সেরা ১৫টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ যা আপনার শেখা উচিৎ

Full Stack Web Development। ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট

আমাদের আজকের লিস্টের প্রথম যে স্কিল টা যেটা ২০৩০ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি চাহিদার শিখরে থাকবে সেটি হচ্ছে ফুল স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো একটা ওয়েবসাইট বা ওয়েব এপ্লিকেশন এর কাজ কমপ্লিট করাই Full Stack Web Development। 

সাধারণত একটা ওয়েবসাইটের দুইটা পার্ট থাকে যথা Front End এবং Back End । মূলত Front End পাটর্টি একটা ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে তা কোডিং করে বানানো হয় আর Back End পার্ট এ ওয়েবসাইটের অপারেশন প্রসেস তৈরি করা হয়। 

আশা করি Full Stack Web Developer এর কাজ কি এইটা আপনি বুঝতে পেরেছেন। এবার আসুন জেনে নিই একজন Full Stack Web Developer ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে কত টাকা আয় করতে পারে।

এখানে আমি তিনটা লেভেলে আপনাকে বুঝিয়ে দিব যে একজন ওয়েব ডেভলপার প্রতি মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারে সে তিনটি উপায় হচ্ছেঃ 

• Beginner Level 
• Intermediate Level 
• Advance Level

1. Beginner Level  মাসে ৪০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আপনি আয় করতে পারবেন 
2. Intermediate Level আপনি মাসে ৮০ হাজার থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন এবং 
3. Advance Level যখন আপনি চলে যাবেন তখন আপনি মাসে ২.৫ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। 

একটি ক্রিটিক্যাল বিষয় এখানে আপনাকে অনেক সময় দিয়ে এই কাজটি শিখতে হবে আপনি যদি Front End বা Back End দুইটা একসাথে শিখে Full Stack Web Developer হতে চান তাহলে আপনার অনেক সময় লাগবে। এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক চিন্তাভাবনা করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় এজন্য আপনার কাজের চাহিদা যেমন তেমনি আপনার বেতন হবে আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এখানে আপনি কোন এজেন্সিতে কাজ না করে পার্সোনালি ফ্রিল্যান্সিং করেও এত টাকা আয় করতে পারবেন।

কিভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট-এ সেরা হবেন

কোন একটি স্কিলে পারদর্শী হওয়ার জন্য আপনাকে একটি রোড ম্যাপ সাজাতে হবে এবং সেই রোডম্যাপ অনুযায়ী যখন আপনি এগোবেন তখন সেই স্কিলটা আপনার আয়ত্ত করা খুব সহজ হবে। নিচে একটি ছবির মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করা হলো যে একজন ফুলস্টপ ওয়েব ডেভলপার হওয়ার জন্য আপনার কোন স্কিলের পরে কোন স্কিলটি শেখা উচিত আশা করি বুঝতে পারবেন। সেরা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

কাজ কোথায় পাবো। এতক্ষণ তো আমরা জানলাম যে ফ্রিল্যান্সিং এর সেরা স্কিল কোনটি এবং সেটা কিভাবে শিখবেন কিন্তু আপনাদের মাথায় অনেকেরই প্রশ্ন আসে যে এ কাজ শেখার পরে আমি কাজ কোথায় পাব বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে যে মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের অনেক কাজ পেয়ে যাবেন তার মধ্যে এখানে কয়েকটি আপনাকে হেল্প করার জন্য তুলে ধরলাম। 

• Fiverr
•  up work 
• theme forest

প্রোফেশনাল টিপস TIPS!!

শুধুমাত্র Front End শিখেও ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। এর জন্য HTML, CSS, JavaScript, PSD to HTML এই বিষয়গুলো জানা অত্যাবশ্যক। Front End এর কাজের জন্য শেখা Coding এর মাধ্যমে অন্যান্য Service দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং করা যায়।

সবচেয়ে বেশি পেমেন্ট পাওয়া যায়, Back End এর কাজে। এজানা PHP (Laravel) এখন বেশ জনপ্রিয়। তবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে Python শেখার জন্য Recommend করি। কারণ, ভবিষ্যতে এর চাহিদা যেমন বেশি হবে, তেমনি কাজও করা যাবে সহজে।

যারা কোডিং এর মারপ্যাঁচে (যাত চান না, তাদের জন্য সমাধান। | WordPress। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে সহজেই কোডিং ছাড়া ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। তবে, এক্ষেত্রে, ওয়েব ডেভেলপারদের চেয়ে ইনকামের পরিমাণ কম হয়। তবে, কোডিং নিয়ে কিছু আন থাকলে, WordPress এর মাধ্যমেও বেশ ভালো আয় করা যায়।

