সিলেট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি এবং সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কে


আজকের আলোচনার বিষয়ঃ "সিলেট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি এবং সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কে"?


প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা নিশ্চয়ই "সিলেট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি এবং সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কে" এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে "সিলেট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি এবং সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কেএই সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে সিলেট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

সিলেট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি

সিলেট জেলা বাংলাদেশের পূর্ব-উত্তর অঞ্চল অবস্থিত একটি বৃহত্তম জেলা। সিলেট জেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয়, দক্ষিণে মৌলভীবাজার, পূর্বে ভারতের আসাম এবং পশ্চিমে সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা অবস্থিত। 


এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে ''সিলেট জেলার সামান্য পরিচিতি, বিখ্যাত স্থানের নাম, সুন্দর জায়গার নাম, সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির নাম, অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের নাম, সিলেটের পূর্ব নাম'' ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগসহ পড়ুন। তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আসুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেই।

পোস্ট সূচিপত্রঃ সিলেট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি এবং সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কে

ভূমিকা

সিলেটকে বলা হয় দ্বিতীয় লন্ডন, এটা আমরা সবাই জানি। সিলেট জেলা বাংলাদেশের পূর্ব-উত্তর অঞ্চল অবস্থিত একটি বৃহত্তম জেলা। সিলেট জেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয়, দক্ষিণে মৌলভীবাজার, পূর্বে ভারতের আসাম রাজ্য এবং পশ্চিমে সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা অবস্থিত। 

আরো পড়ুনঃ সিলেট কিসের জন্য বিখ্যাত

সিলেট একটি ঐতিহ্যবাহী, পুরাতন এবং অর্থশীল সমৃদ্ধ জেলা। এ জেলাতে পূর্বকাল থেকেই রয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী, সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, রাজনীতিবিদ, অভিনেতা-অভিনেত্রী, গায়ক-গায়িকা, লেখক ও কথা সাহিত্যিক, কূটনীতিবিদ, চিকিৎসক ইত্যাদিসহ লন্ডনিদের বসবাস। রয়েছে অনেক বিখ্যাত ও ভ্রমণ প্রেমিদের জন্য প্রসিদ্ধ স্থান। সেই স্থানগুলো অনেক প্রাকৃতিক পরিবেশ, সুন্দর ও মনোরম। 

আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে ''সিলেট জেলার সামান্য পরিচিতি, বিখ্যাত স্থানের নাম, সুন্দর জায়গার নাম, সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির নাম, অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের নাম, সিলেটের পূর্ব নাম'' ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। আপনারা যদি সেই সুন্দর স্থানগুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই ধৈর্য সহকারে মনোযোগ দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। 

সিলেট জেলার বিখ্যাত স্থান

সিলেট জেলার বিখ্যাত ও ভ্রমণ প্রেমিদের জন্য অনেক প্রসিদ্ধ স্থান রয়েছে। আরও রয়েছে পাহাড়ের অপরূপ সুন্দর দৃশ্য, মনমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ, জাফলং পর্যটন কেন্দ্র, ভোলাগঞ্জের সারিসারি পাথরের স্তূপ ইত্যাদি। যা পর্যটকদের আকর্ষণীয় করার বিখ্যাত এবং বেশ পরিচিত  জায়গা। আসুন জেনে নেই বিখ্যাত ও ভ্রমণ প্রেমিদের জন্য নিন্মবর্ণিত কয়েকটি স্থানের নামঃ

সোয়াম্প ফরেস্ট

বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট। এটি সিলেটের শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত। এই স্থানটি অনেক বিখ্যাত ও ভ্রমণ প্রেমিদের জন্য প্রসিদ্ধ স্থান। যা ভ্রমণে কলেরই প্রাণ জুরাবে এবং ভাল লাগবে। 

