রোজায় করণীয় কি - রমজানে কি করা যাবে না বিস্তারিত জানুন

রোজায় করণীয় কি কি তা সম্পর্কে আজ আপনারা হাদিসের বর্ণনাতে বিস্তারিত তথ্য পাবেন। আমরা সবাই জানি যে, রমজান মাসে রোজা রাখতে হয়। কিন্ত শুধুমাত্র রোজা রাখাই রমজান মাসের মুল উদ্দেশ্য নয়। রোজা রাখার পাশাপাশি আমাদের অনেক বিষয়ের প্রতিও গুরুত্ব দিতে হয়।

রোজায় করণীয় কি - রমজানে কি করা যাবে না বিস্তারিত জানুন

রমজান বরকতের মাস, রমজানে কি করা যাবে না তা জানা প্রত্যেকটি মুসলমানের জন্য জানা অপরিহার্য। কেননা রমজান মাসের রোজা রাখা ফরজ ও ইসলামে রমজান মাস অনেক গুরুত্বপুর্ন অবদান রাখে।  

সূচিপত্রঃ রোজায় করণীয় কি - রমজানে কি করা যাবে না বিস্তারিত জানুন 

রমজান মাস কেন গুরুত্বপুর্ন? 

রোজায় করণীয় কি তা জানার আগে আসুন জেনে নিন রমজান মাস কেন গুরুত্বপুর্ন? হাদিস শরীফে রমজান মাসের অনেক সাওয়াব বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহতালার কাছে রোজার গুরুত্ব অতি বড়। 


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন,"যে ব্যক্তি রমজান শরীফে রোজা ঈমানের সঙ্গে শুধু আল্লাহতালা কে সন্তুষ্টি এবং আখেরাতের সোয়াব লাভের আশায় রাখবে,তার পূর্ববর্তী সমস্ত সগিরা গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।"

হাদীস শরীফে আরও আছে;রোজাদারদের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মেশকের সুগন্ধ অপেক্ষা অধিক প্রিয় এবং কেয়ামতের দিন রোজাদাররা অসীম সওয়াব পাবে।"

রমজান মাস কেন গুরুত্বপূর্ণ এ সম্পর্কিত হাদিস হচ্ছে;কেয়ামতের দিন অন্যান্য লোক যখন হিসাব নিকাশের কঠোরতায় আবদ্ধ থাকবে,তখন রোজাদারদের জন্য আরশের ছায়ায় দস্তরখানা বিছানো হবে। এবং তারা সেখানে সানন্দে পানাহার করতে থাকবে।

তখন অন্যান্য লোক আশ্চর্য হয়ে বলবে এক কি ব্যাপার! তারা সানন্দে পানাহার করছে,আর আমরা এখনো হিসেবে দায়ে আবদ্ধ আছি! উত্তরে বলা হবেঃদুনিয়াতে তোমরা সানন্দে পানাহার করেছিলে তখন তারা আল্লাহর উদ্দেশ্যে রোজা রেখে ক্ষুধা-পিপাসার যন্ত্রনা সহ্য করছিল। 

রমজান মাসের রোজা হচ্ছে ইসলামের বড় একটি রুকন। যে রোজা না রাখবে সে মহাপাপী এবং তার ঈমান দূর্বল হয়ে যাবে।

রোজায় করণীয় কি? । রমজানে করনীয় ১২ টি কাজ

রমজানে  করনীয় কি কি সেগুলো জেনে নিয়ে রমজান মাস যাপন করতে পারলে আমরা আল্লাহর সন্তষ্টি ও রহমত পাওয়ার আশা রাখতে পারি। আপনাদের সুবিদার্থে রমজানে করনীয় ১২ টি কাজ আমরা হাদিসের আলোতে বিস্তারিত নিয়ে এসেছি, রোজায় করণীয় কি কি নিচে দেখুন-

রমজানে করনীয় ১২ টি কাজ

১। রোজার নিয়ত করা

রোজার জন্য যেমন পান করা ও আহার পরিত্যাগ করা ফরজ,তেমনি নিয়ত করা ফরজ। কিন্তু নিয়ত মুখে পড়া ফরজ নয়,শুধু যদি মনে মনে চিন্তা করে সংকল্প নেয়া যায় যে আমি আজ আল্লাহর নামে রোজা রাখব এবং কিছু পানাহার করব না এবং সহবাস করবো না তবে তাতে রোজা হয়ে যাবে। 

