জাতীয় শোক দিবস রচনা - ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য

পিতা তুমি জাতির আমাদের জয় করিয়েছ স্বাধীনতা,

                                        তোমার অবদান,তোমার করুনা রয়েছিল সরবদা।

তোমার আহবানে জেগেছিল সকল বাঙালির বাংলার প্রতি ভালোবাসা,

                               তাইতো আছো তুমি আজো মনে "বঙ্গবন্ধু" সর্বদা।

জাতীয় শোক দিবস রচনা - ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য

১৫ই আগস্ট শোক দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন অনুষ্ঠিত করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান‌ সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই  দিবসটি কে পালন করে।তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে;শিক্ষার্থীদের জন্য রচনা প্রতিযোগিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মত বিভিন্ন কুইজ টেস্ট।শোক দিবসের রচনা প্রতিযোগিতা জন্য আজকে আমাদের এ আর্টিকেলটি।  

আরও পড়ুনঃ ১৫ ই আগস্ট কি দিবস - ১৫ ই আগস্ট ২০২৩ কত তম শোক দিবস জানুন

আর্টিকেলটি পড়ে জাতীয় শোক দিবস রচনা কিভাবে লিখতে হবে কেমন করে শুরু করতে হবে এবং উপসংহার সম্পর্কে অনেক সুন্দর সাজিয়ে দেখানো হবে।চলুন তাহলে শুরু করা যাক ,প্রথমেই একটি রচনা লিখতে হলে ভূমিকা দিয়ে শুরু করতে হয় এরপর বিভিন্ন তথ্য অথবা অন্যান্য বিশেষ কার্যক্রম গুলোকে তুলে ধরতে হয়।

পেজ সূচীপত্রঃ জাতীয় শোক দিবস রচনা - ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য

জাতীয় শোক দিবস রচনা -০১। ১৫ আগস্ট ইতিহাসের কালো অধ্যায় রচনা। ১৫ই আগস্ট রচনা। ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ

ভূমিকাঃ ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ

বাঙালি জাতির পিতা এবং প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রাণে তার সোদামাটির তেজ..
তার মনে ছিল অমিত নক্ষত্র ধারা,বাংলার সোঁদা মাটির ঘ্রাণ, তেজস্বী পল্লী।পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে পুরোধা ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির জনক হিসেবে বিবেচিত।ইন্সিদেন্ট বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা।বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও এই

নেতা পরে পালন করেন এদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব।অনেকে তাকে ভালবেসে ডাকতেন শেখ সাহেব।ছাত্রজীবনে তার মধ্যে নেতৃত্বদানের গুণাবলী লক্ষ্য করা যায় ।ছাত্রনেতা থেকে ক্রমে আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃত্তের উচ্চপদে আসীন হন।তার বড় গুন ছিল তুখোড় বক্তৃতা প্রদানের ক্ষমতা। তার দেয়া ৭ই মার্চ ভাষণটি পৃথিবীর ঐতিহাসিক ভাষণের একটি।

তাৎক্ষণিক সে বক্তৃতায় তিনি বাঙালির মুক্তির পথ বদলে দিয়েছিলেন,তাল প্রকৃতিতে ছিল এরকম;"প্রত্যেক গ্রামে,প্রত্যেক মহল্লায়,আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলা এবং তোমাদের যা কিছু আছে তা নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি,রক্ত আরও দেবো, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।" এই অবিস্মরণীয় বক্তৃতা বাঙালির অন্তর কাঁপিয়ে দিয়েছিল, কোটি বাঙালির অন্তরে লেপন করেছে মুক্তির রঙ। 

বঙ্গবন্ধু ছিলেন সমাজতন্ত্রের পক্ষ সমর্থনকারী।তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগোষ্ঠীর প্রতি সকল ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে গড়ে তোলেন আন্দোলন।জনগণের স্বাধীকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি ছয় দফা স্বায়ত্তশাসন পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন হাজার বছর ধরে দেখা অজস্র বাঙালির ভু-রাষ্ট্রিক স্বাধীন রাষ্ট্রের,এবং সেই রাষ্ট্র তিনি বাস্তবায়ন করেছেন।


বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারটা যতটা সহজে বলছি,রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম কতটা কঠিন ছিল আজকের দিনে তা বোঝা খুব মুশকিল।ইতিহাসে আছে সেই দিনগুলোতে এই শেখ মুজিবুর রহমানের ওর জন্য অনেক বাঙালি রোজাও রেখেছেন। কতটা অন্তরে ধারণ করলে এতটা প্রিয় হতে পারে একজন মানুষ।স্বাধীন বাংলাদেশের সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে একসূত্রে আনতে চেয়েছিলেন এই সূর্য নেতা। 

সে অনুযায়ী রাষ্ট্র চলার চেষ্টা সত্ত্বেও দারিদ্র ও বেকারত্ব, সর্বব্যাপী অরাজকতা এবং সেই সঙ্গে ব্যাপক দুর্নীতি মোকাবেলায় তিনি কঠিন সময় অতিবাহিত করেন।একটি নতুন দেশকে অর্থনৈতিকভাবে টেনে নিয়ে গিয়ে চরম বাস্তবতার মুখোমুখি হন,তাই অনেকেই মনে করেন পরিচালক মুজিবের চেয়ে নেতা মুজিব বীরশ্রেষ্ঠ।বঙ্গবন্ধু ছিলেন এমন একজন মানুষ যা আমাদের তিমিরবিনাশী ।আমাদের শেকড় গড়ার কারিগর এর চেয়ে বড় পরিচয় হয়তো আর প্রয়োজন নেই।এত ছোট পরিসরে একজন মহামানব ও মহানায়কের পুরো জীবন তুলে আনা কঠিন।

ঠিকানাঃ ১৫ই আগস্ট রচনা

১৯২০ সালে বৃহত্তর ফরিদপুরের গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা সাহেরা খাতুন।বাবা-মা তাদের সন্তানের নাম দিয়েছিলেন 'খোকা'। 

খুব চঞ্চল আর দুষ্টুমিটা ভালো ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের বাল্যকাল।ইতিহাসের অনেক জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে,জীবনে যারা বড় কিছু করেছেন,তারা ছেলেবেলায় একটু উচ্ছল,দুরন্ত আর চঞ্চল প্রকৃতির হয়।তার দুরন্তপনা সমবয়সী ছেলে মেয়েরা পছন্দ করতো।সে তাদের নেতা, তাকে ছাড়া নাকি তাদের খেলা জমতোনা।

শিহ্মাঃ ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ

জীবনে যারা কাজ ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে খ্যাতিমান হন,তারা শৈশব থেকেই অন্য রকম হয়।স্বাভাবিক জীবনের বাইরে তারা অন্যরকম জীবন দেখেন।শেখ মুজিবুর রহমান তার ব্যতিক্রম ছিলেন না।স্কুলের অন্য ছাত্রীদের মতো কেবল ক্লাসের পড়া পড়তেন না। 

ক্লাসের বাইরেও অনেক বই যেমন; রাজনৈতিক ও বিখ্যাত মানুষদের আত্মজীবনী, আত্মস্মৃতি,ইতিহাস,নাটক,গল্প-উপন্যাস পড়তেন।এইসব বই পড়ার মধ্য দিয়ে যেমন জ্ঞান লাভ করা যায় তেমনি ভবিষ্যতে ছবি আঁকা যায় ।সময় পেলে শেখ মুজিবুর রহমান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করতো।