সোয়াম্প ফরেস্ট, সিলেট

আরো পড়ুনঃ যশোর কিসের জন্য বিখ্যাত - জেনে নিন

বিছানাকান্দি

সিলেটের রুস্তমপুর ইউনিয়নে গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত বিছানাকান্দি। বিছানাকান্দি হচ্ছে একটি পাথর কুয়ারী। এখান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টন পাথর উত্তোলন করা হয়। বিছানাকান্দি ভ্রমণের জন্য আদর্শ সময় হচ্ছে বর্ষাকাল। এই স্থানটি অনেক প্রাকৃতিক পরিবেশ, সুন্দর ও মনোরম। আপনি চাইলে পরিবারসহ ভ্রমণ করে আসতে পারেন। 


বিছানাকান্দি, সিলেট

জাফলং

"প্রকৃতির কন্যা'' হিসেবে বেশ পরিচিত এই জাফলং। সিলেট জেলার দর্শনীয় স্থানের ভেতরে অন্যতম হচ্ছে এটি। এটি দেখতে প্রায় মাসে লক্ষাধিক পর্যটক আসে। এখানে দেখতে পাবেন প্রাকৃতিক পরিবেশ, বাংলাদেশের শেষ সীমান্ত পিলার, ভারতের রাস্তা, ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীদের ক্যাম্প। এছাড়াও এখানে রয়েছে  ডাউকি নামে ছোট্ট একটি নদী। এই নদী হতে সারাক্ষণ পাথর উত্তোলন করা হয়, তবুও পাথরের কোন কমতি হয়না। উল্লেখ্য যে, এখান থেকে সারাক্ষণ পাথরের জন্ম হয়।

জাফলং, সিলেট

আরো পড়ুনঃ বাগেরহাট জেলার পূর্ব নাম - বাগেরহাট জেলার থানার নাম

ভোলাগঞ্জ

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিলেট জেলায় অবস্থিত ভোলাগঞ্জ। বাংলাদেশের সব থেকে বড় পাথর কোয়ারের অঞ্চল। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পাথর উত্তোলনকে সহজ করতে ভোলাগঞ্জের রোপওয়ে নির্মাণ করা হয়। এই এলাকার সাদা পাথর দেখতে অনেকটা "ব দ্বীপের" মতো। যা অনেক পর্যাটক দেখে অনেক খুশি হন।

ভোলাগঞ্জ, সিলেট

লাক্কাতুরা চা বাগান

সিলেট জেলায় ওসমানী বিমানবন্দরের উত্তর পাশে টিলার উপর লাক্কাতুরা চা বাগান অবস্থিত। "একটি কুরি ও দুইটি পাতার দেশ" হিসেবে পরিচিত এটি। লাক্কাতুর চা বাগান থেকে বছরে প্রায় ৫ লক্ষ কেজি চা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশী রপ্তানি করতে সাহায্য করে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখে। আপনি চাইলে পরিবারসহ ভ্রমণ করে আসতে পারেন। 

লাক্কাতুর চা বাগান, সিলেট

এছাড়াও সিলেট জেলা যে কারণে বিখ্যাত

  • নানা আকৃতির ছোট-বড় পাহাড়।
  • বিখ্যাত তামাবিল। 
  • ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
  • বঙ্গবীর উসমানী শিশু পার্ক।
  • ওসমানী উদ্যান।
  • ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা।
  • লালাখাল।
  • পাহাড়ি ঝরনা।
  • লাল শাপলার বিল।
  • সিলেট রেলওয়ে স্টেশন।
  • আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
  • শাহী ঈদগাহ।
  • আলি আমজাদের ঘড়ি। 
  • শাহী ঈদগাহ।
  • ঐতিহ্যবাহী পণ্য যেমনঃ শীতলপাটি, মনিপুরী এই সকল কারণেও সিলেট জেলাটি বিখ্যাত।

সিলেটের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা

সুজলা-সুফলা, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সুন্দরের অপরূপা আমাদের এই প্রাকৃতিক বাংলাদেশ। বাংলাদেশের চারদিকে রয়েছে ছোট্ট ছোট্ট পাড়ার-পর্বত, নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর ইত্যাদি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা সিলেট জেলা। আপনারা সকলেই জানেন এই সিলেট জেলাতে রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান এবং রয়েছে বেশ কিছু সুন্দর জায়গা। এগুলি আমি সংক্ষিপ্তভাবে আপনাদের সকলের জ্ঞাতার্থে এবং কল্যানার্থে আলোচনা করছি। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবেঃ

হযরত শাহজালাল (রহঃ) মাজার

সিলেটের সবথেকে বড় সৌন্দর্যময় জায়গা হচ্ছে হযরত শাহজালাল (রহঃ) মাজার। এটি হচ্ছে বিখ্যাত সুফি দরবেশ এর মাজার। তার পুরো নাম হচ্ছে শায়খ শাহজালাল কুতিয়ান মুজাররদ। তিনি ১৩০৩ সালে ৩২ বয়সে ইসলাম ধর্ম প্রচারের লক্ষ্যে বাংলাদেশে আসেন এবং তিনি সিলেট অঞ্চলে সর্ব প্রথম এসেছিলেন। তিনি এবং তার সফর সঙ্গীসহ মোট ৩৬০ জন সিলেটে প্রবেশ করেন। তারা সকলেই ছিলেন আউলিয়া। 

হযরত শাহজালাল (রহঃ) মাজার, সিলেট

হযরত শাহজালাল (রহঃ) আউলিয়ার মৃত্যুর পর তাকে সিলেটে কবর দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে সেখান ঘিরে মাজার তৈরি হয়। যার নামকরণ করা হয়েছে "হযরত শাহজালাল (রহঃ) মাজার"। এই সুন্দর স্থানটি দেখতে বছরে হাজারো হাজারো দর্শকের আগমন হয়। আপনি চাইলে দেখে আসতে পারেন, যা খুব ভাল লাগবে।

আরো পড়ুনঃ পাবনা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি - পাবনা কিসের জন্য বিখ্যাত

হযরত শাহপরান (রহঃ) মাজার

সিলেট নগরটিতে ''৩৬০ আউলিয়ার নগর'' হিসেবে পরিচিত। ১৩০৩ সালে মধ্যপ্রাচ্য হতে বাংলাদেশে  আসা হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর সফর সঙ্গী ছিলেন হযরত শাহপরান (রহঃ)। অতঃপর তাঁরা সবাই মিলে  ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেন। 

হযরত হযরত শাহাপরান (রহঃ) আউলিয়ার মৃত্যুর পর তাকে সিলেটে কবর দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে সেখান ঘিরে মাজার তৈরি হয়। যার নামকরণ করা হয়েছে "হযরত শাহাপরান (রহঃ) মাজার"। এই সুন্দর স্থানের মধ্যে অন্যতম একটি। আপনি চাইলে দেখে আসতে পারেন, যা খুব ভাল লাগবে।

চা বাগান

বাংলাদেশের সিলেট জেলায় ছোট বড় মিলে প্রায় "১৩৮টি চা বাগান" রয়েছে। এই চা বাগান থেকে উৎপাদন করা চা দেশের আমাদের দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করে থাকে এবং দেশের অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। এই চা শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে অনেক অবদান রাখে। এই সুন্দর স্থানটি দেখতে বছরে হাজারো হাজারো দর্শকের আগমন হয়। আপনি চাইলে দেখে আসতে পারেন, যা খুব ভাল লাগবে।

চা বাগান, সিলেট

গ্যাস ফিল্ড

আপনারা সকলেই জেনে অত্যন্ত খুশি এবং আনন্দিত হবেন যে, প্রাকৃতিক সমৃদ্ধ আমাদের এই ছোট্ট বাংলাদেশে বৃহত্তর সিলেট বিভাগে চল্মমান মোট "৫টি গ্যাস ফিল্ড" রয়েছে। জ্বালানি সংকট নিরসনের জন্য আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আরও মোট "৪৬টি গ্যাস কূপের অনুসন্ধান, খনন এবং পূনঃখননের পরিকল্পনা" গ্রহণ করা হয়েছে। এই সুন্দর স্থানটি দেখতে বছরে হাজারো হাজারো দর্শকের আগমন হয়। আপনি চাইলে দেখে আসতে পারেন, যা খুব ভাল লাগবে।