Graphic Design গ্রাফিক ডিজাইন

কোনো একটা আইডিয়া বা চিন্তা কে প্ল্যান অনুযায়ী Visual এবং Textual Content কে এর মাধ্যমে প্রকাশ করাই হলো গ্রাফিক ডিজাইন। গ্রাফিক ডিজাইনের মূল বিষয় হলো- Text, Shapes, Color, Picture ইত্যাদি।

যেমন: যে কোনো কোম্পানির Logo Design, Stationery Design, • Packaging Design, Marketing Material Design ইত্যাদি।

এখানে আমি তিনটা লেভেলে আপনাকে বুঝিয়ে দিব যে একজন গ্রাফিক ডিজাইনর প্রতি মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারে সে তিনটি উপায় হচ্ছেঃ 

• Beginner Level 
• Intermediate Level 
• Advance Level

Beginner Level  মাসে ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত আপনি আয় করতে পারবেন 

Intermediate Level আপনি মাসে ৬০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন এবং 

Advance Level যখন আপনি চলে যাবেন তখন আপনি মাসে ২ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ ব্লগ নাকি ওয়ার্ডপ্রেস, কোনটি ভালো - ব্লগিং এর জন্য কোনটি সেরা

প্রোফেশনাল টিপস TIPS!!

Canva দিয়ে ডিজাইন করলে, গ্রাফিক ডিজাইন শেখা যায় না, শুধুমাত্র টেমপ্লেট কাষ্টমাইজ করা যায়। তাই, গ্রাফিক ডিজাইন শুরু হোক Adobe Photoshop দিয়ে। Inage Retouch, Editing Manipulation, BC Remove শিখে ফ্রিল্যান্সিং করুন।

যদি Photoshop না শিখে, Directly, ডিজাইন সংক্রান্ত কাজ শিখতে চান, তাহলে Adobe Illustrator সেরা একটি সফটওয়্যার। Logo Design T Shirt Design, Stationery Design, Print Design শিখে उলাভাবে ল্যাং করা যায়।

যেখানে Bulk शিসার প্রিন্ট ডিজাইন প্রয়োজন, খান Adobe InDesign এর চাহিদা অনেক বেশি। অ্যালেন্ডার, ম্যাগাজিন, বই ইত্যাদি ডিজাইন করে জল করা Sully Graphic এর পাশাপাশি Motion Graphics চাহিদা বেশ রাতকে। তবে, নিজেকে একধাপ এগিয়ে রাখতে ILX Design এর জন্য বেশ ভালো ডিজাইন থাকা জরুরি।

Video Editing ভিডিও এডিটিং

Video Editing হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে এক বা একাধিক ভিডিও ফুটেজকে কৌশলে পুনর্বিন্যাস করে, নতুন ভিডিও তৈরি করা হয়।

যেমন: যে কোনো ভিডিও অ্যাড, শর্ট ফিল্ম, সিনেমা ইত্যাদি। এমনকি ভিডিও ফুটেজ ছাড়া যে কোনো Text / Object নিয়ে এডিট করে ভিডিও তৈরির কাজও ভিডিও এডিটিং এর অন্তর্ভুক্ত।

এখানে আমি তিনটা লেভেলে আপনাকে বুঝিয়ে দিব যে একজন ভিডিও এডিটিং করে প্রতি মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারে সে তিনটি উপায় হচ্ছেঃ 

• Beginner Level 
• Intermediate Level 
• Advance Level

1. Beginner Level  মাসে ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত আপনি আয় করতে পারবেন 
2. Intermediate Level আপনি মাসে ৬০ হাজার থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন এবং 
3. Advance Level যখন আপনি চলে যাবেন তখন আপনি মাসে ১.৫ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। 

প্রোফেশনাল টিপস TIPS!!

কম্পিউটারে Filmora অথবা Camtasia শিখে এডিটিং শুরু করুন। মোবাইলে Kine Master অথবা InShot শিখে ভিডিও এডিটিং শুরু করুন।

যদি শুরু থেকেই প্রফেশনালভাবে কাজ করতে চান, তাহলে ( Adobe Premiere Pro শিখুন। এক্ষেত্রে, কিছু Advanced বিষয় শিখে নিলে ভালো। যেমন: কালার কারেকশন, বিভিন্ন Transition তৈরি, Sound Editing & Mixing, Green Screen, Masking, & Nesting ইত্যাদি

Premiere Pro এর সাথে Adobe After Effects-এ Animation করতে জানলে, একদম ১০০ তে ১০০। অনেকক্ষেত্রে, শুধুমাত্র After Effects এর মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং ছাড়া Logo Animation এবং Text Animation করে ফিল্যান্সিং করা যায়।

Digital Marketing ডিজিটাল মার্কেটিং 

যে কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিসকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মার্কেটিং করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। "যেমন: SEO, SEM, SMM, PPC, Email Marketing, etc."

