পবিত্র শবে মেরাজ ২০২৪ - ২০২৪ সালের শবে মেরাজ কত তারিখে

আরবী সনের ৪ টি গুরুত্বপুর্ণ মাসের মধ্যে রজব মাস অন্যতম। কারন রজব মাসে শবে মেরাজ পালিত হয়। আপনাদের মধ্যে অনেকেই শবে মেরাজ 2024 সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। আমি অনেক দেখি এটা মেসেজ করেছেন যে,শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৪ পালন করা হবে।

২০২৩ সালের শবে মেরাজ কত তারিখে হবে বাংলাদেশ

আপনাদের এই সকল প্রশ্নের উত্তর আজ আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিত জানাবো। তাছাড়া আপনার আরো জানতে পারবেন শবে মেরাজ কি? আমরা শবে মেরাজ কেন পালন করি ? আরবি মাসে শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৪? ও শবে মেরাজের রোজা, শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত এবং শবে মেরাজের ফজরের সম্পর্কে সহি দলিলসহ তথ্য যা আপনার ইবাদত বন্দেগীতে মনোযোগ আনবে।

সূচিপত্রঃ শবে মেরাজ 2024  - ২০২৪ সালের শবে মেরাজ কত তারিখে

শবে মেরাজ কি?। পবিত্র শবে মেরাজ 2024 

আপনারা অনেকেই জানেন না শবে মেরাজ কি? শবে মেরাজ হচ্ছে এমন একটি পবিত্র রাত যা প্রত্যেকটি মুসলমানদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে নিয়েছিল। সাধারণ অর্থে আরবি শব্দ "লাইলাতুল" বা "শব" অর্থ রাত্রিকে বোঝানো হয়। এবং বাংলা ভাষায় "মেরাজ" অর্থ হচ্ছে উর্ধ্ব গমন করা।

তাই অনেকেই শবে মেরাজকে লাইলাতুল মেরাজ হিসেবেও আখ্যায়িত করেন। ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী আরবি সনের রজব মাসের ২৬ তারিখ গভীর রাত্রে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আল্লাহ তাআলার আদেশে ঊর্ধ্ব আকাশে ভ্রমণ করে আল্লাহ তায়ালার সাক্ষাৎ লাভ করতে গিয়েছিলেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভের উদ্দেশ্যে রাত্রে এবং ঊর্ধ্ব আকাশে ভ্রমণের করেন যার জন্য এই পবিত্র রাত্রির নাম দেয়া হয় শবে মেরাজ।

শবে মেরাজ ২০২৪ কবে হবে জানতে আমাদের আর্টিকেলটি নিচে আরও পড়ুন। তাছারা,আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় বন্ধু বা হাবিব মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লামকে উপহারস্বরূপ "জান্নাতের চাবি" অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত "নামাজ" দেন।

শবে মেরাজ কেন পালন করা হয়?

শব ই মেরাজ 2024 এই পবিত্র দিনটি প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হবে রজব মাসের ২৭ তারিখে শনিবের দিবাগত রাতে। এই পবিত্র দিনটিকে মুসলমান ধর্মপ্রাণী মানুষেরা অনেক নিষ্ঠার সাথে পালন করে থাকে। এই পবিত্র দিনটিতে দেশ জুরে বিভিন্ন স্থানে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মেরাজ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা এবং মিলাদ মাহফিল বা তামিমের ব্যবস্থা করে আয়োজন করা হয়।

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে শবে মেরাজ কেন পালন করা হয় বা শবে মেরাজের বিশেষত্ব কি? আজকে ড্রিম আইটিসি এর পক্ষ থেকে আপনারা জানতে পারবেন যে শবে মেরাজ কেন পালন করা হয়?