আরো পড়ুনঃ পাবনা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি - পাবনা কিসের জন্য বিখ্যাত

গ্যাস ফিল্ড, সিলেট


সিলেটের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কে

এখন আমরা জানব, সিলেটের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কে? সিলেটের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হচ্ছেন "ড. কালী প্রদীপ চৌধুরী"। বর্তমানে উনার নামে আমেরিকায় একটা শহর এবং ৫৫ কিঃ মিঃ এর একটা রাস্তা রয়েছে। তিনি ঢাকায় একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন কিন্ত বর্তমান তার প্রতিদ্বন্দ্বী শিকদার গ্রুপ সেই কাজ করতে বাধা দেয়।

আরো পড়ুনঃ চট্টগ্রাম জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ সম্পর্কে জেনে নিন

শুধুমাত্র সিলেটেই নয় বাংলাদেশেরও অন্যতম একজন ধনী ব্যক্তি তিনি। এমনকি সমগ্র বিশ্বজুড়ে তার সুনাম এবং খ্যাতি রয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য এবং তিনি বিশ্ব ধনীদের মধ্যে একজন। বিশ্বে অনেক দেশে রয়েছে তাঁর বেশ কয়েকটি বাড়ি, গাড়ি এবং ব্যবসা। বিশ্বের প্রায় আটটি দেশে রয়েছে তার ২৫ ধরনের ব্যবসা। ভারতে আছে ১৬টি চা বাগান। যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতে আছে ২৬টি বিশ্বমানের মেডিকেল কলেজ।

ড. কালী প্রদীপ চৌধুরী কতৃক আইকনিক টাওয়ার নির্মাণ

ড. কালী প্রদীপ চৌধুরী আইডিয়া নেন, বাংলাদেশে ১৪২ তলা আইকনিক টাওয়ার তৈরি করার। তিনি বাংলাদেশের ঢাকায় নির্মাণ করতে যাচ্ছেন দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ টাওয়ার। যার সংক্ষিপ্ত বিবরন নিন্মরুপঃ

  • টাওয়ারের নামঃ আইকনিক টাওয়ার।
  • কত তলাঃ ১৪২ তলা।
  • প্ল্যানঃ প্ল্যান তৈরি করা হয়ে...
  • কোথায় তৈরি করা হবেঃ ঢাকার পূর্বাচলে।  
  • টেন্ডারঃ টেন্ডার পায় কালী প্রদীপ চৌধুরী (কেপিসি গ্রুপ)।
  • জমির প্রয়োজনঃ আনুমানিক ১০০ একর।
  • অনুমোদনঃ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইকনিক টাওয়ারের অনুকূলে জমি বরাদ্দ করেছে এবং অনুমোদন দিয়েছেন।
  • আনুমানিক খরচঃ প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।
  • নকশাঃ নকশার ডিজাইন করা হয়েছে (উল্লেখ্য যে, টাওয়ারের দুই দিক দিয়ে ৭১ লেখাটি ফুটে উঠবে)।
আইকনিক টাওয়ার, ঢাকা, বাংলাদেশ


সিলেট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি

আমাদের দেশে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন। আবারও রয়েছে প্রতিটি জেলাতে বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ। আপনারা যদি সিলেট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগসহ পড়তে হবে। কেননা আমরা আজকে আপনাদের জন্য সিলেট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ সম্পর্কে আলোচনা করছি। তাহলে চলুন জেনে নেই সিলেট জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিগণের নাম এবং তাদের সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ বৃষ্টির পানির প্রয়োজনীয়তা, উপকারিতা ও অপকারিতা

জেনারেল বঙ্গবীর মুহাম্মাদ আতাউল গনি ওসমানী (অবঃ)

