ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ - ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি কবে 2023

আসসালামু আলাইকুম আপনি কি জানেন এই বছর ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ। একটি বছর ঘুরে আবারও আমাদের দরজায় কড়া নাড়াচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩। আর এই জন্য আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা বিভিন্ন সোর্স থেকে জানতে চাচ্ছেন যে যে ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই বছর। 

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা শুধু আপনাকে ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য দিব না সেইসাথে জানাবো যে ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং কেন ঈদে মিলাদুন্নবী আপনি পালন করবেন এবং ঈদে মিলাদুন্নবীর সংক্ষিপ্ত কিছু ইতিহাস।

ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ, ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি কবে 2023

প্রতিবছরই আমাদের দেশে ঈদে মিলাদুন্নবী আসলে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পুরো দেশব্যাপী এটি উদযাপন করা হয়। আর যেহেতু এই দিনে সরকারের পক্ষ থেকে ছুটি ঘোষণা করা হয় তার জন্য অনেক মানুষেরই জানার কৌতুহল সৃষ্টি হয় যে ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ। প্রত্যেক বছরই মুসলিম বিশ্বের জন্য এক নতুন উন্মাদনা এবং বার্তা নিয়ে আসে ঈদে মিলাদুন্নবী। 

আজকের এই পুরো পোস্টটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পরেন তাহলে আপনি ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ তা জানতে পারবেন এছাড়াও ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী (স) কি, ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালিত হয় আর কিভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক আজকের এই আর্টিকেলটি।

ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ পালিত হবে

ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩, ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শুরু হবে এবং ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শেষ হবে (চাঁদের অবস্থানের উপর নির্ভর করে তারিখগুলি পরিবর্তিত হতে পারে)। যদিও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৬ তারিখ ও ২৭ তারিখ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রিয় পাঠকগন নিশ্চয়ই এবার আপনারা তাহলে জানতে পেরেছেন ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অর্থাৎ মূল কথা হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠিত হবে ২৮ সেপ্টেম্বর ১২ ই রবিউল আউয়াল ১৩ই আশ্বিন ২০২৩ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার।

আরো পড়ুনঃ পবিত্র শবে মেরাজ 2023 - ২০২৩ সালের শবে মেরাজ কত তারিখে

ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন

আমরা জানি যে ঈদ শব্দের অর্থ হচ্ছে আনন্দ বা খুশি। আর অপরদিকে মিলাদুন্নবী অর্থ হচ্ছে নবীজির দুনিয়াতে আগমনে করার ঘটনা। সুতরাং আমরা ঈদে মিলাদুন্নবী এই সম্পূর্ণ কথাটি যদি অর্থ তৈরি করার চেষ্টা করি তাহলে অর্থ হচ্ছে যে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দুনিয়াতে আগমন অর্থাৎ নবীজির জন্ম দিবস উদযাপনের দিন। 

আমরা সকলেই অবগত যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১২ই রবিউল আউয়াল মাসে কুরাইশ বংশের জন্মগ্রহণ করেন।

আর তার এই জন্মদিনটিকে বিশ্ববাসী এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুসারীরা ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে আসছে সেই অনেক আগ থেকেই। যদিও এখানে একটি পয়েন্ট নোট করে রাখা দরকার যে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করার জন্য হাদীসে তাগিদ দিয়ে কোন কথা বলা হয়নি বা কোন হাদিসে এমন কোন বার্তা পাওয়া যায়নি। তবে মুহাদ্দিসগণ হাদীসের কিছু গুরুত্ব উপলব্ধি করেছেন 1১২ই রবিউল আউয়াল বা ঈদে মিলাদুন্নবীর জন্য। 

আর এই দিনটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুনিয়াতে আগমনের দিন হিসেবে সাক্ষী বহন করে রেখেছে। তাই আমার মতে এই দিনটিকে এত বাড়াবাড়ি না করে হাদিসের আলোকে এবং শরীয়ত অনুযায়ী সম্মান ও সম্মত উপায়ে পালন করায় শ্রেয়।

