পাবনা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি - পাবনা কিসের জন্য বিখ্যাত
আলোচনার বিষয়ঃ পাবনা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি - পাবনা কিসের জন্য বিখ্যাত
পোস্ট সূচিপত্রঃ পাবনা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি - পাবনা কিসের জন্য বিখ্যাত
ভূমিকা| পাবনা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি - পাবনা কিসের জন্য বিখ্যাত
পাবনা জেলার বিখ্যাত স্থান
১। পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। বর্তমান সময়ে পাবনা জেলার বিখ্যাত স্থান গুলোর মধ্যে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অন্যতম। দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকরা এসে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভ্রমণ করে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে পাবনার বিখ্যাত স্থানগুলি বলতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম সবার আগে মনে পড়ে।
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
২। পাবনা সরকারি মানসিক হাসপাতাল। আবার সেই অনেক আগে থেকেই পাবনা সরকারি মানসিক হাসপাতাল খুবই বিখ্যাত একটি স্থান। বর্তমান সময়েও পাবনার নাম করলে পাবনা সরকারি মানসিক হাসপাতালের কথা মনে পড়ে যায়। পাবনা সরকারি মানসিক হাসপাতালের সাধারণত মানসিক রুগিদেরকে টিটমেন্ট করা হয়। পাবনার মানসিক হাসপাতাল খুবই বিখ্যাত এবং পুরাতন একটি স্থান।
মানসিক হাসপাতাল পাবনা |
৩। পাবনা জেলায় রয়েছে পাকসি হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। পাবনা জেলায় রয়েছে পাকসি হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। যা খুব পুরনো এবং অনেক স্মৃতি ধরে রেখেছে। সেই সুপ্রাচীনকাল থেকেই পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ রয়েছে।৪। পাবনা জেলার বিখ্যাত স্থান হলো পদ্মা ঘাট (শিলাইদহ ঘাট)। পাবনা জেলার বিখ্যাত স্থানের একটি হলো পদ্মা ঘাট (শিলাইদহ ঘাট)। এটিও পাবনা জেলার বিখ্যাত একটি স্থান। অনেক পর্যটকরা এখানে ভ্রমণ করতে আসেন।৫। পাবনা জেলার ঈশ্বরদী রেল জংশন। পাবনা জেলার বিখ্যাত স্থানগুলোর মধ্যে আর একটি রয়েছে পাবনা ঈশ্বরদী রেল জংশন। পাবনা ঈশ্বরদী রেল জংশন সকলেরই প্রায় সুপরিচিত একটি জংশন। এটিও পাবনার জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত একটি স্থান।
৬। লালন শাহ সেতু। পাবনা যে স্থানগুলোর জন্য বিখ্যাত তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে লালন শাহ সেতু। লালন শাহ বাংলাদেশের একজন মরমী সংগীত সাধক ছিলেন। আর এই বিখ্যাত ব্যক্তির নামে যে সেতুটি রয়েছে। সেটি পাবনা জেলায় অবস্থিত। তাই এই সেতুটি থাকার জন্য পাবনা জেলা বিখ্যাত হয়েছে।
৭। পাবনার ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প। পাবনার অন্যতম তাঁত প্রধান এলাকা দোগাছি, সুজানগর, বেড়া, সাঁথিয়া আট গতিয়া ইত্যাদি এলাকাতে অবস্থিত। আপনি চাইলে ভ্রমণে যেতে পারেন। অবশ্যই ভাল লাগবে।
আরও পড়ুনঃ যশোর কিসের জন্য বিখ্যাত - জেনে নিন
৮। তাঁতীবন্ধ জমিদার বাড়ি, সুজন নগর, পাবনা। তাঁতীবন্ধ জমিদার বাড়ি, সুজন নগর, পাবনায় অবস্থিত। এই বাড়িটি অনেক পুরাতন, আপনি চাইলে ভ্রমণে যেতে পারেন। অবশ্যই ভাল লাগবে।
৯। তাড়াশ জমিদার ভবন, পাবনা সদর। তাড়াশ জমিদার ভবন, পাবনা সদরে অবস্থিত। এই বাড়িটি অনেক পুরাতন, আপনি চাইলে ভ্রমণে যেতে পারেন। অবশ্যই ভাল লাগবে।
১০। চাটেমাহর শাহী মসজিদ, পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার বাজারে কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। চাটেমাহর শাহী মসজিদ, পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার বাজারের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। আপনি চাইলে ভ্রমণে যেতে পারেন এবং নামাজ কায়েম করতে পারে। অবশ্যই ভাল লাগবে। অবশ্যই ভাল লাগবে।