জেনারেল বঙ্গবীর মুহাম্মাদ আতাউল গনি ওসমানী (অবঃ) ১ সেপ্টেম্বর ১৯১৮ সালে সুনামগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন। সাময়িক জীবন হতে অবসর গ্রহণের পর রাজনীতিতে যোগদান করেন এবং সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

মেজর জেনারেল এম এ রব (অবঃ)

মেজর জেনারেল এম এ রব (অবঃ) তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিবাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। এ দেশের সর্ব প্রথম সেনাবাহিনী প্রধান ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে অবসর গ্রহণের পর রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।

গিরিশচন্দ্র রায়

সিলেটের রায়বাহাদুর ও রাজা গিরিশচন্দ্র রাজা খেতাব প্রাপ্ত। তিনি ১৮৯৯ সালে রাজা উপাধি লাভ করেন। সিলেটে তিনি সর্ব প্রথম ১৮৯২ সালে এম সি কলেজ প্রতিষ্ঠিত করেন।

শাহ আব্দুল করিম

শাহ আব্দুল করিম সিলেটের সুনামগঞ্জ দিরাই উপজেলায় ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯১৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ছিলেন একজন সংগীত ও গীতিকার। এছাড়াও তিনি একজন কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী ও সুরকার। কর্মজীবনে সর্বমোট ৫০০টিরও বেশি সংগীত রচনা করেছেন। 

হাসন রাজা

হাসন রাজা সিলেট জেলার সুনামগঞ্জ শহরের কাছাকাছি সুরমা নদীর তীরে পরগনার তেঘরিয়া গ্রামে ২১ ডিসেম্বর ১৮৫৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম হচ্ছে দেওয়ান হাসন রাজা। তিনি বাংলাদেশের একজন বাউল শিল্পী।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়

সৈয়দ মুস্তফা কামাল

সৈয়দ মুস্তফা কামাল ২৫ জানুয়ারি ১৯৪৩ সালে হবিগঞ্জ জেলার মাসাজান গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন লেখক ও উপন্যাসিক এবং ঐতিহাসিকবিদ। কর্ম জীবনে তিনি অনেক কবিতা, গল্প উপন্যাস ইত্যাদি লিখেছেন। 

আরকুম শাহ

আরকুম শাহ সিলেট জেলায় ১৮৭৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন অত্যাধুনিক সুফি এবং সাধক। তিনি একজন বিখ্যাত ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম।

আগা মোহাম্মদ বেগ

আগা মোহাম্মদ বেগ ব্রিটিশ শাসনকালে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দাতা ছিলেন। তিনিও অন্য সকল বিখ্যাত ব্যক্তিগণের ভেতরে একজন।

সৈয়দ এবিএম মাহমুদ হোসেন

সৈয়দ এবিএম মাহমুদ হোসেন একজন সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান বিচারপতি ছিলেন। 

আবুল মাল আবদুল মুহিত 

আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৩৪ সালে সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন অর্থনীতিবিদ, কূটনীতিক, ভাষা সৈনিক এবং বীর মুক্তিযুদ্ধ ছিলেন। এছাড়াও ৬ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। 

আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রয়াত অর্থমন্ত্রী

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল মালেক (অবঃ)

সিলেটের কৃতি সন্তান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল মালেক (অবঃ) ১ ডিসেম্বর ১৯২৯ সালে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিম ভাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক, প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি জেনারেল। বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির চেয়ারম্যান। তিনি ২০০৪ সালে স্বাধীনতা পদক পুরস্কারে ভূষিত হন।

আরো পড়ুনঃ ২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবল – 2026 FIFA world cup 

লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান মশহুদ চৌধুরী (অবঃ) 

লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান মশহুদ চৌধুরী (অবঃ) তিনি একজন সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন।

নাজমুন আরা সুলতানা

নাজমুন আরা সুলতানা বাংলাদেশের প্রথম নারী বিচারপতি ছিলেন।

রিয়াল এডমিরাল এম এ খান (অবঃ)

