৫টি রিয়েল টাকা ইনকাম সাইট ঘরে বসে ২০২৪ এর সঠিক গাইডলাইন

আজকে তরুণদের একটা ব্যবসায়িক আইডিয়া দিব। রিয়েল টাকা ইনকাম। যার মাধ্যমে তরুণরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম করবে। আপনি যদি কোন কাজ নাও করে থাকেন শুধু একটা কাজ করবেন সারা জীবন এর থেকে টাকা ইনকাম করবেন।

রিয়েল টাকা ইনকাম

শুধু একবার টাকা ইনভেস্ট করবেন পরবর্তীতে আপনার আর ওই কাজে সময় না দিলেও হবে। কি তরুণরা খুব আগ্রহ সহকারে বসে আছেন? আজকে আমি এরকম পাঁচটি প্যাসিফিক ইনকামের কথা বলব। ২০২৩ এ আপনারা এগুলো চালু করতে পারেন। 

এরপর যতদিন এই ব্যবসা গুলা থাকবে সারা জীবন আপনি ইনকাম করতে থাকবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের রিয়েল টাকা ইনকাম নিয়ে আলোচনা।

পেজ সূচিপত্রঃ ৫টি রিয়েল টাকা ইনকাম সাইট ঘরে বসে ২০২৪ এর সঠিক গাইডলাইন

রিয়েল টাকা ইনকাম

১. অনলাইন পেইড কোর্স:

২০২৩ এ পেইড কোর্স বিক্রি করার বিশাল একটা সুবিধা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আপনি ভালো ম্যাথ করতে পারেন কিংবা ভালো ইংরেজি পারেন বা আপনি ভাল একাউন্টিং জানেন। এখন এই বিষয়গুলো আপনি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান।

 এখন যদি ইউটিউব দিয়ে এগুলো করেন তাহলে তো বিষয়টা ফ্রি হয়ে গেল। তাহলে আপনাকে একটি পেইড কোর্স খুলতে হবে। আপনি এটা ইউটিউব চ্যানেলে খুলে google drive এ রেখে পেইড কোর্স হিসেবে চালু করতে পারেন।

আবার আপনি একটি সাইট তৈরি করে নিতে পারেন। একটা সাইটে আনলিমিটেড হোস্টিং দিয়ে ইউটিউবের সাথে লিংক কানেক্ট করে দিতে পারেন। এতে আপনার বিশ হাজার টাকার মত খরচ হবে। আপনি চাইলে এরকম একটা সাইট তৈরি করে ব্যবসা রানিং করতে পারেন। 

এভাবে আপনি যে কোর্সগুলো জানেন শুধু এগুলো রেগুলার আপডেট করবেন। এরপর এগুলো আপনার ফেসবুক অথবা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করবেন। এর মাধ্যমে আপনি যে কাজই করেন না কেন ওই কাজে আপনি সময় দিতে পারবেন ব্যবসা করেন চাকরি করেন যে কোন কাজই হোক না কেন। 

ভিডিও কোর্সগুলো আপনি একবার ভিডিও করে নিলেন এরপর শুধু ওয়েবসাইট ফেসবুক এবং ইউটিউবে শুধু আপলোড করবেন। 

এরপর এর মাধ্যমে সারাজীবন ইনকাম করবেন। যতদিন আপনার ওয়েবসাইট থাকবে ততদিন এর থেকে ইনকাম আসতে থাকবে। ওয়েবসাইট যদি নাও ক্রিয়েট করেন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যতদিন থাকবে ততদিন টাকা ইনকাম করতে থাকবেন।

ইউটিউব থেকে ভিডিও গুলো আপনি google drive এ কানেক্ট করে রাখবেন এরপর যে এই ভিডিওগুলো পারচেজ করবে। যে পারচেজ করবে আপনার ইউটিউবে বলার মাধ্যমে বা ফেসবুকে লিংক এর মাধ্যমে আপনি শুধু সাইটের লিংকটা দিয়ে দিবেন। 

সেই লিংক টা দেখে ভিডিওগুলা সব সময় দেখতে পারবে। আপনি ভাল রান্না জানেন আপনি এ রান্নার ভিডিওগুলো ভাল করে ভিডিও করে সেগুলো পেইড হিসেবে বিক্রি করবেন। এটাকে বলে পেসিভ ইনকাম ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আপনি সারা জীবন ইনকাম করতে পারবেন এর মাধ্যমে।

২. এফিলিয়েট মার্কেটিং:

এখন আপনাদের যে ব্যবসার আইডিয়াটি দিব সেটি হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। আমরা বাংলাদেশে এমন অনেক মানুষ দেখেছি যারা মান্থলি পাঁচ লাখ টাকা করে, ৭ লাখ টাকা করে শুধু এফিলিয়েট করে ইনকাম করে। তবে এটার জন্য আপনাকে সময় দিতে হবে। হয়তো এক বছর কিংবা দেড় বছর পরে গিয়ে আপনি এই ইনকাম টা পাবেন।