দীর্ঘ তিন বছর পড়াশোনা স্থগিত থাকার পর ১৯৪২ সালে গোপালগঞ্জের মিশন স্কুল থেকে ইন্টার পাশ করেন শেখ মুজিবুর রহমান।এরপর গোপালগঞ্জে আর পড়াশোনার সুযোগ না থাকায় তিনি কলকাতায় চলে আসেন এবং কলকাতার বিখ্যাত ইসলামিয়া কলেজে যা বর্তমান মাওলানা আজাদ কলেজ সেখানে ভর্তি হন।১৯৪৭ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএ পাস করে পুনরায় ঢাকায় ফিরে আসেন শেখ মুজিবুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগে ভর্তি হন।

কারাজীবনঃ ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ

বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের প্রায় সকল দিকই কোনো না কোনোভাবে আলোচিত হয়ে যায়;পত্র-পত্রিকা ও গ্রন্থাগার ও প্রকাশিত হয়েছে।

কিন্তু তার সুদীর্ঘ জেল-জুলুম ও নির্যাতিত জীবনের কাহিনী আজ পর্যন্ত একসঙ্গে যেমন আলোচিত হয়নি তেমনি পত্রপত্রিকা ও গ্রন্থাগার ও আসেনি।অথচ এই মহান নেতার জীবন জীবনের প্রায় ১০ থেকে ১৫ টি মধুর বসন্ত অতিবাহিত হয়েছে বিদেশি সাম্রাজ্যবাদী  উপনিবেশিক শাসকদের কারান্তরালে।

সেই ব্রিটিশ শাসনের ৩০ দশক থেকে শুরু করে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠার পর তাদের ২৪ বছরের শাসনকালের অধিকাংশ সময়ই বঙ্গবন্ধুর জীবন কেটেছে তাদের কারাগারে।পাকিস্তানের ২৪ বছরের প্রতিটি বছর তো বটেই বছরের পর বছর তাকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল কঠিন কারান্তরালে।এর কারণ একদা তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন,'কারাগারই আমার আসল বাড়ি।'

সেই কালো রাত্রিঃ ১৫ আগস্ট ইতিহাসের কালো অধ্যায় রচনা

বাঙালির দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আজীবন সংগ্রাম করা মানুষকে হত্যা করা হলো। যিনি বলেছিলেন,'ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব,আমি বাঙালি,বাংলা আমার দেশ,বাংলা আমার ভাষা'।তার প্রিয় বাংলাদেশি সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তার হাতে সহ পরিবারের শহীদ হন তিনি।সময়টা ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের রাত্রি।

সেসময়ের বঙ্গবন্ধু রেসিডেন্স পি এ ছিলেন এ এফ এম মতিউল ইসলাম তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী সে কাল রাত্রের ঘটনা বর্ণনা করা হলোঃ রাত সাড়ে আটটার থেকে নয়টার ভিতরে বঙ্গবন্ধু গণভবন থেকে চলে গেলেন এসে উপরে উঠে গেলেন তারপর তোফায়েল সাহেব এসেছিলেন। তোফায়েল সাহেব কিছু কথা বললেন।উনারা সবাই চলে গেলে যথারীতি বঙ্গবন্ধু শুতে গেলেন। বঙ্গবন্ধু প্রায় সাড়ে বারোটা থেকে একটার মধ্যে বিছানায় শুয়ে পড়েন এবং একইভাবে সেদিনও ঠিক শুয়ে পড়ে ছিলেন।


এরপর হঠাৎ রাত দেড়টার পরনবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার থেকে ফোন করে জানালেন যে,'শেরনিআতাবের বাসায় আক্রমণ করেছে,পুলিশ কন্ট্রোল রুমের টেলিফোন করো'।কিন্তু অনেক চেষ্টার পরও পুলিশ কন্ট্রোল রুমকে ফোন করে সে রাত্রে পাওয়া যায়নি।এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু নিজেই  নিচে নেমে এসে পুলিশ কন্ট্রোল রুমকে  ফোন করে বললেন,'আমি প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিব বলছি'ঠিক সে সময় পিছনের জানালা দিয়ে বৃষ্টির মতো গুলি আসতে থাকলো,গুলি বর্ষণের ফলে জানালার সব কাজ গুলো ভেঙ্গে গেল।গুলি বর্ষণের ফলে বঙ্গবন্ধুর বিয়ের হাত কাচের আঘাতে রক্তক্ষরণ শুরু হয়,তা দেখে  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর তাকে টেনে নিচে শুয়ে পড়েন।এর কিছুক্ষণ পর গুলি বন্ধ হয়ে যায়। 