রিয়াল এডমিরাল এম এ খান (অবঃ) তিনি একজন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি নৌবাহিনীর প্রধান হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন।

সালমান শাহ

সালমান শাহ ছিলেন একজন চিত্রনায়ক এবং চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির একজন অভিনেতা ছিলেন। 

রুনা লায়লা

রুনা লায়লা একজন প্লেব্যাক গায়িকা। তিনি বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির একজন বিখ্যাত গায়িকা। তিনি বাংলাদেশের এখন বিখ্যাত এবং নামিদামি কণ্ঠ শিল্পী।

রুনা লায়লা, কণ্ঠ শিল্পী

শাহ আব্দুল করিম

শাহ আব্দুল করিম বাংলাদেশের একজন বাউল শিল্পী এবং গ্রাম বাংলার একজন গীতিকার। তিনি তাঁর লেখা জীবনে অনেক বাউল গান লিখেছে এবং  সুর করেছেন। 

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান - চলুন ভ্রমণে যাই এবং স্বাদের খাবার খাই

আব্দুর রউফ চৌধুরী

আব্দুর রউফ চৌধুরী একজন লেখক ও কথা সাহিত্যি। তিনি তাঁর লেখা জীবনে অনেক কবিতা ও সাহিত্যি লিখেছেন। 

আনোয়ার চৌধুরী

আনোয়ার চৌধুরী ছিলেন একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশি কূটনীতিবিদ।

সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ

সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ ছিলেন একজন বিখ্যাত ভাস্কর।

এছাড়াও সিলেটের আরো অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিগণ রয়েছেন। তাঁরা হচ্ছেন, 

  • সুষমা দাস
  • সুহাসিনী দাস
  • খান বাহাদুর
  • মৌলভী আব্দুল করিম
  • এনামুল হক মোস্তফা শহীদ
  • হেমাঙ্গ বিশ্বাস

সিলেটের পূর্ব নাম কি

সিলেটের পূর্ব নাম ছিল "জালালাবাদ"বর্তমানে জালালাবাদ নামে একটি সেনানিবাস রয়েছে (জালালাবাদ সেনানিবাস)। সিলেট হচ্ছে একটি সৌন্দর্য এবং সাজানো গোছানো সৌন্দর্যময় নগরী। অনেক আগে এই সিলেট জেলার নাম ছিল জালালাবাদ তবে একতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খলজি তিনি ছিলেন তুর্কি সেনাপতি। বঙ্গ বিজয়ের পর দলিল পত্র জালালাবাদ নামের পরিবর্তে "সিলাহেট" নামকরণ দেন। আর এই নাম থেকে ধীরে ধীরে সিলেট নামকরণ হয়।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ, এতক্ষণে আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে ''সিলেট জেলার সামান্য পরিচিতি, বিখ্যাত স্থানের নাম, সুন্দর জায়গার নাম, সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির নাম (ড. কালী প্রদীপ চৌধুরী কতৃক আইকনিক টাওয়ার নির্মাণ), অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের নাম, সিলেটের পূর্ব নাম'' ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। সিলেট জেলাতে রয়েছে আরও অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ। যারা অতীত থেকে এবং বর্তমান পর্যন্ত সকল মানুষের কাছে বিখ্যাত হিসেবে খ্যাটি অর্জন করেছেন।

আরো পড়ুনঃ ঢাকা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি - ঢাকা জেলা বিখ্যাত কেন


সিলেট রেলওয়ে স্টেশন

তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে এখানে শেষ করছি। দেখা হবে পরবর্তী অন্য কোনো লেখা নিয়ে। ততক্ষণ ভালো থাকবেন, নিজের শরীরের যত্ন নিবেন এবং আমাদের জন্য দোয়া করবেন। যাতে আমরা আপনাদের জন্য নিত্য নতুন ও মানসম্মত কনটেন্ট নিয়ে হাজির হতে পারি। আমরা যেন আমাদের মূল লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি। আপনাদের মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য বিশেষ ভাবে অনুরুধ অনুরোধ করছি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url