শব ই মেরাজ 2024 জানার আগে আসুন বিস্তারিত জানুন শবে মেরাজ কেন পালন করা হয়? যদিও আপনারা শবে মেরাজ কি বা এর অর্থ কি তা আগেই জেনে আসছেন কিন্ত মুল অর্থে শবে মেরাজ হচ্ছে " সেই পবিত্র রাত্রি যে রাত্রিতে প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বোরাক নামক বিশেষ বাহনে করে ঊর্ধোআকাশে ভ্রমন করেছিলেন এবং ঊর্ধ্বাকাশে গিয়ে মহান আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন"।

سبحان الذي اسرا بعبده ليلا من المسجد الحرام الى المسجد اقصى الذي باركنا حوله لنوريه من اياتنا انه هو سميع البصير

উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহযী আসরা বিআবদিহি লায়লাম মিনারেল মাসজিদের হারামি বিলাল মাসজিদিল আক্বসাল লাজি বারাকনা হাওলাহু লিনুরিইয়াহু মিন আইয়াতীনা ইন্নাহু হুয়াস সামিউল বাসির। (সূরা বনী ইসরাইল,আয়াত নং ০১)

অর্থঃপবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি,যিনি তার বান্দাকে রাতের বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যার চারিদিকে পর্যন্ত আমি বরকত দান করেছি। যাতে আমি তাকে কুদরতের নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনকারী।

শব ই মেরাজ 2024 । ২০২৪ সালের শবে মেরাজ কত তারিখে

হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর নবুয়তের ১১তম বছরে কোন একরাত্রে জিব্রাইল আলাইহিস সাল্লাম প্রথমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লামকে জমজম কূপের কাছে নিয়ে গিয়ে তার বক্ষ বিদির্ণর পর তার আত্মাকে জমজম কূপের পানি দ্বারা ধৌত করে দেয়। এক সময় রাসূল সাঃ কাবা গ্রহের হাতেমর সাথে শায়িত ছিলেন। ঠিক সে সময় হযরত জিবরাঈল (আ) ও হযরত মিকাইল (আ) সেই স্থানে আগমন করে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে তাদের সাথে যেতে বললেন।

এরপর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে বোরাকে আরোহন করানো হলো। সেই বরাক নামক বাহনের গতি এতই দ্রুত ছিল যে,সে দৃষ্টিসীমার শেষ প্রান্তে ধাপ ফেলতো। এইরূপ গতিতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে সিরিয়ার মসজিদে আকসাতে নিয়ে যাওয়া হলো। মসজিদে আকসা এমন একটি মসজিদ যেখানে প্রত্যেকটি নবীর আগমন ঘটেছিল। এবং সেই সময় সমস্ত নবী আঃ হাজির হলেন। জুড়াইয়া সালামুজদা আকসায় আজান দিলেন।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম সমস্ত নবীদের ইমাম হয়ে নামাজ পড়লেন। এরপর হুজুর মহানবী সাঃ এর পার্থিব জগতের সফর শেষ হলো। মসজিদে আকসা থেকে হুজুর (সাঃ) কে সমস্ত আসমান ভেদ করে আরশে আজিমে নিয়ে হলো।

আরশে আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) নিজ নিজ অবস্থাভেদে কথা বললেন এবং উপহার রুপে আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজের বিধান মহানবীর হাতে তুলে দিলেন, তার পর সেখান থেকে হুজুর সাল্লাল্লাহু সালামকে বেহেশত,দোযখ ও হাউজে কাউসারসহ বিভিন্ন কিছু দেখানো হলো। শবে মেরাজ কেন পালন করা হয়? তার কারন হচ্ছে এই রাতেই নামাজ বা সালাতকে সকল মানব জাতির জন্য ফরজ করা হয়েছিল।

আরো পড়ুনঃ শবে বরাত কবে ২০২৪ - শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে জেনে নিন 

শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৩?। পবিত্র শবে মেরাজ 2024 

সালের শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৪ তা জানার জন্য অনেক ধর্মপ্রান মানুষ অতি আগ্রহ নিয়ে বসে আছেন। কেননা মুসলিমদের জন্য শব ই মেরাজ একটি গুরুত্বপুর্ন ও পবিত্র দিন। শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৪ তা আপনারা কিছুহ্মন পরই জানতে পারবেন। আরবী মাস নির্ভর করে চাঁদ উঠার উপর।

যেহেতু বাংলাদেশের আকাশে আগামী ১৩ই জানুয়ারি রজব মাসের চাঁদ দেখা যেতে পারে এবং রজব মাসের ২৭ তারিখ রাত্রে শবে মেরাজ পালিত হয়, তাই শব ই মেরাজ 2024 এবার পরছে ৭ ফেব্রুয়ারি রোজ বুধবার। ২০২৪ সালের শবে মেরাজ কত তারিখে এই নিয়ে আমাদেরকে অনেক প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাই আমরা আপনাদের শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৪ জানাতে পেরে অনেক আনন্দিত।

