপ্ততা চাই।

দিক নির্দেশনার জন্য দুআ

রমজান এ আমাদের উদ্দেশ্য পূরণ করা উচিত এবং আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া চাওয়া উচিত। যাতে করে আমরা সামনের দিনগুলোতে সঠিক পথে থাকতে পারি। 

اللَّهُمَّ اهْدِني، وسَدِّدْنِي

আল্লাহুম্মা-দিনী ওয়া সাদ্দ-দাদনী

হে আল্লাহ! আমাকে সরল পথ দেখাও এবং আমাকে সরল পথের প্রতি অধিষ্ঠিত কর।

জ্ঞানের জন্য দুআ

নিজের জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য রমজান গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। আল্লাহর কাছে তাই আমরা জ্ঞানের জন্য দোয়া প্রার্থনা করতে পারি। যাতে করে আমরা ইসলামের প্রতি আরও বিশ্বস্ত হতে পারি এবং সঠিক পথে চলতে পারি।

اللَّهُمَّ انْفَعْنِي بِمَا عَلَّمْتَنِي وَ عَلِّمْنِي مَا يَنْفَعُنِي وَ زِدْنِي عِلْمًا


আল্লাহুম-মানফা’নী বিমা ‘আল্লামতানি ওয়া ‘আল্লিমনি মা ইয়ানফা’উনী ওয়া জিদনী ‘ইলমা

হে আল্লাহ, আপনি আমাকে যা শিখিয়েছেন তা দিয়ে আমাকে উপকৃত করুন এবং আমাকে তা শিক্ষা দিন যা আমার উপকারে আসবে এবং আমাকে জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।

আপনার পিতামাতার জন্য দুআ

পৃথিবীতে নিজের বাবা-মা হচ্ছে আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান সম্পদ। তাই রমযানে তাদের জন্য দোয়া করা আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। যারা আপনাকে এত কষ্ট করে লালন-পালন করছেন তাদের জন্য দোয়া করুন।

 رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا

রাব্বি ইরহামহুমা কামা রাব্বায়ানি সগীরা

হে আমার প্রভু আপনি আমার পিতা মাতার প্রতি রহম করুন। যেমনটা রহম আমার পিতা মাতা শিশুকালে আমাকে করেছে।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া

বিশেষ কিছু যা আমরা করতে পারি আমাদের প্রিয়জন যারা মারা গেছেন তাদের জন্য দোয়া করা। রমজানে, মৃতদের জন্য আমাদের দুআ তাদের জান্নাতে আশীর্বাদ প্রদান করবে।

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ الَّلهُمَّ ثَبِّتْهُ

আল্লাহুম্মা-মাগফির লাহু আল্লাহুম্মা থাব্বিথু

হে আল্লাহ তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও। হে আল্লাহ তুমি তাকে শক্তিশালী কর।

স্বাস্থ্যের জন্য দুআ

নিজেকে নিরাপদ রাখতে রমজানের  দিনে সুস্বাস্থ্যের জন্য একটি দুআ করুন 

اللّهُـمَّ عافِـني في بَدَنـي ، اللّهُـمَّ عافِـني في سَمْـعي ، اللّهُـمَّ عافِـني في بَصَـري ، لا إلهَ إلاّ أَنْـتَ. اللّهُـمَّ إِنّـي أَعـوذُبِكَ مِنَ الْكُـفر ، وَالفَـقْر ، وَأَعـوذُبِكَ مِنْ عَذابِ القَـبْر ، لا إلهَ إلاّ أَنْـتَ


আল্লাহুম্মা আফিনী ফী বদনী, আল্লাহুম্মা আফিনী ফি সামী, আল্লাহুম্মা আফিনী ফি বাসরী, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউথু বিকা মিনাল-কুফরি, ওয়ালফাকরি, ওয়া আওউথু বিকা মিন আধাবিল-কাবরি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা।

হে আল্লাহ, আমার শরীরে সুস্থতা দান কর, হে আল্লাহ, আমার কানে সুস্থতা দান কর, হে আল্লাহ, আমাকে আমার দৃষ্টিতে সুস্থতা দান কর, তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে কুফর ও দারিদ্র্য থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং কবরের আযাব থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই, তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই।

দুর্যোগের জন্য দুআ

বর্তমান সময়ে অনেক দূর্যোগ এবং দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে সময় পার হচ্ছে। অনেক বড় বড় এবং বিজ্ঞ আলেম উলামারা ধারণা করছেন যে কিয়ামতের আলামতের অনেকগুলোই এই সময়ে দেখা যাচ্ছে। তাই আমরা এই দুর্যোগ এবং দুর্দশা থেকে বাঁচার জন্য দোয়া করতে পারি।

إِنَّا لِلهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ ، اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي ، وَاخْلُفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা জুরনি ফি মুশিবাতি, ওয়াখলুফ লি খায়রান মিনহা

হে আমাদের প্রভূ, আমরা তোমার কাছ থেকেই এসেছি, আর তোমার কাছেই ফিরে যাব।

দোয়া কবুল হওয়ার সূরা -যে সময় দোয়া পড়লে দ্রুত কবুল হয়

লেখকের মন্তব্যঃ রমজানের বরকত লাভ অব্যাহত রাখার সেরা চারটি উপায় 

আমরা আশা করি উপরিক্ত এই দিকনির্দেশনা গুলি এবং আমাদের সেরা কিছু দোয়ার তালিকা আপনাকে রমজান পরবর্তী সময়েও রমজানের নেয় বরকত গুলো ধরে রাখার জন্য উৎসাহিত আপনাকে করবে। 

রমজানের বরকত লাভের উপায় গুলোর মাধ্যমে আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) আপনার সমস্ত দোয়া কবুল করুন এবং আপনাকে এই জীবনে এবং পরের জীবনে অশেষ নিয়ামত দান করুন - আমিন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url