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো- একটা প্রোডাক্ট/সার্ভিসের বিজ্ঞাপন আপনি কাকে দেখাতে চান তা নির্ধারণ করতে পারেন। এমনকি, কে কে ঐ বিজ্ঞাপন দেখে কী Reaction করছে, তা ট্র্যাক করা যায়।

আরো পড়ুনঃ বিকাশে বেটিং সাইট নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। ৫টি সেরা অনলাইন বেটিং সাইট

এখানে আমি তিনটা লেভেলে আপনাকে বুঝিয়ে দিব যে একজন ডিজিটাল মার্কেটিং করে প্রতি মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারে সে তিনটি উপায় হচ্ছেঃ 

• Beginner Level 
• Intermediate Level 
• Advance Level

1. Beginner Level  মাসে ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আপনি আয় করতে পারবেন 
2. Intermediate Level আপনি মাসে ৫০ হাজার থেকে ০১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন এবং 
3. Advance Level যখন আপনি চলে যাবেন তখন আপনি মাসে ০১ লক্ষ থেকে ০৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। 

প্রোফেশনাল টিপস TIPS!!

প্রথমে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) শিখুন। Keyword research, On page SEO, Off page SEO, Indexing, Analytics, Google Adwords শিখুন।

যদি SEO না শিখে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, তাহলে Social Media Marketing F Facebook Marketing. Google Ads, Instagram Marketing ইত্যাদি।

যদি SEO/SMM না শিখে, আরও সহজ কিছু শিখে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, তাহলে, Email Marketing. YouTube Marketing শিখুন। তবে, সবক্ষেত্রে SEO জানা থাকলে, আপনি একধাপ এগিয়ে থাকবেন।

Data Entry ফ্রিলান্স ডাটা এন্ট্রি

ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবচেয়ে সহজ কাজগুলোর মধ্যে ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে একটি। নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চায় তারা সর্বপ্রথম কোন কাজটি সহজ সেটি নিয়ে অনুসন্ধান চালায় এবং ডাটা এন্ট্রি তাদের পছন্দের তালিকায় শিখরে থাকে। কেননা ডাটা এন্ট্রি খুব সহজে করে ইনকাম করা যায়। 

কিন্তু ডাটা এন্ট্রি কাজ সহজ হলেও এই কাজটি করার জন্য আপনার বেশ কিছু দক্ষতা থাকার প্রয়োজন পড়বে যেমন বিভিন্ন টুলস ব্যবহারের দক্ষতা থাকতে হবে টাইপিং এ স্পিড থাকতে হবে এবং কম্পিউটার ভালোভাবে চালানো জানতে হবে এই কয়েকটি স্কিল আপনার যদি থাকে তাহলে আপনি ডাটা এন্ট্রি করে ভাল ইনকাম করতে পারবেন। 

মাথায় রাখা উচিত যে যেহেতু ডাটা এন্ট্রি কাজটি অনেক সহজ এর জন্য মার্কেটপ্লেসে এই কাজের কম্পিটিশন অনেক বেশি এজন্য অনেক সময় মার্কেটপ্লেসে ডাটা এন্টির কাজ পেতে আপনাকে অনেক কম্পিটিশনের শিকার হতে হয়। 

কিন্তু আপনি যদি ধৈর্য ধরে এই কাজটির সাথে লেগে থাকেন তাহলে একসময় অবশ্যই সফলতা আসবে। আপনি চাইলে ইউটিউব দেখে ডাটা এন্ট্রি বেসিক কাজগুলো শিখে ফেলতে পারেন কিন্তু আপনি যদি একজন প্রো লেভেলে ডাটা এন্টার হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে চান তাহলে কোন ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে ডাটা এন্ট্রি কোর্স করে নেওয়া উত্তম।

Virtual Assistant-ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এর মধ্যে আর একটি জনপ্রিয় এবং সেরা ফ্রিল্যান্সিং কাজ হচ্ছে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। Virtual Assistant রা মূলত ঘরে বসে তাদের ফ্রিল্যান্সিং পরিষেবা গুলোকে প্রদান করে থাকে। বিশ্বের অনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যাদের ইমেইল ম্যানেজমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, কল রিসিভ এবং কাস্টমার সার্ভিস, বুকিং সহ আরো বিভিন্ন ধরনের সার্ভিসের জন্য লোকবল প্রয়োজন হয় তারা এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না বিধায় অনেক ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হায়ার করে এবং তাদেরকে কাজ দেয়। 

আপনিও চাইলে নিজেকে এসব কাজে দক্ষ করে তুলে কোন একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন এবং আপনি একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে প্রতি ঘন্টায় ১৫ থেকে ২৫ ডলার পর্যন্ত চার্জ করতে পারেন তাহলে বুঝতেই পারছেন যে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহের মধ্যে এই কাজটির চাহিদা কত বেশি এবং ডিমান্ডেবল একটি কাজ আপনি চাইলে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে আপনার ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে পারেন