এরপর কাল পোশাকধারী ৩ থেকে ৪ জন ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর সামনে এসে দাঁড়ালেন এবং বঙ্গবন্ধুর বরপুত্র কামালের।এবং তিনি পড়ে যাওয়ার পর কাল পোশাকধারীরা শেখ কামালের ওপর ব্রাশফায়ার করল।শেখ কামালের বুক ঝাঁঝরা হয়ে একটি গুলি এসে ডিএসপি সাহেবের পায়ে লাগলো আর একটা  পি এ এর পায়ে লাগলো।এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর আজ শোনা গেল,তিনি বলছিলেন;'আমাকে কোথায় যেতে হবে?'এর কিছুক্ষণ পর পরেই  প্রচন্ড ব্রাশফায়ার শোনা গেল এরপর সবকিছু যেন নিস্তব্ধ হয়ে উঠলো।

১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে শহীদ হলেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব,শেখ জামাল,শেখ কালাম, শেখ রাসেল,সুলতানা কামাল,পারভিন জামান ও শেখ নাসের।এছাড়া দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শহীদ হন কর্নেল জামিলসহ পুলিশের একজন ডিএসপি। বিদেশে থাকে রক্ষা পেলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের পরিবারের 6 জনকে হত্যা করা হয়।বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি ও তার স্ত্রীকে হত্যা করে এই খুনিচক্র।স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বপ্নের কায়দার নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হয়।

উপসংহারঃ ১৫ আগস্ট আলোচনা

বঙ্গবন্ধুর বাঙালি প্রীতি ত্যাগ-তিতিক্ষা সংগ্রাম আন্দোলনের আপোষহীন ঐকান্তিকতার কারণ এই সমগ্র জাতির ভালোবাসা, আস্থা শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস তার ওপর ছিল অপরিসীম।জাতীয় তার যাবতীয় গুণাবলী তার মধ্যে প্রবহমান থাকার কারণে বাংলাদেশে যদি তাকে তাদের হৃদয়ের অতি আপনজন, পরম বন্ধু, মহান অভিভাবক হিসেবে মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছিলেন।

তাই বাঙালি জাতিকে বিনিময় যা দেবার ছিল তার সবাই তিনি অকাতরে উজাড় করে দিয়েছিলেন।ফলের সেইদিনগুলোতে তার শারীরিক উপস্থিতি বড় হয়ে দেখা দেয় নি বঙ্গবন্ধুর আত্মিকতা সবটুকু বৈশিষ্ট্য তাঁর বিপ্লবী চেতনা তথা বাঙালি জাতির সার্বিক আশা-আকাঙ্ক্ষা ও অধিকারের দেবীমূলে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। 


তাই তার বৈপ্লবিক চেতনায় বাঙালি জাতি হয়েছে জীবন-মরণ সংগ্রামে উজ্জীবিত আন্দোলিত ও অনুপ্রাণিত।তাঁর কালজয়ী প্রখর ব্যক্তিত্ব,রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও মেঘমন্দ্রিত বজ্রকণ্ঠের বাণী বাংলার আপামর জনসাধারণ মুক্তিযোদ্ধা,বাংলার আকাশ-বাতাস,মাটির,জল প্রকৃতি কে একক জাতীয় চেতনার দিপ্তিতে সম্মোহিত করে সবকিছুকে লক্ষ-কোটি 'মুজিব' এ পরিণত করেছিল।