আমরা এমনও ইউটিউবার কে দেখেছি যে কিনা মাসে ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করেছে শুধুমাত্র অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে। দুইটা মাধ্যমে আপনি এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ইনকাম করতে পারবেন। একটা হচ্ছে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট তৈরি করে করতে পারবেন ।বিভিন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ আপনি দেখেন বর্তমানে গুগলের টপ সার্চিং লিস্টে আছে মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং গেজেটের উপরে ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুলো।

 এ কনটেন্ট এর উপর তথ্য নিয়ে আপনি সেগুলো লিখে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে পারেন। এবং সেই সাথে আপনি যে এফিলিয়েট link রয়েছে amazon এর লিংক সেটা সরাসরি কনটেন্ট এ যুক্ত করে দিলেন। এই লিংক থেকে আমাজনের যতগুলো প্রোডাক্ট বিক্রি হবে আপনি তার ওপর সারা জীবন কমিশন পেতে থাকবেন। আপনি যেখানেই থাকেন যে কাজেই থাকেন না কেন আপনার এই ওয়েবসাইটের ইনকাম আসতেই থাকবে।

এটায় আর সময় দিতে হবে না একবারই করবেন তবে এটা সারা জীবনের ইনকাম। এর পাশাপাশি আপনি ইউটিউব চ্যানেল ও করতে পারেন। ইউটিউবে বেশি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করে আপনার যে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর লিংক রয়েছে সেটা আপনি এই ভিডিওতে যুক্ত করে দিবেন ডেসক্রিপশন বক্সে।

সেখান থেকে যত মানুষ দেখবে, যত প্রোডাক্ট বিক্রি হবে সেখান থেকে আপনি কমিশন পেতে থাকবেন। এর মাধ্যমে কিন্তু আপনি অনেক টাকা আর্নিং করতে পারবেন। তো অ্যাফিলিয়েট এর মাধ্যমে এখনই সময় টাকা ইনকাম করার।

৩. অনলাইনে ছবি বিক্রি করার মাধ্যমে:

আমাদের সকলেরই স্মার্ট ফোন আছে। কোন ভাল মানের ডিএসএলআর কিংবা ক্যামেরার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র আপনার স্টোরে যে যেই সমস্ত ছবিগুলো আছে সেই ছবিগুলোকে আপডেট করে আপনি বিভিন্ন লিংক এর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। 

এক একটা ছবি কখনো পঞ্চাশ ডলার কিংবা ৬০ ডলার অথবা ১০০ ডলার এ ধরনের মূল্যে কিংবা এর চাইতে বেশি মূল্যে আপনার ছবিটি বিক্রি করতে পারবেন। এই ছবিগুলো বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন:-

1. Your Own Website 

2. Alamy

 3.Getty Images 

4. Dreamstime

5.Shutterstock

এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে ছবি বিক্রি করার জন্য। এই ছবিগুলো আপনি রেগুলার আপডেট করে বিক্রি করতে পারবেন। এগুলো যে প্রতিদিন বা একদিনেই হয়ে যাবে বিষয়টা এরকম নয়। প্রতিদিন আপনি ২০-২৫ টা ছবি দিতে  দিতে এরকম হবে যে দেখা যাবে এক বছরে আপনার প্রায় পাঁচ ছয় হাজার ছবি হয়ে গেছে। 

এই ছবি থেকে যখন দেখা যাবে আপনার আস্তে আস্তে সেল শুরু হবে তখন কিন্তু আপনি নিয়মিত সেল পাবেন। তখন হিউজ একটা কমিশন আপনি এখান থেকে আর্ন করতে পারবেন। ৫০,৬০,৭০ হাজার এরকম মান্থলি আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এখান থেকে আপনি বসে বসে একবার ছবি তুলে সারা জীবন ইনকাম করতে পারছেন।

৪. রিয়েল এস্টেট বিজনেস:

ঢাকা শহরের সবচাইতে রমরমা ব্যবসা রিয়েল এস্টেট ব্যবসা। রিয়েল এস্টেটে আপনি একবার ইনভেস্ট করবেন সারা জীবন ইনকাম করতে থাকবেন। আপনি রিয়েল স্টেটে একটা জমি কিনবেন তারপর developer দের কাছে দিয়ে দিবেন এর থেকে সারা জীবন ইনকাম করতে থাকবেন। আর যদি জমি কেনার সামর্থ্য না থাকে।

যদি এমন হয় যে জায়গার দাম খুব বেশি তাহলে আপনি কি করবেন? এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ট্রাস্টেড রিয়েলস্টেট কোম্পানি রয়েছে তাদের মাধ্যমে জমি কিনে রাখতে পারেন। একটা জমিতে যদি আপনি ইনভেস্ট করে রাখেন, এমন জায়গা বা এমন কোম্পানি দেখে জমি কিনবেন যেখানে কয়েক বছর পর জমির মূল্য কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। পরিকল্পনা মাফিক জমি কিনতে পারলে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় আপনি সফল হতে পারবেন।

ডেভলপারদের কাছে যদি আপনি জমিটা দিয়ে দেন তাহলে ডেভলপাররা আপনার বাড়িতে যদি ২০টা ইউনিট করে তাহলে দশটা আপনাকে দিয়ে দিবে। এখান থেকে আপনি রেগুলার বাড়ি ভাড়া দিতে পারবেন সারা জীবন আপনার এখান থেকে প্যাসিভ ইনকাম চলে আসতে থাকবে।