Canva Design YouTube Thumbnail

বর্তমানে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ইউটিউব থাম্বনেইল ডিজাইন করে ফ্রিল্যান্সিং করা। জি হ্যাঁ ঠিক শুনেছেন আপনি এখন ঘরে বসে ইউটিউব থাম্বনেইল ডিজাইন করেও ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন। ইউটিউব মার্কেটিং এর সবচেয়ে এফেক্টটেবল একটি জিনিস হচ্ছে YouTube এর থাম্বনেইল। 

আরো পড়ুনঃ বিনামুল্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর সেরা  সফটওয়্যার বা অ্যাপ 

কেননা আপনার ইউটিউব ভিডিওর থাম্বনেইল যদি আই টাচিং না হয় এবং ক্লিকেবল না হয় তাহলে আপনি ইউটিউবে ভিউজ পাবেন না এবং সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন না। আপনি যদি ফাইবার মার্কেটপ্লেসে গিয়ে সার্চ করেন YouTube থাম্বনেইল ডিজাইন লিখে তাহলে দেখবেন অনেক কাজ রয়েছে যারা মার্কেটপ্লেসে এই সার্ভিসগুলো প্রদান করছে এবং অনেক ক্লাইন্ট রয়েছে যারা এই কাজগুলো নিচ্ছে আপনি চাইলে ইউটিউব থাম্বনেইল ডিজাইনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। 

ইউটিউব থাম্বনেইল ডিজাইন করার জন্য সবচেয়ে সহজ সফটওয়্যারটি হচ্ছে ক্যানভা এছাড়াও ফটোশপ ইলাস্টেটরের মতো আরও এডিটিং টুলস রয়েছে আপনার যেটি সুবিধা হয় সেটি দিয়ে আপনি ইউটিউব থাম্বনেইল ডিজাইন করা শিখে কাজ করতে পারেন।

টি- শার্ট ডিজাইন

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এর মধ্যে জনপ্রিয় একটি কাজ হচ্ছে টি-শার্ট ডিজাইন। জি হ্যাঁ এখন আপনি ঘরে বসে টি-শার্ট ডিজাইন করার মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারবেন আর এই টি-শার্ট ডিজাইন এর কাজটি মেয়েদের কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দের কাজ কারণ মেয়েরা সবসময় বেশিরভাগ সময় বাষাতেই বসে থাকে এবং ডিজাইনের কাজগুলো করতে তারা বেশি ভালোবাসে। 

তাই আপনি যদি একজন প্রফেশনাল মানের টি-শার্ট ডিজাইনার হন তাহলে আপনার টি-শার্টের ডিজাইনগুলো বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন যেমন অ্যামাজন, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার ডটকম এসব বড় বড় মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার কাজগুলোর চাহিদা অনেক রয়েছে। এছাড়াও এখন ওয়ার্ল্ডের অনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যারা টি শার্ট ডিজাইনার হায়ার করে থাকে তাদের কোম্পানি টি শার্টগুলো ডিজাইন করার জন্য এসব কোম্পানির জন্য টি-শার্ট ডিজাইন করেও আপনি ঘরে বসে প্রতি মাসে একটি হ্যান্ডসাম পরিমাণ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

Content Writing -  কন্টেন্ট রাইটিং

বর্তমান সময়ে যারা লেখালেখি করতে পছন্দ করেন তাদের কাছে সবচেয়ে পছন্দের ফ্রিল্যান্সিং কাজ হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং। বর্তমান সময়ে কন্টেন্ট রাইটিং এর চাহিদা এত ব্যাপক যে আমি আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে কন্টেন্ট রাইটিং এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে আপনি ওয়েবসাইটে লেখালেখি বলেন, আপনি ব্লগ লিখালিখি বলেন, আপনি ইউটিউব এর স্ক্রিপ্ট লিখালিখি বলেন, আপনি প্রোডাক্টের রিভিউ লেখা লিখে বলেন, সব জায়গাতেই কন্টেন্টের প্রয়োজন। 

কনটেন্ট ছাড়া মানুষজন কোন প্রোডাক্ট তো কিনবেই না আবার ইউটিউবে যে আমরা ভিডিওগুলো দেখি সেগুলো কিন্তু একটি স্ক্রিপ্ট লেখার মাধ্যমেই হয় আর এই স্ক্রিপ্টগুলো কিন্তু এক ধরনের কনটেন্ট। আপনি কি ধারণা করেছেন এ বিষয়গুলো পড়ার পর যে কনটেন্ট রাইটিং এর কতগুলো সেক্টর রয়েছে আপনি যদি একজন ভাল কন্টেন্ট রাইটার হতে পারেন তাহলে আপনি মার্কেটপ্লেসে তো আপনার সার্ভিস প্রদান করতেই পারবেন আপনি নিজেও নিজের একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে ব্লগ লিখে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ ফ্রি লটারী খেলে দৈনিক আয় ১০০০ টাকা ইনকামের ৪ উপাই 