জাতীয় শোক দিবস রচনা -০২। ১৫ আগস্ট ইতিহাসের কালো অধ্যায় রচনা। ১৫ই আগস্ট রচনা। ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ

সুচনাঃ ১৫ আগস্ট আলোচনা

বাংলা ও বাঙালির ওপর পশ্চিম পাকিস্তানের শাসন নিপিরণ আর অত্যাচারে বাংলার মানুষ অতিষ্ঠ ছিল।আর ৪৭ সালের পর থেকে ধীরে ধীরে শেখ মুজিব তার স্বপ্নের স্বাধীন বাঙালির ভূমি তৈরির পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হতে লাগলেন। 

পৃথিবীতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৯০ টি দেশ। ১৯০ টি দেশের মধ্যে প্রথম বাঙালি তাদের রাষ্ট্র পেল ১৯৭১ সালে।পেলে শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন নেতা।শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন।গঠন করলেন মন্ত্রী পরিষদ, শুরু করলেন নতুন সার্থক সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়। তিনি জুয়া- মদ নিষিদ্ধ করলেন।বাংলাদেশ তখনও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ছিল।

তাই তার রাস্তাঘাট,কালঘাট ,ব্রিজ ভেঙে রেখে গেছে পাকিস্তানি সৈন্যরা।ব্যাংকে টাকা পর্যন্ত ছিলনা পাকিস্তানি বাহিনীর টাকা পুড়িয়ে দিয়েছিল।এতে শেখ মুজিবুর রহমান দমলেন না তিনি বাংলাদেশে জন্য বিশ্ববাসীর সাহায্য চাইলেন। কিন্তু সেখান থেকেও তার মাথা উঁচু রাখলেন স্বভাবুলভ বৈচিত্রে।শেখ মুজিব বাংলার মানুষের বঙ্গবন্ধু কতটা মানুষ সংলগ্ন ছিলেন,থাকতে চেয়েছেন আর তার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে ইতিহাসে।

বঙ্গবন্ধুঃ ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ

যারা জীবনে মহৎ কিছু অর্জন করে থাকেন,তারা তার চিহ্ন শৈশব থেকেই রাখেন।একদিন বাঙ্গালী রাষ্ট্রের জন্মদাতা যে হবে,সে তো শৈশবে তার চিহ্ন রাখবেই।শেখ মুজিবুর রহমানও সে চিহ্ন রাখলেন শৈশবে।মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় শেখ মুজিবুর রহমান এর অন্তর কাঁদোতো।

বাবা শেখ লুৎফর রহমানের অনেক জমি-জমা ছিল তার ওপর কোর্টের সেরেস্তাদার।আল্লাহর রহমতে টাকা-পয়সার অভাব ছিল না।পরিবারের সকলের আদর ও সোহাগের বেড়ে উঠেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।কিন্তু তারপরও দরিদ্র অসহায় মানুষের জন্য শেখ মুজিব বিচলিত হতেন।


গরিব ও দরিদ্র মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য বিচলিত শেখ মুজিব অনেক ভেবে একটি উপায় বের করেছিলেন।স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে সেকালে গোপালগঞ্জ গড়ে তুলল 'মুসলিম সেবক সমিতি'। সমিতির সদস্যরা দলে দলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুষ্টির চাল সংগ্রহ করত।সেই ভিক্ষার চাল দরিদ্র ও অভাবী মানুষের মধ্যে বিতরণ করে দিত যাতে দরিদ্র মানুষ অনাহারে না থাকেন।

তখন বাংলাঃ ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ

শেখ মুজিবর এর জন্মের অনেক আগেই ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী শুরু হয়।পলাশীর যুদ্ধে ১৭৫৭ সালে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদুল্লাহ কে পরাজিত করে ইংল্যান্ডের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এ দেশ দখল করে নেয়।সেই দখল থেকে বাঙালি এবং উপমহাদেশের সাধারণ মানুষের উপর নেমে আসে নির্মম নিপীড়ন।চলে ইংরেজদের ত্রাস আর শাসন।