৫.  শেয়ার মার্কেট ইনভেস্ট:

শেয়ার মার্কেটের কথা শুনে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। আমরা শেয়ার মার্কেটে দ্রুত ইনভেস্ট করি এবং দ্রুত রিটার্ন চাই। এটা কোন স্ট্রেটেজি না। এখানে আপনারা ওয়ারেন বাফেটের থিওরি কাজে লাগাতে পারেন। ওই কোম্পানিটার ই ভালুয়েশন দেখবেন, ওই কোম্পানিটার লাস্ট তিন বছর বা চার বছরের ট্রেড রিপোর্ট দেখবেন, তারপরে কোম্পানিটার স্ট্রেন্থ দেখবেন এগুলো সব কিছু দেখে ইনভেস্ট করবেন লং টার্মের জন্য শর্ট টার্ম এর জন্য নয়।

তাহলে প্রতিবছর আপনি ডিপিরিয়ন পাবেন, আপনার শেয়ার বাড়বে এরকম করতে করতে আপনার কম্পাউন্ড ইফেক্ট যেটার মাধ্যমে ওয়ারেন বাফেড আজকে বিশ্বের এক নম্বর শেয়ার মার্কেট ইনভেস্টর হয়েছেন। এভাবে কম্পাউন্ড ইফেক্ট টা ফলো করলে দেখবেন যে পাঁচ বছর পর আপনার টাকাটা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে।

আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা ধৈর্য ধারণ করতে পারিনা। না আমরা হুট করে কিনি এবং হুট করে বিক্রি করে দেই লস করে ফেলি। ওয়ারেন বাফেট বলেছেন আপনি আপনার মানি বা টাকা কখনো লস করবেন না। আপনি ওয়েট করেন ধৈর্য ধরেন দেখবেন আপনার অনেক সেল হয়ে গিয়েছে। ভালো ভালো যেগুলো কোম্পানি রয়েছে সেগুলো শেয়ার এখনই কিনে রাখুন।

শেয়ার কিনার এখনই বেস্ট সময়। এখন বর্তমানে স্ট্যান্ডার্ড প্রাইসের সাথে ৩০-৪০ পার্সেন্ট কিংবা ৫০ পার্সেন্ট প্রাইস কম আছে। এখন যদি আপনি শেয়ারটা কিনেন এবং এই শেয়ারটা যদি নরমাল প্রাইজে আসে তখনই কিন্তু আপনি দাম ৩০-৪০% বেশি পাবেন। সুতরাং প্যাসিভ ইনকামের জন্য এটা একটা অন্যতম ভালো সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে।

আরেকটা কথা বলে রাখি শেয়ার মার্কেট ইনভেস্ট করা কিন্তু হালাল তবে বিশেষ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলোর সাথে সুদ জড়িত কিংবা তামাকজাত দ্রব্য নেশা জাতীয় দ্রব্য কোম্পানি আছে সেগুলো ব্যতীত বাকি যেগুলো ভালো প্রোডাক্টের কোম্পানি সেগুলোতে ইনভেস্ট করা হালাল।

রিয়েল টাকা ইনকাম সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ বিনা পুঁজিতে অনলাইন ব্যাবসা কি সম্ভব?

উত্তরঃ হ্যাঁ অবশ্যই সম্ভব। নির্দেশ টা কিছু অনলাইন ভিত্তিক কাজ রয়েছে যেগুলো নিয়মমাফিক ফলো করলে বিনা পুঁজিতে অনলাইন ব্যবসা করা সম্ভব।

প্রশ্নঃ অনলাইনে একবার টাকা ইনভেস্ট করে সারাজীবন ইনকাম করা যায়?

উত্তরঃ হ্যাঁ এমন কিছু কিছু মাধ্যম আছে যেগুলোতে আপনি একবার ইনভেস্ট করে সারা জীবন ইনকাম করতে পারবেন। তার মধ্যে কিছু কিছু আইডিয়া আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।

প্রশ্নঃ অনলাইনে সর্বোচ্চ কত টাকা ইনকাম করা যায়?

উত্তরঃ আপনি যদি সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন তাহলে আপনি প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তিদের প্রায় বেশিরভাগ জনই অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসায় জড়িত ।সুতরাং বুঝতেই পারছেন কত টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব।

সবশেষেঃ ৫টি রিয়েল টাকা ইনকাম সাইট ঘরে বসে ২০২৪ এর সঠিক গাইডলাইন

কি তরুণরা আজকে আমাদের ব্যবসায়ীক এই আইডিয়াগুলো কেমন লাগলো। আশা করছি এগুলো সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করে ফলো করতে পারলে শুয়ে বসে রিয়েল টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে। বেকারত্বের জন্য হতাশ না হয়ে আজই নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজ শুরু করে দিন। বর্তমানে টাকা ইনকাম করার মত বেশ কিছু পথ রয়েছে। শুধুমাত্র সঠিক পথ অনুসরণ করেই আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারবেন। ধন্যবাদ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url