আপনি যদি আমাকে বলেন যে আমার রিকমেন্ডেড ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজগুলো শেখা উচিত আমি বলব সবচেয়ে কম সময়ে এবং প্রফিটেবল একটি ফ্রিল্যান্সিং কাজ হতে পারে এই কনটেন্ট রাইটিং আমি ব্যক্তিগতভাবে এই কাজটি করে থাকি।

Search Engine Optimization (SEO)। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) হলো সার্চ ইঞ্জিন ফলাফল পৃষ্ঠাগুলিকে এর কিওয়ার্ডের বেসিতে গুগলের রেংক করা এবং ভালো একটি ট্রাফিক জেনারেট করার প্রক্রিয়া। একজন এসইও এক্সপার্ট হিসেবে আপনার প্রধান দায়িত্বই হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট টাকে গুগলের প্রথম অবস্থানে নিয়ে আসা এবং সেখান থেকে ভালো পরিমাণ অর্গানিক ভিজিটর জেনারেট করা বা আপনার যদি একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এর জন্য কাজ করেন তাহলে সেই প্রোডাক্টগুলোকে বিক্রি করার জন্য সেই প্রোডাক্টগুলোকে সবার উপরে রাখা। 

এই বর্তমান সময়ে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO অনেক কাজ আপনি মার্কেটপ্লেস এ পেয়ে যাবেন আপনি যদি ফাইবারে শুধু SEO  লিখে সার্চ করেন তাহলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন যে এসিওর কত কাজ রয়েছে ফাইবার মার্কেটে।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এর সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে যেগুলো আপনাকে শিখতে হবে তাহলে আপনি নিজেকে একজন SEO Expert  হিসেবে দাবি করতে পারবেন:

• On-page SEO
• Off-page SEO
• Technical SEO
• Local SEO
• Keyword Reaches
• Google Analytics

WordPress Development

সেরা ও জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহের মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে অন্যতম। ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট মূলত ওয়েব ডেভেলপমেন্টের একটি অংশ যারা বেশি প্রোগ্রামিং করতে পারেন না বা প্রোগ্রামিং এ অটো নলেজ রাখতে চান না তারা ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমেও নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ডেভেলপ করতে পারেন। বর্তমান বিশ্বের যতগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৮০% এর বেশি ওয়েবসাইট এই ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস দিয়ে তৈরি করা। 

তাহলে বুঝতেই পারছেন যে মার্কেটপ্লেস এ ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপারদের কতটুকু চাহিদা রয়েছে। এক্ষেত্রে একটি লক্ষণের বিষয় যে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপারদের বেতন কিন্তু ওয়েব ডেভেলপারদের মত হয় না কারণ ওয়েব ডেভেলপার হচ্ছে একটি মূল প্রক্রিয়ার ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে তার একটি অংশ তাহলে বুঝতেই পারছেন অভ্যেসলি ওয়েব ডেভেলপারদের বেতন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারদের চেয়ে বেশি হবে। 

বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল থেকে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্টের বেসিক কিছু নলেজ গেইন করতে পারেন তবে আপনি যদি একজন প্রফেশনাল মানের ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভালো কোন আইডি প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট এর একটি পেইড কোর্স করতে হবে।

Photography - ফটোগ্রাফি

ছবি তুলতে আমরা কেউই বা না পছন্দ করি তাই না কিন্তু আপনারা কি জানেন এই ছবি বিক্রি করেও এখন অনেক মানুষ লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে ফ্রিল্যান্সিং করে। জি ঠিকই শুনেছেন জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে ফটোগ্রাফি হচ্ছে এখন অন্যতম। 

এখন অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আপনি যদি একটু সুন্দর professional মানের ছবি তুলতে পারেন এবং সেই মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিক্রি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেখান থেকে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

কিছুদিন আগে একটি নিউজ আমরা শুনতে পেয়েছিলাম যে একটি ছবি বিক্রি হয়েছে ৭০ হাজার ডলারে কল্পনা করতে পারেন কত টাকা আপনিও চাইলে আপনার হাতের স্মার্টফোন ব্যবহার করে সুন্দর প্রকৃতির ছবি তুলে বা কার্টুনের ছবি তুলে বা যে কোন ছবি তুলে ওয়ার্ল্ড এর বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন এবং ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ এসইও কি? সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি। SEO কেন কিভাবে করবেন