একটি হাদিসে ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন যে, "এই দিনেই আমি জন্মেছি, এই দিনে আমি প্রেরিত হয়েছি এবং এই দিনেই আমার ওপর পবিত্র কুরআন নাযিল করা হয়" (সহীহ মুসলিম)। 

আর আমরা সবাই জানি যে আমাদের প্রিয় নবী সাঃ প্রতি সোমবার রোজা রাখতেন এবং তার উম্মতকে প্রতি সোমবার এবং বৃহস্পতিবার রোজা রাখার জন্য আদেশ করেছিলেন। ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ তা আমরা উপরে সেকশনে বলে এসেছি আমরা এইবার ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত এবং হাদিসের কিছু ব্যাখ্যা আলোচনা করার চেষ্টা করব।

ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর সঙ্গে রিলেটেড একটি বিষয় ঈদে মিলাদুন্নবী আর এই সম্পর্কে মহান আল্লাহতালা নবীর সম্মানে কুরআনুল কারীমে অনেক আয়াত নাজিল করেছেন। সুতরাং আপনারা এই কথাটি থেকে বুঝতেই পারছেন যে ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব কতটা বেশি যে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা নিজেই অনেকগুলো আয়াত নাযিল করেছেন নবীজির দুনিয়াতে আগমনের বিষয় সম্পর্কে। 

ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ এই বিষয়টি জানার সঙ্গে আপনাকে এটাও জানতে হবে যে ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে কুরআনের আয়াতগুলো কি এবং হাদিসে ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে কি বলা হয়েছে যাতে করে আপনার মাথায় কনসেপ্টটা ক্লিয়ার হতে পারে। 


নিচে আমরা যেসব কোরআনের আয়াত গুলো বর্ণনা করবো এবং হাদিসগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরবো এই আয়াত এবং হাদিসগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা একদম ক্লিয়ার হয়ে যাবেন যে নবীজির দুনিয়াতে আগমনের ঘটনাটি বা বিষয়টি পুরো পৃথিবীর মানুষের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ এবং আপনারা সেটা গভীরভাবে উপলব্ধিও করতে পারবেন।

০১। আরবিঃ قُلۡ بِفَضۡلِ اللّٰهِ وَ بِرَحۡمَتِهٖ فَبِذٰلِکَ فَلۡیَفۡرَحُوۡا ؕ هُوَ خَیۡرٌ مِّمَّا یَجۡمَعُوۡنَ 

অর্থঃ আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে খুশি পালন করা যা তোমাদের ধন সম্পদ ও সমস্ত দৌলত অপেক্ষা উত্তম। (সূরা ইউনুস- আয়াত নং: ৫৮)

০২। আরবিঃ  وَ مِنۡهُمۡ مَّنۡ یَّقُوۡلُ رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنۡیَا حَسَنَۃً وَّ فِی الۡاٰخِرَۃِ حَسَنَۃً وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِ

অর্থঃ স্মরণ করো সেই আল্লাহর নিয়ামতকে যা তোমাদের ওপর অবতীর্ণ করা হয়েছে। (সূরা বাকারা, আয়াত: ২০১)

০৩। আরবিঃ وَ اِذۡ اَخَذَ اللّٰهُ مِیۡثَاقَ النَّبِیّٖنَ لَمَاۤ اٰتَیۡتُکُمۡ مِّنۡ کِتٰبٍ وَّ حِکۡمَۃٍ ثُمَّ جَآءَکُمۡ رَسُوۡلٌ مُّصَدِّقٌ لِّمَا مَعَکُمۡ لَتُؤۡمِنُنَّ بِهٖ وَ
لَتَنۡصُرُنَّهٗ ؕ قَالَ ءَاَقۡرَرۡتُمۡ وَ اَخَذۡتُمۡ عَلٰی ذٰلِکُمۡ اِصۡرِیۡ ؕ قَالُوۡۤا اَقۡرَرۡنَا ؕ قَالَ فَاشۡهَدُوۡا وَ اَنَا مَعَکُمۡ مِّنَ الشّٰهِدِیۡنَ 