কিন্তু যদি কেউ মনের চিন্তা এবং সংকল্পর সঙ্গে মুখে ও বাংলায় বা আরবীতে নিয়ত পড়ে নেই তবে সেটা আরো ভালো।

২। প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াত করা

রোজা এবং রমজানের সঙ্গে কোরআনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এ জন্যই রমজান মাসে কোরআন নাযিল হয়েছে এবং সেজন্যই "নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসে কোরআন তেলাওয়াতের খুব গুরুত্ব দিতেন।

এ প্রসঙ্গে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন অধিক দানশীল ও বদান্য, রমজানের এই পবিত্র মাসে তাঁর দানশীলতা ও বদান্যতা অনেক গুন বেড়ে যেত।

প্রত্যেক রমজানে জিবরাঈল (আঃ) তাঁর সঙ্গে মিলিত হতেন এবং পুরো কোরআন একে অপরকে শোনাতেন। তাই রমজান মাসে প্রতিদিন কোরআন তেলওয়াত করা অনেক নেকির কাজ ও সুন্নাত। 
(সহীহ বুখারীঃ ০৬)

৩। প্রতি ওয়াক্তের নামাজে দোয়া করা

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, প্রত্যেক মুসলিম রমজানে যে দুআ করে তা কবুল করা হয়। (মুসনাদে বায্যাবঃ ৩১৪১)
প্রতি ওয়াক্তের নামাজে দোয়া করা উচিত। 

৪। অধিক পরিমানে তওবা ও ইস্তেগফার পাঠ করা

এখন পর্যন্ত এমন কোন মানুষ জন্ম নেয়নি যে কিনা গুনাহে লিপ্ত হয়নি। একমাত্র আল্লাহ তায়ালার পয়গম্বররা শয়তান দ্বারা প্রতারিত হয়নি । আমরা সাধারণ মানুষ আমাদের দ্বারা হয়ে যায়।

আরো অনেক গুনা হয়ে যায় যা আমরা। রমজান মাস এমন একটি মাস যেখানে আল্লাহ তায়ালা সবাইকে ক্ষমা করে দেন। তাই আমাদেরকে এই সুযোগটা কাজে লাগে বেশি বেশি ইস্তেগফারের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আমাদের গুনাহ গুলোর জন্য এবং আল্লাহর আশ্রয় চেয়ে প্রার্থনা করা।

৫। পরনিন্দা পরিহার করা

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে দুজন মহিলা এসে অভিযোগ করলো রোজার কারণে তাদের খুবই কষ্ট পাচ্ছে । পিপাসার কারণে প্রাণ শেষ প্রায়। এই অবস্থা শুনে মহানবী লোক মরফতে তাদের বমি করার আদেশ দিলেন ।

এবং দেখা গেল গোশতের টুকরো ও তাজা রক্ত বের হচ্ছে। সাহাবীগণ অবাক হলেন। তখন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন যে," এরা হালাল খাদ্য সাহরীতে খেয়ে রোজা রেখেছে কিন্তু রোজা অবস্থায় হারাম খেয়েছে অর্থাৎ মানুষের পরনিন্দা (গীভত) করেছে। আর গীবত করা হচ্ছে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া । ( মুসনাদে আহমাদঃ২৩৬৫৩ )

৬। চরিত্র ঠিক রাখা

হাদীস  নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ যখন রোযা অবস্থায় থাকে তখন যেন সে অশ্লীল কথা না বলে এবং শোরগোল না করে শান্ত থাকে। আর কেউ যদি তার সঙ্গে ঝগড়া করে, গালি দেয়, তা হলে সে যেন শুধু বলে দেয়, আমি তো রোযাদার। ( সহীহ বুখারীঃ ১৯০৪)