Music & Audio

বিভিন্ন ধরনের মিউজিক তৈরি করে এখন কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এবং অডিও এনিমেশন তৈরি করে ফিন্যান্সিং করা যায় আপনি ফাইবার মার্কেটপ্লেস ঢুকলেই দেখতে পাবেন এরকম অসংখ্য কাজ মার্কেটপ্লেস এভেলেবেল রয়েছে আপনি এসব কাজের মধ্যে আপনার কাছে যেটা সহজ মনে হয় সেটা শেখার মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহের কোন কমতি নেই বর্তমান সময়ে। নিচের ছবিটি লক্ষ্য করলে আপনি বুঝতে পারবেন যে মিউজিক এবং অডিও ইন্ডাস্ট্রি তে কি প্রকারের কাজ রয়েছে।

Ai Services

বর্তমান বিশ্ব এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট দ্বারা পরিচালিত হতে চলেছে Chatgtp বা google বার্ড এর মতো Ai সিস্টেম চালু হওয়ার পর থেকে Ai সার্ভিসের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। বর্তমান বিশ্বের সাথে খাপ খাইয়া আপনি যদি নিজেকে একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দেখতে চান তাহলে অবশ্যই Ai সফটওয়্যার সার্ভিস বিষয়ে আপনার জ্ঞান থাকা উচিত

 এবং এসব বিষয় যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং করেন তাহলে আজ থেকে দশ বছর পর আপনি একটি ভাল পজিশনে থাকবেন বলে আশা করা যায়। ফাইবার মার্কেটপ্লেস আপনি যদি যান এবং Ai সার্ভিস এ ক্লিক করেন তাহলে নিচের ছবিতে দেখানো অনেকগুলো সার্ভিসে অ্যাভেলেবেল পাবেন যেগুলোতে আপনি কাজ করতে পারেন।

Jobboy.com

যারা ফ্রিল্যান্সিং এ একদমই নতুন এবং ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ সম্পর্কে কিছুই জানেন না তারা এই Jobboy.com ওয়েবসাইটে যেতে পারেন এবং এখানে কাজ করতে পারেন।

এই ওয়েবসাইটে আপনারা অনেক ছোট ছোট কাজগুলো করতে পারবেন এগুলোকে মাইক্রো ওয়ার্ক কাজ বলা হয়ে থাকে এখানে আপনারা প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ ঘন্টা কাজ করে অনায়াসে ৭ থেকে ৮ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে লুডু গেম খেলে টাকা ইনকাম। ইনস্ট্যান্ট পেমেন্ট বিকাশে (A-Z)

এসব ওয়েবসাইটে মূলত আপনাকে সাইন আপ করতে হয় তারপর হচ্ছে অ্যাপস ডাউনলোড করতে বলে কোন ভিডিওতে লাইক করতে বলে কমেন্ট করতে বলে এ ধরনের কাজগুলো বেশি হয়ে থাকে আশা করি আপনি এ ধরনের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে সাইন আপ করার মাধ্যমে কাজগুলো করতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং করতে কী কী প্রয়োজন?

এতক্ষণ আমরা উপরে জানলাম যে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ কোনগুলো এবার আসি আমরা যে ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি প্রয়োজন হয় আপনারা যে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন এই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পূর্বে আপনার কি কি প্রয়োজন পড়বে তা নিয়ে নিচে সংক্ষিপ্ত আকারে কিছু টিপস এবং ট্রিকস আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।

Relevant Skills - প্রাসঙ্গিক দক্ষতা

ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে, প্রথমেই প্রয়োজন- যে কোনো একটা IT Skill বা কম্পিউটার সংক্রান্ত দক্ষতা। ঐ স্কিল এর উপর ভিত্তি করেই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে হবে।

আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রাসঙ্গিক স্কিল না থাকে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একটা স্কিল বা কাজ শিখতে হবে। সেই স্কিল বা কাজের সার্ভিস দিয়েই আসনি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইলে কোন ধরনের আইটি স্কিল থাকা অত্যাবশ্যক?

বেসিক কম্পিউটার অপারেট করার দক্ষতা থাকা। যেমন: ইন্টারনেট ব্রাউজিং, Microsoft Office সম্পর্কে ধারণা থাকা, Email অপারেট করতে পারা, Google এ সার্চ করে কোনো কিছু জানা ইত্যাদি।

যে বিষয় নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, সেই বিষয়ের দক্ষতা থাকা। যেমন: কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে চাইলে, অবশ্যই Microsoft Word অথবা Google Doc এ কীভাবে কিছু লিখতে হয় এবং তা ফরম্যাট করতে হয় তা জানতে হবে। একইভাবে, গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করতে চাইলে, অবশ্যই Photoshop কিংবা Illustrator এর টুলসগুলো জানতে হবে।

Computer (as per work) (কাজ অনুযায়ী) কম্পিউটার

কেমন ধরনের কম্পিউটার থাকতে হবে?