সে শাসন আর ত্রাসের বিরুদ্ধে উপমহাদেশের মানুষ একত্র হয়ে ১৮৫৭ সালে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম,যাকে বলা হয় সিপাহী বিদ্রোহ।সে বিদ্রোহে অংশগ্রহণকারী অনেক সিপাহীকে ইংরেজরা ফাঁসিকাঠে হত্যা করেছে।আমাদের এ দেশের সম্পদ লুট করে তাদের দেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। 

আমাদের দেশের সোনার কৃষকের ধান,পাট চাষ বাদ দিয়ে নীলচাষে বাধ্য করতো।নীল চাষ না করলে কৃষকদের ধরে অনেক জুলুম করা হতো, তাদের ধান-পাট কেড়ে নেয়া হতো এবং কৃষকদের ধরে নিয়ে তাদের কুঠিবাড়ি নিচে গভীর অন্ধকারে রেখে দিতে।ইংরেজদের দেশে তৈরি কাপড় আমাদের দেশে চালানোর জন্য নানান নির্মম কৌশল নিয়েছিল তারা।আমাদের দেশে তৈরি হতো মিহি মসলিন কাপড় ।

আমাদের কারিগররা এত সুখ সারি বা কাপড় তৈরি করতে পারত যে একটি লম্বা শাড়ি হাতের একটি আঙ্গটির ভেতর দিয়ে যেতে পারত। ইংরেজরা কারিগরের আঙ্গুল কেটে দিত যাতে তারা মুসলিন বানাতে না পারে।

প্রথম বিদ্রোহঃ ১৫ আগস্ট ইতিহাসের কালো অধ্যায় রচনা

১৯৩৯ সাল।অভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। বাংলার রাজধানী কলকাতা।প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে বের হয়েছেন, দেখছেন বাংলায় নদী ,বাংলা ফসল,বাংলার মাঠ। সঙ্গে বাংলার আরেক নেতা হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী।দেশ ভ্রমণ করতে করতে প্রধানমন্ত্রী এ কে ফজলুল হক ও সোহরাওয়ার্দী একসময় এলেন গোপালগঞ্জের মিশন স্কুল পরিদর্শনে।স্কুলে বাংলার প্রধানমন্ত্রী ফজলুল হককে সংবর্ধনা জানানো হলো।প্রধান শিক্ষক মানপত্র পাঠ করলেন। 


আরো অনেকে শেরেবাংলার প্রশংসায় প্রকৃত করলেন।কিন্তু কেউই স্কুলের এবং ছাত্রদের সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুললেন না। শিক্ষকদের এই আচরণে ছাত্ররা খুব অসন্তুষ্ট হলো।কারণ কয়েকদিন আগে প্রবল ঝড়ে স্কুল হোস্টেলে চাল উড়ে গেছে। তাছাড়া লাইব্রেরীতে বই নেয়,ব্যায়ামাগার নেই,বেঞ্চ নেই।এমনকি খেলাধুলার ভালো ব্যবস্থাও নেই। প্রধানমন্ত্রী স্কুল পরিদর্শন করছেন অথচ তাকে কিছুই জানানো হচ্ছে না।ছাত্ররা সিদ্ধান্ত নিল তারা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে।প্রতিবাদ করবে ভালো কথা,কিন্তু কে দিবে নেতৃত্বকে মাথা উঁচু করে শেরেবাংলা সামনে বিদ্রোহের নিশান তুলবে? 