১১। গজনার বিল, সুজানগর উপজেলা, পাবনা। গজনার বিল, সুজানগর উপজেলা, পাবনায় অবস্থিত।আপনি চাইলে ভ্রমণে যেতে পারেন। অবশ্যই ভাল লাগবে।
১২। সেতুপারা জমিদার বাড়ি, পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলাধীন সেতুপড়া ইউনিয়নে অবস্থিত। সেতুপারা জমিদার বাড়ি, পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলাধীন সেতুপড়া ইউনিয়নে অবস্থিত।আপনি চাইলে ভ্রমণে যেতে পারেন। অবশ্যই ভাল লাগবে।
১৩। কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেনের স্মৃতি সংগ্রহশালা। কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেনের স্মৃতি সংগ্রহশালা।আপনি চাইলে ভ্রমণে যেতে পারেন। অবশ্যই ভাল লাগবে।
আরও পড়ুনঃ বাগেরহাট জেলার পূর্ব নাম - বাগেরহাট জেলার থানার নাম
১৪। পাবনা ক্যাডেট কলেজ। পাবনা ক্যাডেট কলেজ বাংলাদেশের পাবনা জেলায় অবস্থিত, একটি বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের প্রাচীন ১০টি ক্যাডেট কলেজের মধ্যে অন্যতম। এই কলেজটি ৭ আগস্ট ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অদ্যাবধি তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা আসছে। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি পাবনা জেলার বিখ্যাত স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন।
পাবনা ক্যাডেট কলেজ |
পাবনা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
১। পাবনা জেলার বিখ্যাত আজিম চৌধুরীর জমিদার বাড়ি। পাবনা জেলার বিখ্যাত আজিম চৌধুরীর জমিদার বাড়ি রয়েছে। যা বেশ পুরাতন এবং অনেক সুন্দর।
২। শাহী মসজিদসহ আরো আরো বড় বড় ইমারত পাবনা জেলায় রয়েছে। শাহী মসজিদসহ আরো বড় বড় ইমারত পাবনা জেলায় রয়েছে। তাই এত সব বিষয়বস্তু থাকার জন্য পাবনা জেলা বিখ্যাত হয়েছে।
৩। চলন বিল। চলন বিল বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি বৃহৎ বিল। এই বিলটি পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নাটোর জেলা নিয়ে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের সর্ব বৃহত্তম বিল। এই বিলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের বিভিন্ন ধরনের মাছ। স্থানীয় জেলেরা এই মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
চলন বিল, পাবনা
৪। পাবনা জেলার অন্যান্য। এছাড়াও পাবনা জেলার তাঁত শিল্প, হুঁশিয়ার শিল্প, দুধজাত পণ্য, ঘি ইত্যাদি এ জেলার ঐতিহ্যকে ধারণ করে রেখেছে।
আরও পড়ুনঃ সাতক্ষীরা জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
৫। পাবনা জেলার অন্যান্য কৃষি সম্পদ। এই জেলাতে ধান, পাট, গম, পেঁয়াজ, সবজি, লিচু, আম ইত্যাদি অর্থনীতিতে বেশ অবদান রয়েছে। যার ফলে পাবনা জেলা আজ বিখ্যাত হয়েছে।
৬। পাবনা জেলার বিখ্যাত খাবার। পাবনা জেলার বিখ্যাত খাবারের মধ্যে রয়েছেঃ
- খাঁটি দুধের তৈরি ঘি।
- লাউ দিয়ে কালাই ডাল।
- কুমড়ার ভরে দিয়ে রুই মাছ।
- বেগুনের টক।
- বিখ্যাত মিষ্টি।
- ঈশ্বরদী শহরের ঐতিহ্যবাহী খাবার লাড্ডু।
ঈশ্বরদী শহরের ঐতিহ্যবাহী খাবার লাড্ডু |
এতক্ষণ আপনাদের সাথে পাবনা কিসের জন্য বিখ্যাত এই বিষয়টি আলোচনা করলাম। এই আর্টিকেলটি পড়ে এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন পাবনা জেলায় কত রকম জিনিস রয়েছে। তাই পাবনা জেলা বিখ্যাত হয়েছে। তাহলে আমি আশা করব এখন নিশ্চয়ই পাবনা কিসের জন্য বিখ্যাত এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
পাবনা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি
১। বিখ্যাত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন এ. কে. খন্দকার। পাবনা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন একে খন্দকার। তিনি ১ জানুয়ারি ১৯৩০ সালে বেড়া উপজেলাজ ভারেংগা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা। বিমান বাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পরে তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি মূলত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন। তার পদবি ছিল এয়ার ভাইস মার্শাল। কাজেই তিনি একজন পাবনা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন।২। পাবনা জেলার আরেকজন বিখ্যাত ব্যক্তি হলেন ডক্টর এ. বি. মির্জা আজিজুল ইসলাম। পাবনা জেলার আরেকজন বিখ্যাত ব্যক্তি হলেন ডক্টর এ. বি. মির্জা আজিজুল ইসলাম। তিনি মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। এরপরে তিনি ২০ বছর এসকাপ ও বিশ্ব ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। তার পরবর্তী সময়ে দেশে ফিরে এসে বড় বড় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। কাজেই তিনিও একজন পাবনার বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন।
৩। বন্ধে আলী মিয়া। পাবনা জেলার আরো বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বন্ধে আলী মিয়া। যিনি একজন কবি ও লেখক ছিলেন। তার ব্যক্তিত্বও ছিল অসাধারণ। এছাড়াও তিনি একজন বাংলাদেশী কবি, ঔপন্যাসিক, শিশু-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর ছিলেন।
৪। প্রমথ চৌধুরী। প্রমথ চৌধুরী ১৮৯০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণীতে এম এ ডিগ্রী লাভ করেন। তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল বীরবল। সবুজপত্র বাংলা সাহিত্যে চলতি ভাষারীতি প্রবর্তনে আগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁরই নেতৃত্বে বাংলা সাহিত্যে নতুন গদ্যধারা সূচিতহয়।
৫। আবু হেনা মুস্তফা কামাল। এছাড়া পাবনা জেলার আরও বিখ্যাত ব্যক্তির মধ্যে আবু হেনা মুস্তফা কামাল। তিনি ১৯৮৯ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
৬। কামাল লোহানী (আবু নাইম মোহা. মোস্তফা কামাল খান লোহানী)। কামাল লোহানী (আবু নাইম মোহা. মোস্তফা কামাল খান লোহানী) ২৬ জুন ১৯৩৪ তারিখে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার খান সনতলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবন তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পরই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবন শেষ করেন। কামাল লোহানী তিনি সাংবাদিক ইউনিয়নে দুদফায় যুগ্ম-সম্পাদক এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন।
৭। সুচিত্রা সেনের নাম অন্যতম। সুচিত্রা সেনকে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই চিনি। তিনি চলচ্চিত্র জগতে সুপার হিট একজন নায়িকা। মূলত এই সুচিত্রা সেনের পৈতৃক নিবাস ও ছিল পাবনায়। কাজেই সুচিত্রা সেন পাবনা জেলার একজন বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন।
৮। মোঃ সাহাবুদ্দিন। জনাব মোঃ সাহাবুদ্দিন ১০ ডিসেম্বর ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের শিবরামপুরস্থ জুবিলি ট্যাঙ্ক পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম শরফুদ্দিন আনসারী, মাতার নাম খায়রুন্নেসা। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ২২তম মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে গত ২৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি পাবনা শহীদ আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১০৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে একমাত্র তিনিই উচ্চতর দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url