শবে মেরাজ ফেব্রুয়ারীর ৭ তারিখে ২০২৪ দিবে গত রাত্রে শুরু হবে যদি সবকিছু ঠিক থাকে, কেননা আরবী মাস চাঁদের উপর নির্ভর করে। আশা করব যাতে শব ই মেরাজ 2024 এ আল্লাহ তায়ালা আপনার নেক আমল গুলো কবুল করবে।

আরো পড়ুনঃ ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৫ কত তারিখ - ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি কবে 2025

শবে মেরাজের রোজা। ২০২৪ সালের শবে মেরাজ কত তারিখে

অনেকেই শবে মেরাজ 2024  পালন করে বিশেষ নামাজ আদায় করে এবং রোজা রেখে। এমনকি শবে মেরাজ উপলক্ষে বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ সমাবেশ হতে দেখা যায়। কিন্তু ইসলামিক শরীয়ত অনুযায়ী শবে মেরাজে বিশেষ কোন নামাজ অথবা রোজা রাখার বিধান নেই।

শবে মেরাজের রোজা এ বিষয়ে মুফতি আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলী রহমাতুল্লাহ তার একটি গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে, রজব মাসের সাথে সম্পর্কিত কোন বিশেষ নামাজ নেই। রজব মাসের‌ প্রথম জুম্মায় সালাতুল রাগায়েব সম্পর্কে যেসব হাদিস বর্ণিত হয়েছে সেগুলো ভিত্তিহীন মিথ্যাও বানান। সালের শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৪ তা জানা হয়ে গেলে আরো জেনে নিন শবে মেরাজ পালন করা বিআদাত কিনা?

আরো পড়ুনঃরোজায় করণীয় কি - রমজানে কি করা যাবে না বিস্তারিত জানুন  

বেশিরভাগ আলেমগণদের মতে শবে মেরাজ পালন করা একটি বিদআত। এই মত প্রদানকারী আলিমঙ্গনদের মধ্যে রয়েছেন;আবু ইসমাইল আনসারী,আবু বকর সামাআনি,আবুল ফজল ইবনে নাসির ও আবুল ফাজ ইবনে জাওযি (রহ.) এবং আরো অনেকে। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এবং সাহাবাদের থেকে রজব মাসের রোজা সম্পর্কেও বিশুদ্ধ কোন হাদিস বর্ণনা নেই।

যেহেতু রজব মাস আল্লাহ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর জন্য একটি বিশেষ মাস‌। তাই এ রজব মাসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম দশটি রোজা রাখতেন তবে শবে মেরাজ উপলক্ষে কোন বা কয়টি রোজা নির্দিষ্ট কোন প্রমাণ নেই। 

এছাড়া নফল রোজা রাখা ও নফল নামাজ আদায় করা নেকির কাজ যার জন্য অনেক আগে থেকেই এই পবিত্র দিন অর্থাৎ শবে মেরাজ উপলক্ষে অনেকেই রোজা রাখেন এবং নামাজ আদায় করেন।

শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত। ২০২৪ সালের শবে মেরাজ কত তারিখে

শব ই মেরাজ 2024 সম্পর্কে লিখতে গিয়ে আমরা আপনাদেরকে আগেও জানিয়েছি যেহেতু শবে মেরাজ পালন করা একটি বিদআত তাই শবে মিরাজ উপলক্ষে সুনির্দিষ্ট কোন নামাজের কথা হাদিস অথবা কোরআনের উল্লেখ করা হয়নি। তাই এই রাত্রে বিশেষ কোনো নামাজ অথবা ইবাদতের প্রয়োজন হয় না।

যেহেতু শবে মেরাজের নামাজ পড়া বেদাত তাই শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত এর কোন প্রশ্নই আসেনা। তবে ধর্মপ্রাণ মানুষরা এ রাত্রে অন্যান্য নফল নামাজের মত করেই নফল নামাজ আদায় করতে পারেন যেমন তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে পারেন।

শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত পরবর্তে নফল নামাজের নিয়ম ও নিয়ত নিচে দেওয়া হলো। শবে মেরাজে নফল নামাজ পড়ার নিয়মঃ দুই রাকাতের নিয়তে কমপক্ষে ১২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হয়। আছাড় ও আপনি অন্যন্য নফল ইবাদাতসহ আর বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতে পারেন।