৭। রাগ নিয়ন্ত্রণ করা

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, তোমরা রাগ নিয়ন্ত্রন করো। সাহাবিগণ কয়েকবার বললেন, আরও নসিহত করুন। প্রত্যেকবারই রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, রাগ বর্জন করো। (বোখারি শরীফ)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন,"সে প্রকৃত যৌদ্ধা নয় যে কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে দেয়;বরং সেই প্রকৃত যৌদ্ধা যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।" (বুখারি)

রাগ মানুষকে হারিয়ে দেয় এবং রাগ শয়তানের তরফ থেকে আসে। তাই রাগ হলে চুপ থাকুন এবং ওজু করে নিন। 

৮। সকল সুন্নত পালন করার চেষ্টা করা

আমরা সবাই জানি যে নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ যে সকল‌ কাজ কর্ম তার দৈনন্দিন জীবনে করতেন সেই সকল কাজকর্মকেই সুন্নাত বলা হয়। হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর উদ্দেশ্যে সুন্নাত কাজ একমাত্র করে থাকি আমরা। তাই রমজানে বেশি বেশি করে সুন্নত পালন করার চেষ্টা করা উত্তম।

৯। বেশি বেশি জিকির করা

হাদিসে রাসুল্লাহ সাঃ বলেছেন," রোজাদারদের নিদ্রা ইবাদতের সমতুল্য। সামান্য ইবাদত অন্য সময় অপেক্ষা রমজানে অনেক সওয়াবের অধিকারী হয়,সেই ব্যক্তির দোয়া কবুল হয় এবং গুনাহ মাফ হয়। "-বায়হাকী 

তাই রমজানে বেশি বেশি করে তসবি পাঠ করা জিকির করা অতি উত্তম ইবাদত। আশা করি আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে রমজান মাসে অধিক  জিকির করার তৌফিক দান করবেন।

১০। দেরি করে সেহরি খাওয়া

সেহরী সম্ভবত দেরিতে খাওয়া ভালো বা উত্তম। কিন্তু মনে রাখতে হবে এত দেরিতেও খাওয়া উচিত না যাতে আজানের সময় হয়ে যায় এবং রোজার মধ্যে সন্দেহ চলে আসে। সেহরি খাওয়ার আসল সময় হচ্ছে সূর্য‌অস্ত হতে সুবহে সাদিক অর্থাৎ ভোর হওয়ার পর্যন্ত  যে কয় ঘন্টা হয় তার ছয় ভাগের শেষ ষষ্ঠ ভাগ।

১১। সেহরির সময় কে সুযোগ মনে করে দোয়া করা

রমজান মাস হচ্ছে দোয়া কবুলের মাস। রমজান মাসকে আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রত্যেকটি মুসলমানের জন্য নিয়ামত স্বরূপ দান করেছেন। এই মাসের প্রত্যেকটি প্রহর আমাদের জন্য এক একটি সুযোগ আমাদের দোয়া গুলো কবুল হওয়ার।

আমরা সবাই জানি যে আল্লাহ তায়ালা রাত্রে শেষভাগে প্রথম আকাশে নেমে আসেন এবং বান্দাদের কাছে তাদের দোয়া কবুলের প্রতিশ্রুতি দেন। সেহরির সময় ঠিক এমন একটি সময় যে সময় সকল দোয়া কবুল হয়। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত সেহরির সময়টিকে দোয়া কবুলের সুযোগ মনে করে দোয়া করা।

১২। সমার্থ থাকলে গরিবদের কে খাবার দান করা 

হাদিসে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন যে,"তোমরা খুরমার একটি টুকরা দান করে হলেও জাহান্নামের আগুনের হতে রক্ষা পাবার চেষ্টা করো।"

অর্থাৎ অল্প জিনিস বলে তুচ্ছ না করে যখন যা থাকুক না কেন তাই দান করা উচিত। নিয়ত ঠিক থাকলে অল্প জিনিসেও জাহান্নাম হতে রক্ষা পাওয়া যায়। -কানযুল উম্মাল 

আমাদের সমর্থ্য থাকলে গরীব রমজান মাসে গরীব দুঃখীদের খাবার দান করা উচিত। নবীজী (সাঃ) আরো বলেন," তোমরা সদকা খায়রাত অথবা দান দ্বারা আল্লাহর নিকট রুজির বরকত তালাশ কর।" কেননা দানের বরকতেই আল্লাহ তায়ালা রুজিতে বরকত দিয়ে থাকেন

রমজানে কি করা যাবে না?।রোজায় কি কি বর্জনীয় ? 