এটা নির্ভর করে, আপনি কোন ধরনের কাজ করতে চান। যেমন:

১. সহজ স্কিল যেমন: বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ SED. Facebook Marketing ইত্যাদি, কন্টেন্ট রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি, ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট, এরকম কাজের জন্য সাধারণ মানের কম্পিউটার হলেও চলবে। খুব ভালো কনফিগারেশনের কম্পিউটার প্রয়োজন নেই।

২. গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি সংক্রান্ত কাজ করলে,

তুলনামূলকভাবে একটু ভালো কনফিগারেশনের কম্পিউটার প্রয়োজন। কারণ, এই কাজগুলোর জন্য যে সফটওয়্যার ব্যাবহার করা হয়, তা অপারেট করতে একটু বেশি শক্তিশালী হার্ডওয়ার প্রয়োজন হয় (কাজ অনুযায়ী) কম্পিউটার

ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ কম্পিউটার কিনবো?

১. যদি আপনার কাজের জায়গা নির্ধারিত থাকে, কম্পিউটার নিয়ে নড়াচড়া করা না লাগে, তাহলে ডেস্কটপ কেনা ভালো। কেননা, একই দামের ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ এর মধ্যে তুলনা করলে, একটু হাই কনফিগারেশনের ডেটেপ পাওয়া যায়।

২. যদি এমন হয় যে, আপনার কাজের জায়গা নির্ধারিত নয়, কিংবা, আপনার যেখানে ইচ্ছা, সেখানে বসে বা কম্পিউটার নিয়ে গিয়ে কাজ করতে হবে, সেক্ষেত্রে ল্যাপটপ কম্পিউটারই আপনার জন্য পারফেক্ট।

৩ বেসিক কাজ এর জন্য ৩০-৫০ হাজার টাকার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ দিয়ে কাজ চালানো যাবে। অব, গ্রাফিক ডিজাইন বা ভিডিও এডিটিং এর মত কাজের জন্য ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার কম্পিউটার কিনলে অগুলি কাজ করা যাবে।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়

Payment Taking System - টাকা গ্রহণের সিস্টেম

১. কাজ যথাযথভাবে কমপ্লিট করার পর, ক্লায়েন্ট (বায়ার) পেমেন্ট করার। যে মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে পেমেন্ট, আপনার ক্লায়েন্ট পেমেন্ট করবেন, সে মার্কেটপ্লেস একটা কমিশন চার্জ কেটে নিয়ে বাকি টাকা (ডলার) আপনার সেলার/ফ্রিল্যান্সার একাউন্টে জমা করবে।

২. ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস থেকে আপনার হাতে টাকা আনার জন্য আপনার যা থাকা প্রয়োজন, তা হলো-

• - বাংলাদেশি যে কোনো ব্যাংকে একটি একাউন্ট, যাদের ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট নেওয়ার যোগ্যতা আছে। যেমন: City Bank, EBL DBBL ইত্যাদি
• - ক্ষেত্রবিশেষে ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট সার্ভিস প্রদান করে এমন কোনো কোম্পানির কার্ডরা একাউন্ট। যেমন: Payoneer, Wise Transfer ইত্যাদি

মার্কেটপ্লেস থেকে আমার ব্যাংকে টাকা আনবো কীভাবে?

১. মার্কেটপ্লেসে আপনার সেলার/ফ্রিল্যান্স ওয়ার্কার হিসেবে যত ডলার জমা হয়ে আছে, তা Withdraw করতে হবে। Withdraw করার সময় ডিরেক্ট ব্যাংক একাউন্টে ডলার পাঠাতে পারবেন। এক্ষেত্রে ১-১০ কর্ম দিবস সময় লাগতে পারে।

২. যদি কোন কার্ড যেমন: Payoneer এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে চান, তাহলে, Payoneer একাউন্ট এ ডলার ট্রান্সফার/উইথড্র করা যাবে। পরবর্তীতে, তা টাকায় কনভার্ট করে ATM বুথ থেকে উত্তোলন করা যাবে।

উল্লেখ্য, যেহেত ডলারের দাম উঠা নামা করে, তাই ডলার উইথড্র এর সময় এর প্রাইস হিসেব করে উইথড্র করতে হবে।

নিজেই যেভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন

নিজে নিজে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী মাধ্যম হচ্ছে এখন ইউটিউব আপনি ইউটিউবে অনেক মেন্টরদের ভিডিও দেখতে পাবেন যেগুলো তারা ফ্রিতে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছে তাদের দক্ষতা গুলো তাদের কাজ করার অভিজ্ঞতা তাদের মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে গিয়ে যে সমস্যা তারা সম্মুখীন হয় সে সকল কিছু তারা সুন্দরভাবে ইউটিউবে ভিডিও আকারে দিয়ে রেখেছেন।