তবে মনে রাখবেন এশার নামাজ আদায় করারা সময় তিন রাকাত বিতির নামাজ আদায় যাবে না।এই তিন রাকাত নামাজ আদায় করবেন সকল নফল নামাজের পর। শবে মেরাজের নিয়ত অন্যান্য নফল নামাজের মতই এই নামাজের নিয়ত করবেন।

উচ্ছারণঃ "নাওয়াইতুআন উছাল্লিয়া লিল্লাহে তাআলা রাকআতায় ছালাতি লাইলাতিল মেরাজ মুতাওইয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।"

অর্থঃ"আমি কেবলা মুখি হয়ে মেরাজের দুই রাকআত নফল নামাজ আল্লাহ্‌ রাজি ও খুসির জন্য আদায় করিতেছি। আল্লাহ্‌ হুয়াকবার।"

শবে মেরাজের ফজিলত। ২০২৪ সালের শবে মেরাজ কত তারিখে

শবে মেরাজের ফজিলত হচ্ছেঃ-

মেরাজের রাতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর উম্মতদেরকে তিনটি মুল্যবান জিনিস হাদিয়া বা উপহার দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে এক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, দুই বাকারার শেষ দুঃটি আয়াত যেখানে ঈমান আনুগত্য ও দোয়ার কথা রয়েছে । তিন, শিরক থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ এবং এর বিনিময় ক্ষমার ওয়াদা । ( জামে তিরমিজি , হাদীস নং ৩২৭৬ )

সুরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত হচ্ছে;

اٰمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَاۤ اُنْزِلَاِلَیْهِ مِنْ رَّبِّهٖ وَالْمُؤْمِنُوْنَ ؕ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللهِ وَمَلٰٓئِکَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ * لَا نُفَرِّقُ بَیْنَ اَحَدٍ مِّنْ رُّسُلِهٖ * وَقَالُوْا سَمِعْنَا وَ اَطَعْنَا ٭ غُفْرَانَکَ رَبَّنَا وَ اِلَیْکَ الْمَصِیْرُ ﴿۲۸۵﴾ لَا یُکَلِّفُ اللهُ نَفْسًا اِلَّا وُسْعَهَا ؕ لَهَا مَا کَسَبَتْ وَعَلَیْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ؕ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَاۤ اِنْ نَّسِیْنَاۤ اَوْ اَخْطَاْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَیْنَاۤ اِصْرًا کَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَۃَ لَنَا بِهٖ ۚ وَاعْفُ عَنَّا * وَاغْفِرْ لَنَا * وَارْحَمْنَا * اَ نْتَ مَوْلٰىنَا فَانْصُرْنَا عَلَی الْقَوْمِ الْکٰفِرِیْنَ (۲۸۶)

আয়াত দুটির ফজিলত বা শবে মেরাজের ফজিলত-

১.যদি কোন ব্যাক্তি সূরা বাক্বারার শেষ তিন আয়াত ঘুমানোর আগে পড়বে। ঐ রাতে ঘুমের কারণে সে যদি তাহাজ্জুদ নামায পড়তে না পারে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে তাহাজ্জুদ পড়ার নেকী দান করবেন।

২. মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, "যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়বে, ঐ ব্যক্তির জন্য তা যথেষ্ট হয়ে যাবে।" (অর্থাৎ জিনের ক্ষতি, মানুষের ক্ষতি, সকল পেরেশানি ও মুছিবত থেকে হেফাজতের জন্য যথেষ্ট হবে। কারো কারো মতে রাতের সকল ওজিফার জন্য যথেষ্ট হবে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১৮৭৮)

আরো পড়ুনঃ আশুরার রোজার ফজিলত - আশুরার রোজার নিয়ত ও হাদিস  

৩.হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, "হযরত জিবরিল আলাইহিস সালাম মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলেন, আপনি এমন দুটি নূরের সুসংবাদ গ্রহন করুন যা অন্য কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি, একটি হচ্ছে সুরা ফাতিহা অপরটি হচ্ছে সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত।

শব-ই-মেরাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর । FAQ। ২০২৪ ==সালের শবে মেরাজ কত তারিখে

শব-ই-মেরাজ কি?