অর্থঃ আর স্মরণ করুন, যখন আল্লাহ নবীদের অঙ্গীকার নিয়েছেন- আমি তোমাদেরকে যে কিতাব ও হিকমাত দিয়েছি, অতঃপর তোমাদের সাথে যা আছে তা সত্যায়নকারীরূপে একজন রাসূল তোমাদের কাছে আসবে- তখন অবশ্যই তোমরা তার প্রতি ঈমান আনবে এবং তাকে সাহায্য করবে। তিনি বললেন, ‘তোমরা কি স্বীকার করেছ এবং এর উপর আমার প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছ’? তারা বলল, ‘আমরা স্বীকার করলাম’। আল্লাহ বললেন, ‘তবে তোমরা সাক্ষী থাক এবং আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম’ (সূরা ইমরান - আয়াত: ৮১-৮২)।

ঈদে মিলাদুন্নবী (স) প্রচলনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ এ বিষয়টি আয়ত্ত করার পর ঈদে মিলাদুন্নবী প্রচলন শুরু হয়েছিল কবে থেকে তার ইতিহাস সম্পর্কে আপনার জানা জরুরী। ঈদে মিলাদুন্নবী, যা মওলিদ আল-নবী নামেও পরিচিত, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম উদযাপন। এই পালনের ইতিহাস ইসলামের প্রথম দিকের এবং কয়েক শতাব্দী ধরে বিকশিত হয়েছে। এখানে ঈদে মিলাদুন্নবীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হলো:

ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ। ইসলামের প্রারম্ভিক দিন

প্রথম দিকের মুসলিম সম্প্রদায় আজ যেভাবে পালিত হয় সেভাবে নবী মুহাম্মদের জন্মদিন উদযাপন করেনি। তাদের প্রাথমিক মনোযোগ ছিল তাদের দৈনন্দিন জীবনে কুরআন ও নবীর শিক্ষা (হাদিস) অনুসরণ করা।

উদযাপনের বিকাশ

নবীর জন্মদিন উদযাপন পরবর্তী শতাব্দীতে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অংশে একটি সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় রীতি হিসেবে বিকশিত হতে শুরু করে। এটি প্রাথমিকভাবে পণ্ডিত এবং সুফি রহস্যবাদীদের সাধারণ সমাবেশের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল যারা কবিতা আবৃত্তি করবে এবং নবী মুহাম্মদের জন্মবার্ষিকীতে তার জীবন ও গুণাবলী সম্পর্কে গল্প বর্ণনা করবে।

ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ। ঐতিহ্যের প্রসার

মিলাদুন্নবী উদযাপন ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং ইসলামী বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন সংস্কৃতি এই উপলক্ষকে চিহ্নিত করার জন্য তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য এবং রীতিনীতিকে অভিযোজিত করেছে, যার ফলস্বরূপ আজ মিলাদুন্নবী পালন করা হয় বিভিন্ন উপায়ে।

পণ্ডিতদের মতামত

মিলাদুন্নবী উদযাপন সম্পর্কে ইসলামিক পণ্ডিতদের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কেউ কেউ এটিকে নবীর প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশের একটি মাধ্যম হিসেবে সমর্থন করেছেন, আবার কেউ কেউ একে ইসলামে একটি উদ্ভাবন (বিদআত) হিসেবে দেখেছেন, কারণ এটি নবীর সময় বা ইসলামের প্রাথমিক বছরগুলিতে প্রচলিত ছিল না।

সমসাময়িক পালন

সমসাময়িক সময়ে সারা বিশ্বে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন বিভিন্নভাবে পালন করা হয়। এতে মসজিদে বিশেষ প্রার্থনা, শোভাযাত্রা, নবীর জীবন সম্পর্কে বক্তৃতা, ইসলামী কবিতা (নাত) আবৃত্তি এবং দাতব্য ও দয়ার কাজ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এই পালনের সাথে সম্পর্কিত নির্দিষ্ট রীতিনীতি এবং ঐতিহ্যগুলি অঞ্চল এবং সংস্কৃতি অনুসারে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।

ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ । তর্ক ও বিতর্ক

মিলাদুন্নবী উদযাপন ইসলামী পন্ডিত ও সম্প্রদায়ের মধ্যে বিতর্কের একটি বিষয় হয়ে আছে। কিছু মুসলমান উত্সাহের সাথে এটিকে নবীর প্রতি তাদের ভালবাসা এবং প্রশংসা প্রকাশ করার উপায় হিসাবে উদযাপন করে, অন্যরা এর ঐতিহাসিক সত্যতা এবং ধর্মীয় উদ্ভাবনের সম্ভাবনা সম্পর্কে উদ্বেগ উল্লেখ করে এটি থেকে বিরত থাকে।

এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে মিলাদুন্নবী উদযাপন সমস্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সমানভাবে অনুশীলন করা হয় না এবং এর পালন সাংস্কৃতিক, আঞ্চলিক এবং ব্যক্তিগত পছন্দের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। কিছু দেশ এবং সম্প্রদায় এটিকে একটি উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসাবে গ্রহণ করে, অন্যরা এটিকে ধর্মীয় ছুটির দিন হিসাবে পালন করে না।

ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন কি সরকারি ছুটি থাকবে ২০২৩

আপনারা উপরের সেকশনে থেকে জেনে নিয়েছেন যে ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ এবং এই বছর কি বার ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার আপনাদের মধ্যে অনেকেরই প্রশ্ন আছে যে ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কি সরকারি ছুটির দিন এবং আমরা এই বছর কয়েকদিন সরকারি ছুটি পাব। মোট ক্যালকুলেশনে বলা যায় তিন দিন সরকারিছুটি পাবেন। 

এবার ভাবছেন কিভাবে দেখুন ২৮ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ তারিখ নির্দিষ্ট হয়েছে আর যেহেতু ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়াও পরের দিন শুক্রবার এবং শনিবার সরকারি ছুটি থাকছে তাহলে মোট তিন দিন সরকারি ছুটি পাচ্ছেন।


আপনাদের মধ্যে অনেকেই অনেক ক্যালকুলেশন করে এবং নিজে থেকে ভেবে নেয় যে হয়তো ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনটিকে বাংলাদেশ সরকার সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করে জিনা এমনটা হয় না। 
চাঁদ দেখার উপর যেদিন ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন ফিক্সড হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ঘোষণার পরেই বাংলাদেশ সরকার সেই দিনটিকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা দেয়। আর হ্যাঁ এ সরকারি ছুটির আর তাই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি ব্যাংক বীমা, অফিস আদালত সকল কিছুই ছুটির জন্য প্রযোজ্য বলে গণ্য হবে।

ঈদে মিলাদুন্নবী কীভাবে পালিত হয় । কত তারিখে অনুষ্ঠিত হবে ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩

আমরা জানলাম যে ঈদে মিলাদুন্নবীর ইতিহাস কি ঈদে মিলাদুন্নবী বলতে কী বোঝায় এবং ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ সে সম্পর্কে। এবারে আসুন জেনে নেওয়া যাক যে ঈদে মিলাদুন্নবী কিভাবে পালিত হয় আর কিভাবে পালন করতে হয়।

ঈদে মিলাদুন্নবী (নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম) উদযাপন, যা মওলিদ আল-নবী নামেও পরিচিত, একটি অঞ্চল এবং সম্প্রদায় থেকে অন্য অঞ্চলে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। এখানে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনের কিছু সাধারণ উপায় রয়েছে:

বিশেষ প্রার্থনাঃ মিলাদুন্নবীর দিনে অনেক মুসলমান মসজিদ বা ইসলামিক কেন্দ্রে বিশেষ জামাতে নামাজে অংশ নেন। এই প্রার্থনাগুলির মধ্যে সাধারণত কুরআনের আয়াতের তেলাওয়াত, নবীর জীবন ও শিক্ষার স্মরণ এবং তাঁর উপর আশীর্বাদ ও শান্তির প্রার্থনা অন্তর্ভুক্ত থাকে।