রোজায় কি কি বর্জনীয় তা আপনারা জানতে পারলে সুষ্ঠভাবে রমজান মাসের রোজা রাখতে পারবেন। আসুন জেনে নিন রমজানে কি করা যাবে না সে সকল বিষয়গুলো-

সাহরি না খাওয়া

রোজা রাখার উদ্দেশ্যে শেষ রাতে যা কিছু খাওয়া হোক না কেন তাকে বলা হয় সেহেরী এবং সেহেরি খাওয়ার সুন্নত। যদি আপনার খিদা না থাকে তবে আপনি এক থেকে দুটি খেজুর বা অন্য কোন হালকা খাদ্য খেতে পারেন।

কিন্ত তাও যদি না পারেন তবে একটু পানি পান করে নিবেন। হাদিসে আছে যে, সাহরি করা আমাদেরকে ইহুদির থেকে আলাদা করে। 

রোজা না রাখা

হাদিসে এসেছে;"যে ব্যাক্তি আল্লাহর জন্য একদিন রোজা রাখবে,আল্লাহ তায়ালা তার মূকমন্ডকে জাহান্নামের আগুন হতে ৭০ বছরের রাস্তা দূরে সরিয়ে নেন।" (সহহি বুখারীঃ ২৮৪০)

কোন কারণ ছাড়া রোজা ভঙ্গ করা যাবে না

রমজান মাসের রোজা প্রত্যেকটি মুসলমানদের জন্য ফরজ। রমজান মাসের রোজা কোন ওজর ছাড়া অর্থাৎ,কোন জায়েজ কারণ ছাড়া ভাঙ্গা হারাম। যদি আপনার প্রাণনাসের আশঙ্কা না থাকে অথবা অসুস্থ না হয়ে যান সেক্ষেত্রে আপনি রোজা ভাঙতে পারেন তবে এ রোজা পরবর্তীতে কাজা তুলে নিতে হবে।

নামাজ বাদ দেওয়া যাবে না

নামাজ হচ্ছে ফরজ ইবাদত। কোন মতেই নামাজ ত্যাগ করা জায়েজ নয়। আর ফরজ ইবাদত যদি রমজান মাসে সঠিকভাবে পালন না করা হয় তাহলে সে ব্যক্তি রোজাও কবুল হয় না। আমাদের সকলের রোজা রাখার সাথে সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা রোজায় করণীয়।

এবং এই সময় নফল নামাজ বেশি বেশি আদায় করা কেননা আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসে প্রত্যেকটি ইবাদতের সোয়াবকে  দশ গুণ বাড়িয়ে দেন ।

মিথ্যা বলা বা অন্যায় কাজ করা যাবে না 

হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি রমজানে মিথ্যা কথা, অন্যায় কাজ এবং মূর্খতা ত্যাগ করতে পারল না, তার রোজা রেখে শুধু পানাহার বর্জন করা আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। " (সহিহ বোখারিঃ ৬০৫৭)

ইফতার দেরিতে করা যাবে না

রোজার পূর্ণ সওয়াব পাওয়ার জন্য ইফতার দেরিতে করা থেকে বিরত থাকতে হবে। হজরত আবু যর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, " সে দীন বিজয়ী হবে, যে সকল রোজাদার দ্রুত ইফতার করবে। কারণ, ইহুদি-নাসারারা তাদের উপস দেরি করে ভাঙ্গে। " (সুনানে আবু দাউদ- ২৩৫৫)

শেষকথাঃ রোজায় করণীয় কি - রমজানে কি করা যাবে না বিস্তারিত জানুন 

আশা করি আমাদের আজকের রোজায় করণীয় কি? রমজানে কি করা যাবে না এই বিষয় নিয়ে লিখা আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে। এধরনের ইসলামিক বিষয়ক আর্টিকেল পেতে ড্রিম আইটিসির পাশেই থাকুন এবং আপনারা যদি ইসলামিক কোন বিষয় সম্পর্কে আরো জানতে চান তবে কমেন্টে জানাতে পারেন। 🥰 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url