আপনি চাইলে সেগুলো ফ্রিতে দেখে বুঝে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন অথবা আপনার আশেপাশে কোন বড় ভাই যদি ফ্রিল্যান্সিং করে তাহলে আপনি তার কাছে গিয়েও ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন তাকে বলতে পারেন যে আমি ফ্রিল্যান্সিং শিখবো এবং সে যে কাজগুলো করছে সেগুলো আপনার মনোযোগ সহকারে দেখতে পারেন এবং  শিখতে পারেন। 

বর্তমান সময় ২০২৩ সালে এসেও যদি আপনি বলেন যে আমি কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনি অনেক পিছিয়ে রয়েছেন Ai ভিত্তিক এই যুগে এসে আপনার কাছে এত রিসার্চ রয়েছে হাতের কাছে যে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না আপনাকে এক টাকাও খরচ করতে হবে না ফিন্যান্সিং শেখার পেছনে আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে নিজে নিজেই ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন।

২০৩০ সাল পর্যন্ত সেরা ৪টি ফ্রিল্যান্সিং স্কিল

আমাদের এই আর্টিকেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেই কনসেপ্ট ছিল সেটি হচ্ছে আপনাদেরকে এটা জানানো যে ২০৩০ সাল পর্যন্ত কোন চারটি ফিন্যান্সিং স্কিল সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হবে এবং যে স্কিল গুলোর চাহিদা ২০৩০ সাল পর্যন্ত থাকবে। 

সেরা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহের মধ্যে এখন আমি যেই চারটি স্কিল আপনার সঙ্গে শেয়ার করব এই চারটি স্কিলের প্রায়োরিটি ২০৩০ সাল পর্যন্ত শেষ হবেনা এমনকি ২০৩০ সালের পরেও এই কাজগুলোর মান এবং গুণ একই রকম থাকবে নিচে সে চারটি কাজ তুলে ধরা হলঃ 

1. Full Stack Web Development
2. Graphic Design
3. Video Editing
4. Digital Marketing

নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কিছু টিপস

• যেকোনো ধরনের ফিন্যান্সিং কাজ করার পূর্বে আপনি সেই কাজের ডেসক্রিপশনটা খুব ভালোভাবে পড়ে নেবেন এবং ক্লায়েন্টকে বোঝাতে হবে যে আপনি সে কাজটা কিভাবে করবেন এবং কতদিনের মধ্যে করবেন।
• আমাদের দেশের সচরাচর আমরা সম্মানীয় ব্যক্তিগণকে স্যার বা ম্যাডাম বলে সম্মান দিয়ে থাকি। আপনি চাইলে যখন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস এ কাজ করবেন আপনার ক্লায়েন্টদেরকে আপনি মিস্টার বা মিসেস বলেও সম্মান করতে পারেন
• কাজের কথা ছাড়াও ক্লায়েন্টের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করবেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্লায়েন্টের সঙ্গে থাকবেন যাতে পরবর্তী কোন কাজ পড়ার সময় ক্লাইন্ট আপনাকে তাড়াতাড়ি খুজে পাই এবং আপনাকে অন্য কাজের জন্য রেকমেন্ড করতে পারে।
• বর্তমান সময়ে ভিডিও কন্টেন্টের চাহিদা অনেক বেশি তাই আপনি চাইলে আপনার প্রোফাইলে একটি ইন্ট্রোডাকশন ভিডিও দিয়ে রাখতে পারেন যাতে করে আপনার ক্লায়েন্ট যখনই এটা দেখবে তখন মনে করে যেন আপনি একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার এবং আপনাকে কাজ দিয়ে সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ অনুরোধ করতে পারে।
• একটা প্রজেক্ট শেষ হওয়ার পর আপনি সেই ক্লায়েন্টকে মাঝে মাঝে মেসেজ করে তার খোঁজখবর নিতে পারেন এক্ষেত্রে আপনার তার সাথে একটু বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সম্পর্ক সৃষ্টি হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম

শেষ কথাঃ সেরা ১৫টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ যা আপনার শেখা উচিৎ

আশা করি আজকের এই পুরো আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন যে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কোন গুলো এবং আগামী দশ বছর পর্যন্ত কোন কাজগুলো চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে কোন কাজগুলো ইনকাম কেমন কাজগুলো কিভাবে শিখবেন সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত। এমনই নিত্য নতুন সব খবরা-খবর পাওয়ার জন্য পাশে থাকা বেল বাটনটি প্রেস করে ড্রিম আইটিসিকে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। ধন্যবাদ🥰