ইসলামী কবিতার আবৃত্তিঃ মিলাদুন্নবী উদযাপনের সময়, লোকেরা প্রায়শই ইসলামী কবিতা (নাত) আবৃত্তি করে যা নবী মুহাম্মদের জীবন, চরিত্র এবং গুণাবলীর প্রশংসা ও বর্ণনা করে। এই কাব্যিক অভিব্যক্তিগুলো নবীর প্রতি ভালোবাসা ও প্রশংসার অনুভূতি জাগাতে।

বক্তৃতা এবং উপদেশঃ ইসলামিক পণ্ডিত এবং ধর্মীয় নেতারা নবী মুহাম্মদের জীবন, শিক্ষা এবং তাৎপর্য সম্পর্কে বক্তৃতা বা উপদেশ দিতে পারেন। এই বক্তৃতাগুলি তার জীবনের বিভিন্ন দিক কভার করতে পারে, যেমন তার চরিত্র, পরিবার এবং মিশন।


অলঙ্করণঃ কিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে, অনুষ্ঠানটি চিহ্নিত করার জন্য ভবন, বাড়ি এবং রাস্তাগুলি আলো, ব্যানার এবং ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি দিয়ে সজ্জিত করা যেতে পারে। সবুজ প্রায়শই ইসলামের প্রতীক হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং এটি মিলাদুন্নবী উদযাপনের সাথে যুক্ত একটি সাধারণ রঙ।

সম্প্রদায়ের খাবার এবং ভোজঃ কিছু লোক মিলাদুন্নবী উদযাপনের উপায় হিসাবে পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে খাবার ভাগ করে নেওয়ার জন্য বেছে নেয়। এই সমাবেশের সময় অতিথি এবং অভাবীদের খাবার দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে।

মিছিলঃ কিছু অঞ্চলে মিছিল এবং কুচকাওয়াজ সংগঠিত হতে পারে, যাতে অংশগ্রহণকারীরা ব্যানার, ছবি বা চিহ্ন বহন করে যারা নবী মুহাম্মদের সাথে সম্পর্কিত। এই মিছিলগুলিতে প্রায়ই ইসলামী কবিতা আবৃত্তি এবং প্রার্থনা অন্তর্ভুক্ত থাকে।

লেখকের মন্তব্যঃ ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ - ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি কবে 2023

পরিশেষে বলতে চাই ইসলামিক যেসব বিষয়গুলো আমরা পালন করি বা মেনে চলি সে সকল বিষয়গুলো নবীজির দেখানো নিয়ম অনুযায়ী করা উচিত তবেই আমরা তার সঠিক মান উপলব্ধি করতে পারব। কেননা বর্তমান ডিজিটাল এই সময়ে এমন হয়ে গেছে যে অনেক ধরনের ফেস্টিভ্যাল চালু হয়েছে যা কুরআন এবং হাদিসে কোথাও নেই। 

আর নবী যেই কাজটা করেনি সে কাজটা যদি আমরা গুরুত্বসহকারে পালন করি তাহলে আমাদের জন্য অনেক গুনাহের কাজ হবে তাই নবীর দেখানো ও নবীর দেওয়া নির্দেশ মতই আমাদেরকে আমাদের জীবন পরিচালনা করার চেষ্টা করা উচিত।

প্রিয় সম্মানিত পাঠকগন আজকের এই পোস্টটি আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে একটি ব্রিফলি ধারনা পেয়েছেন এবং হাদিস সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। 
এছাড়াও আমরা ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ অনুষ্ঠিত হচ্ছে সে বিষয়টি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি এবং ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ কি বার পড়বে সেটাও আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আর ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ এ কি এবার ছুটি থাকছে সরকারি আর কয়দিন ছুটি পাচ্ছেন এই বিষয়টিও আপনারা জেনে গিয়েছেন। 

এমনই সব নিত্য নতুন ইসলামিক বিষয় রিলেটেড পোস্ট পেতে আমাদের ড্রিম আইটিসিকে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন যাতে যখনই আমরা এরকম ইসলামিক পোস্ট পাবলিশ করব সবার আগে নোটিফিকেশন আপনার কাছে পৌঁছে যায়। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 🥰

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url