হঠাৎ সামনে থেকে একজন এগিয়ে এসে বলল,সব অন্যায়ের প্রতিকার চাইবো নেতার কাছে !সবার চেয়ে একটু লম্বা,হালকা গড়নের শেখ মুজিবুর সবাইকে ঠেলে সামনে এগিয়ে এলো।শেখ মুজিবকে সামনে দেখে ছেলেদের মনে সাহস ফিরে আসে।তারা জানে লম্বা পাতলা শেখ মুজিব যা বলে তাই করে। ওর কাছে সাহস আছে,সে যেকোন দুর্যোগ-দুর্বিপাক এ মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। 

এদিকে স্কুল পরিদর্শন করে শেরে বাংলা ও সোহারাওয়ার্দী সামনের রাস্তা দিয়ে নৌকার দিকে যাচ্ছেন। সঙ্গে প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের এলাকার গণ্যমান্য লোকজন রয়েছেন।পুলিশ তো ছিলই।তারা দেখতে পেলো হঠাৎ একজন কিশোর পথ আগলে দাড়িয়েছে এই সম্মানিত মানুষদের।পুলিশ এগিয়ে যাচ্ছে কিশোরদের শায়েস্তা করতেই। সে সময়ই শেরে বাংলা হাত তুলে থামতে বললেন। 

কিশোর দল সামনে এগিয়ে এলো সবার সামনে লিকলিকে শেখ মুজিব বলল আমরা আপনাকে যেতে দেবো না।এর প্রতিক্রিয়ায় শেরেবাংলা বললেন তোমরা কি চাও?কিশোর দল বললো, আমাদের স্কুল হোস্টেলে ছাদ উড়ে গেছে ঝড়ে, বৃষ্টি হলে আমরা ভিজে যায় ,আমাদের বই ভিজে যায়,পড়াশোনা করতে অসুবিধা হয়,আমাদের পাঠাগারে বই নেই ,খেলাধুলার ব্যবস্থা নেই এসব এর ব্যবস্থা করে তবে যাবেন।শেরেবাংলা বললেন, তোমাদের এত অসুবিধার কথা তো আমাকে কেউ বলেনি।ঠিক আছে পরে আমি ব্যবস্থা করে দেবো।

শেরে বাংলা ছিলেন একজন বীরপুরুষ। তিনি সাহস ও বীরত্বের সম্মান দিতে জানেন।শেখ মুজিবের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন' সাব্বাস'।এই তো চাই,তোমার মতো আরো সাহসী সন্তান চাই বাংলার ঘরে ঘরে তাহলে না এই দেশ সোনায় ভরে উঠবে।


শেরে বাংলানও মুজিবের মধ্যকার কথা শুনছে শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। শেখ মুজিবের মধ্যে নিজের ছায়া দেখতে পেলেন তিনি ও শেখ মুজিবের পিঠ চাপড়ে জানতে চাইলে না কি নাম তোমার?এবং জিজ্ঞাসা করলেন জানো তুমি কার সঙ্গে কথা বলছো, ইনি শেরে বাংলা,বাংলার বাঘ।তার কথাটা শুনে মুজিব বললেন,ভাঙ্গলে তার সঙ্গে পুলিশ থাকে কেন?শেখ মুজিবের হঠাৎ বাকসৌকর্যের সাহসে সবাই হেসে উঠলেন ।

পরিস্থিতি শান্ত হলে শেরে বাংলা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলেন ।তারপর তারা নৌকায় উঠলেন। যাওয়ার আগে শহীদ সোহরাওয়ারদী  শেখ মুজিবকে কাছে ডেকে নিজের কার্ড দিয়ে বললেন, কলকাতায় এলে আমার সঙ্গে দেখা করো। শেখ মুজিবের প্রথম বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ল এলাকার মানুষের মুখে মুখে এবং প্রথম বিদ্রোহ সফল হল।

রাজনীতির মাঠেঃ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য

গোপালগঞ্জে আর পড়াশোনার সুযোগ না থাকায় গোপালগঞ্জ ছেড়ে শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতায় পাড়ি জমায়।কলকাতার বিখ্যাত ইসলামিয়া কলেজের বর্তমান মাওলানা আজাদ কলেজ,সেখানে ভর্তি হন এবং সেখানকার বেকার হোটেলে ওঠেন।এর সূত্র ধরে রাজনীতির সঙ্গে আরো গভীরভাবে যুক্ত হন তিনি।১৯৪০ নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশন এর যোগদান।