শব-ই-মেরাজ হল বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের দ্বারা উদযাপন করা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান, যে রাতে নবী মুহাম্মদ মক্কা থেকে জেরুজালেম এবং তারপর স্বর্গে অলৌকিক যাত্রা করেছিলেন।

শব-ই-মেরাজ কখন পালন করা হয়?

শব-ই-মেরাজ পালিত হয় ইসলামী মাসের রজব মাসের ২৭তম দিনে।

শব-ই-মেরাজ কীভাবে উদযাপন করা হয়?

শব-ই-মেরাজ বিশেষ প্রার্থনা, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং দান করা এবং অন্যদের সাহায্য করার মতো ভাল কাজ করার মাধ্যমে উদযাপিত হয়। কিছু মুসলমানও এই দিনে রোজা রাখতে পছন্দ করে।

শব-ই-মেরাজের তাৎপর্য কী?

শব-ই-মেরাজকে ইসলামী ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি নবী মুহাম্মদের আধ্যাত্মিক যাত্রার প্রতিনিধিত্ব করে এবং ভাল কাজ ও ভক্তির মাধ্যমে ঈশ্বরের নৈকট্য খোঁজার গুরুত্বের অনুস্মারক হিসেবে কাজ করে।

শব-ই-মেরাজে ‘মেরাজ’ এর অর্থ কী?

শব-ই-মেরাজের ‘মেরাজ’ শব্দটি আরবি শব্দ ‘মি’রাজ’ থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘অধিরক্ষা’ বা ‘সিঁড়ি’। এটি নবী মুহাম্মদ (সাঃ)  এর মক্কা থেকে জেরুজালেম এবং তারপর জান্নাতে ভ্রমণকে নির্দেশ করে।

শব-ই-মেরাজ অন্যান্য ইসলামিক উদযাপন থেকে কীভাবে আলাদা?

শব-ই-মেরাজ ইসলামে একটি অনন্য উদযাপন, কারণ এটি নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর অলৌকিক যাত্রাকে চিহ্নিত করে এবং আল্লাহর নৈকট্য খোঁজার গুরুত্বের অনুস্মারক হিসেবে কাজ করে। অন্যান্য ইসলামিক উদযাপনের বিপরীতে, এটি একটি আনন্দের উপলক্ষ নয় বরং এটি প্রতিফলন, ভক্তি এবং আধ্যাত্মিক পুনর্নবীকরণের একটি সময়।

শব-ই-মেরাজের সাথে কি কোন বিশেষ আচার-অনুষ্ঠান জড়িত?

হ্যাঁ, অনেক মুসলমান ঈশ্বরের নৈকট্য কামনা এবং আশীর্বাদ অর্জনের মাধ্যম হিসেবে শব-ই-মেরাজে বিশেষ প্রার্থনা পালন করে এবং নেক আমল করে।

বিভিন্ন দেশে শব-ই-মেরাজ কীভাবে পালিত হয়?

শব-ই-মেরাজ বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের দ্বারা পালন করা হয়, তবে সাংস্কৃতিক এবং আঞ্চলিক ঐতিহ্যের উপর নির্ভর করে এটি যেভাবে উদযাপন করা হয় তা দেশ থেকে দেশে পরিবর্তিত হতে পারে। যাইহোক, ঘটনার মূল অর্থ ও তাৎপর্য একই থাকে।

শবে মেরাজ কবে 2024 সালে ? Shab E Meraj Bangla 2024 

শেষকথাঃ শবে মেরাজ 2024  - ২০২৪ সালের শবে মেরাজ কত তারিখে

আশা করা যায় আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি শবে মেরাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য যেমন; ২০২৪ সালের শবে মেরাজ কত তারিখে? শবে মেরাজ কেন পালন করা হয়? বা শবে মেরাজের ফজিলত কি? তা জানতে পেরেছেন।

শবে মেরাজ পালন করা যদি একটি বিদআত তবে শবে মেরাজ উপলক্ষে আপনি নফল ইবাদত করতে পারেন। যেহেতু শবে মেরাজের রাত্রে আল্লাহ তায়ালা আমাদের জান্নাতের চাবি অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ উপহার দিয়েছেন।

তাই আমরা শবে মেরাজের দিন আল্লাহর কাছে তার দেয়া উপহারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব এবং বেশি বেশি নফল ইবাদত করার চেষ্টা করব। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসলে আপনারপরিবার এবং বন্ধুদের সাথ\ শেয়ার করতে ভুলবেন না।😊


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url