এক বছরের জন্য তিনি বেঙ্গল মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।এছাড়া তিনি গোপালগঞ্জ মুসলিম ডিফেন্স কমিটির সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিটিশদের থেকে উপমহাদেশ মুক্তির আন্দোলন বেগবান হয়ে উঠেছে।তিনি পাকিস্তান আন্দোলনের সক্রিয় অংশ নেন।১৯৪৩ সালে শেখ মুজিব মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

তবে তিনি ছাত্র আন্দোলন থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখেননি।পরের দু'বছর কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ইস্যুতে নির্বাচন, মুসলিম লীগ নেতারা ছাত্রনেতা মুজিবের হাতে তুলে দিলেন ফরিদপুর জেলার দায়িত্ব।

কিন্তু যার সম্পর্ক বাংলার মাটি ও মানুষের সঙ্গে তাকে ছোট্ট গন্ডিতে আটকে রাখে সে সাধ্য কার?ফরিদপুরের প্রতিটি গ্রামে মুসলিম লীগের পক্ষে প্রচার চালান তিনি,শুধু ফরিদপুর নয় সমগ্র দক্ষিণ অঞ্চলের মুসলিম লীগের নির্বাচনী কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি।ফলে এ অঞ্চলগুলোতে অভূতপূর্ব বিজয় আসে।

উপসংহারঃ ১৫ আগস্ট আলোচনা। ১৫ই আগস্ট রচনা

১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর গণহত্যা মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহব্বানে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ 'জয় বাংলা' স্লোগান উচ্চারণ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে।এজন্যই বঙ্গবন্ধু হোসেন বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ এবং জাতির পিতা।বঙ্গবন্ধুর উচ্চারিত 'জয় বাংলা 'স্লোগান এর মধ্যেই আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়।অর্থাৎ এই জয় বাংলা স্লোগান এর সূত্র থেকে আমাদের আত্মপরিচয় সন্ধান করতে হবে।কেননা বাংলাদেশের বাঙালিরাই হচ্ছে প্রকৃত বাঙালি। 

এদেশে ভারতীয় বঙ্গবাসী দের বাঙালিত্বের উদ্ভূত দাবি এবং অন্যদিকে পাকিস্তানি মনোভাবপন্ন মৌলবাদীদের বাঙালি জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে ভ্র‌মাত্মক ব্যাখ্যা।ভারতীয় বঙ্গ ভাসিয়া নেশন শব্দের অর্থ দ্ব্যর্থবোধক বসেছেন এবং বাংলাদেশের মুসলিম মৌলবাদীরা নেশন ও রিলিজিয়ান শব্দের দুটি অর্থ বোঝাতে চাচ্ছেন।


গোষ্ঠীর দুটির চিন্তাভাবনা নিশ্চিতভাবে বিভ্রান্তকর।বঙ্গবন্ধুর সফল নেতৃত্বের একদিকে যেমন একটা রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিতাড়িত হয়েছে ,অন্যদিকে তেমনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার দরুন শুধুমাত্র আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের মাটি থেকে মিত্র বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার সম্ভব হয়েছে।এসব হচ্ছে বাস্তব ইতিহাস।


কিভাবে লিখতে হবে জাতীয় শোক দিবস রচনা তা উপরের রচনা গুলো থেকে ধারণা নিয়ে নিজের মতো অথবা একই নিয়মে লিখতে পারেন।উক্ত রচনায় জাতির জনকের সবদিক খুব অল্প পরিসরে তুলে ধরা হয়েছে।যদিও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখতে গেলে তা শেষ হবেনা,কারন তার অবদান বাংলাদেশের জন্য অপরিসীম। 😊 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url